ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

জোড়া সেঞ্চুরিতে পাল্টা জবাব

বিশ্বকাপজয়ী অনূর্ধ্ব-১৯ দলের তানজিদ হাসান তামিমের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ড্র হয়েছে জিম্বাবুয়ে-বিসিবি একাদশের একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচ। এ ম্যাচে অন্যবদ্য এক সেঞ্চুরি করেন তিনি।

সাভারের বিকেএসপিতে সফরকারীরা গতকাল ৭ উইকেটে ২৯৭ রান নিয়ে গতকাল ব্যাটিংয়ে নামার কথা থাকলেও দ্বিতীয় দিনে বিসিবি একাদশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ক্রেগ আরভিনরা।

তবে শুরুটা ভালো হয়নি স্বাগতিক বিসিবি একাদশের। ২৯৭ রান টকপাতে গিয়ে পাহাড়সম করে তোলে আকবর আলীরা। দিনের শুরুতে ব্যাট করতে নেমে কার্ল মাম্বার বাউন্সারে শিকার হন নাঈম শেখ (১১)। সেই রেশ না কাটতেই ব্যক্তিগত ১ রানে সাজঘরে ফেরেন মাহমুদুল হাসান জয়। অফ স্টাম্পের বাইরের বল খোঁচা মারতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।

খানিক সময়ের ব্যবধানে ২ উইকেট হারানো বিসিবিকে আরো বিপদে ফেলেন শাহাদাত হোসেন দিপু। মাত্র ৫ রান করে এনলভুর বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরত আসেন তিনি।

এরপর অধিনায়ক আল-আমিন জুনিয়রকে নিয়ে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন পারভেজ হোসেন ইমন। দারুণ খেলছিলেন তারা। তবে হঠাৎ ছন্দপতন। ব্যক্তিগত ৩৪ রান করে বিদায় নেন ইমন। তার পর ব্যর্থ হন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক আকবর আলী। দলের চরম বিপর্যয়ের মুহূর্তে মাত্র ১ রান করেন তিনি। জিম্বাবুয়ের লেগ স্পিনার টিনোটেন্ডা মুতোম্বোদজির বলে সরাসরি বোল্ড হন উদীয়মান তারকা।

আকবরের বিদায়ে বিপাকে পড়ে বিসিবি একাদশ। ৬৯ রান তুলতেই ৫ উইকেট খুইয়ে ধুঁকতে থাকেন তারা। তবে ষষ্ঠ উইকেটে ঘুরে দাঁড়ায় দল। তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন অধিনায়ক আল আমিন ও তানজিদ হাসান তামিম।

জিম্বাবুয়ে বোলারদের নিয়ে রীতিমতো ছিনিমিনি খেলেন তারা। পিটিয়ে ঝাঁজড়া করে দেন। পথিমধ্যে ফিফটি তুলে সেঞ্চুরি পথে এগিয়ে যান এই জুটি। কাক্সিক্ষত তিন অঙ্ক ছোঁয়া ইনিংসের দেখা পেয়েছেন দুজনই।

আগ্রাসী ব্যাটিং করেন তামিম। ২ চার ও ৫ ছক্কায় ৪০ বলে হাফসেঞ্চুরি তুলে তিনি। এরপর হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন আল আমিনও। পরে ওয়ানডে মেজাজে খেলে সেঞ্চুরি তুলে নেন তামিম। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ৯৯ বলে ৫ ছক্কা ও ১৪ চারে ১২৫ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন তিনি। পরক্ষণে সেঞ্চুরি তুললেন আল আমিনও।

১৪৫ বলে ১৬ চারে কাঁটায় কাঁটায় ১০০ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। অনবদ্য জুটিতে দুজনে তোলেন ২১৯ রান। সঙ্গে সঙ্গে ইনিংস ঘোষণা করে বিসিবি একাদশ।

এদিকে, গতকাল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বোলিং করার সুযোগ পেয়েছে শরিফুল ও শাহাদাত, দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন দুজনই। পেসার শরিফুল ইসলাম ১৫ ওভার বোলিং করে ৫ মেনেডে ৪৫ রান খরচায় নিয়েছেন ১টি উইকেট। অন্যদিকে, স্পিনার শাহাদাত হোসেন ৮ ওভার বোলিং করে দুই মেডেনে মাত্র ১৬ রান খরচায় নিয়েছেন ৩টি উইকেট।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close