ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ২১ জানুয়ারি, ২০২০

নতুন শুরুর প্রত্যাশায় শান্ত

সদ্য সমাপ্ত বঙ্গবন্ধু বিপিএলে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হতে পারেননি, তবে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটা হয়ে গেছে তার। ঢাকা প্লাটুনের বিপক্ষে অপরাজিত ১১৫ রানের ইনিংসটা নতুন করে চিনিয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তকে। খুলনা টাইগার্সের হয়ে বিপিএল খেলা বাঁহাতি ওপেনার পরের ম্যাচে করেছিলেন অপরাজিত ৭৮। টুর্নামেন্টে ১১ ম্যাচে ৩৪.২২ গড়, ১৪৩.৯২ স্ট্রাইকরেটে ৩০৮ রান করা শান্তর ফের ডাক পড়েছে জাতীয় দলে। সতীর্থদের সঙ্গে বুধবার রাতে পাকিস্তানগামী বিমানে চড়ছেন তিনি।

খুলনার হয়ে ওপেনিং পজিশনে ব্যাটিং করেছেন শান্ত। জাতীয় দলে যে এই পজিশনে তার খেলার সুযোগ নেই সেটি টিম ম্যানেজমেন্ট এরই মধ্যে জানিয়ে দিয়েছে। ওপেনিং পজিশনে দারুণ এক টুর্নামেন্ট খেলা শান্ত অবশ্য এ নিয়ে ভাবছেনই না। কাল মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাকিস্তান সফরের দ্বিতীয় দিনের অনুশীলন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এমনই প্রত্যাশার কথা জানালেন তিনি, ‘পজিশন নিয়ে কোনো চিন্তা নেই। যেহেতু দলে সুযোগ পেয়েছি, যে কোনো পজিশনে খেলার জন্য প্রস্তুত আছি। যেখানেই ব্যাটিং করি ভালো খেলার চেষ্টা করব।’

পজিশন নিয়ে চিন্তা নেই। তবে নিজের পছন্দ-অপছন্দ নিশ্চয়ই আছে। শান্ত অবশ্য এ ভাবনাও মাথায় আনতে চাইছেন না। বরং বিষয়টি দেখছেন এভাবে, ‘সাধারণত আমি টপ অর্ডারে খেলি। ওখানে নামলে অবশ্যই ভালো। যেটা বললাম, পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে যেখানে নামায়, যে কোনো পজিশনে আমার রান করা উচিত। বড় বড় ব্যাটসম্যানরা যে কোনো পজিশনে ব্যাটিং করে এবং রান করার সক্ষমতা রাখে।’

পাকিস্তানে যেহেতু খেলতে যাচ্ছেন, নিরাপত্তার প্রসঙ্গ বারবার আসছে। ২১ বছর বয়সি ব্যাটসম্যান জানালেন, তার ভাবনাজুড়ে এখন শুধুই ক্রিকেট, ‘এসব নিয়ে আসলে চিন্তা করছি না। পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে খেলাটায় মনোযোগ রাখছি। যেহেতু এগুলো আমাদের হাতে নেই, তাই এগুলো নিয়ে চিন্তা করছি না। গত বারও আমি পাকিস্তানে গিয়েছি (২০১৮ সালে বাংলাদেশ উদীয়মান দলের হয়ে)। আমার কোনো সমস্যাই হয়নি।’

পাকিস্তানে আগে খেলেছেন বলে শান্তর বেশ ভালো ধারণা তৈরি হয়েছে লাহোরের উইকেট সম্পর্কে, ‘আমার কাছে মনে হয় আমরা যে উইকেটে খেলে এসেছি, সেটা খুব ভালো ছিল। স্পোর্টিং উইকেট ছিল। বোলাররা যদি ভালো জায়গায় বোলিং করে তাহলে তারা সাহায্য পায়, ব্যাটসম্যানরাও সাহায্য পায়। যদি আমাদের পরিকল্পনা এবং শক্তিমত্তা অনুযায়ী খেলতে পারি (টি-টোয়েন্টি সিরিজে) তাহলে অবশ্যই বড় স্কোর করা এবং বোলাররা নিয়মিত উইকেট নেওয়ার সামর্থ্য রাখে।’

অতীতে কয়েক দফা দেশকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেলেই তা কাজে লাগাতে পারেননি। তার শট সিলেকশন ও আউট হওয়ার ধরন ছিল বেশ দৃষ্টিকটু। আরেক দফা মওকা মেলায় কী করবেন তিনি? শান্তর ভাষ্য, ‘অতীত নিয়ে আমি ভাবছি না। শুধু চেষ্টা করবো অতীতের ভুলগুলো আর না করতে। বিপিএলের শেষ কয়টা ম্যাচ আমার ভালো গেছে। আমি আত্মবিশ্বাসী যে, সুযোগ পেলে পাকিস্তানে ভালো করতে পারবো।’

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে দারুণ সেঞ্চুরি করে নজরে আসেন শান্ত। এরপর ঘরোয়া ক্রিকেট ভালো পারফরম্যান্স করছেন তিনি। ইমার্জিং দলের নেতৃত্বভারও দেওয়া হয়েছে তাকে। তার দিকে আলাদা দৃষ্টি রেখেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তার পরিণত ক্রিকেটার হয়ে ওঠা নিয়ে বোর্ডের খরচাপাতিও কম নয়। এবার সেটা পুষিয়ে দেওয়ার পালা এই তরুণের।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close