ক্রীড়া প্রতিবেদক
এত টিকিট গেল কোথায়?
বঙ্গবন্ধু বিপিএলের প্রায় পুরোটাতেই ফাঁকা গ্যালারি দেখেছে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম। কয়েক দফা মাইকিং করেও ঢাকা পর্বে দর্শক টানতে পারেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। কিন্তু গ্র্যান্ড ফাইনালে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র।
গতকাল প্রথমবার শিরোপার স্বাদ নেওয়ার আশায় মাঠে নেমেছিল খুলনা টাইগার্স ও রাজশাহী রয়েলস। মিরপুরে সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হয়েছিল ম্যাচটি। শুক্রবার খেলা শুরুর প্রায় তিন ঘণ্টা আগে থেকেই স্টেডিয়ামে প্রবেশের গেটগুলোতে দেখা যায় দর্শকদের উপচে পড়া ভিড়। টিকিটপ্রত্যাশীদের মধ্যে ছিল উন্মাদনা ও বাড়তি চাহিদা। সকাল থেকে বুথে লাইনে দাঁড়িয়েও অনেকে টিকিট পাননি। অনেক দর্শকই টিকিট কালোবাজারির অভিযোগ করেছেন।
তারা অভিযোগ করে বলেন, ‘সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি কিন্তু ফাইনালের টিকিট পাচ্ছি না। কাউন্টার থেকে বলছে টিকিট শেষ। এত টিকিট গেল কোথায়? মনে হচ্ছে বেশির ভাগ টিকিট ব্ল্যাকারদের হাতে চলে গেছে। বাইরে ঠিকই চড়া দামে টিকিট পাওয়া যাচ্ছে।’
দেখতে আসা অনেক দর্শক হতাশায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এটাই তো স্বাভাবিক। প্রিয় দলের খেলা দেখতে এসে টিকিট না পেলে মন খারাপ তো হবেই। অনেকে টিকিট নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন। অনেক ক্রিকেটপাগল আছেন যারা টিকিট বুথে টিকিট না পেয়ে শেষ পর্যন্ত ব্ল্যাকারদের শরণাপন্ন হন। যার কারণে ৪০০ টাকার টিকিট ১২০০ টাকা দিয়ে কিনতেও দ্বিধাবোধ করেননি। অবশ্য অতিরিক্ত অর্থ গুনে যারা টিকিট পেয়েছেন, তারা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। ফাইনালে মাঠে বসে প্রিয় দলকে সমর্থন জানাতে পারার সুযোগ হওয়াতেই এই উচ্ছ্বাস। ‘সোনার হরিণ’ হাতে পেয়ে কেউ কেউ বলেছেন, ‘যে দলই জিতুক, একটা জমজমাট ফাইনাল দেখতে চাই।’
"