বিশ্বকাপ ফাইনালের অপরাজিত ৮৪ রানের মহাকাব্যিক ইংনিশ, পরে অ্যাশেজের গতিপথ পালটে দেওয়া দুটি সেঞ্চুরি, বেন স্টোকসকে এনে দিয়েছে গত বছরের জন্য আইসিসির বর্ষসেরা ক্রিকেটারের খেতাব। স্টোকসের দেশেই ২০১৯ বিশ্বকাপে ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত সময় কাটানো সাকিব আল হাসান জায়গা পাননি বর্ষসেরা ওয়ানডে দলে।

বাংলাদেশের স্পিন-অলরাউন্ডার সাকিব আইসিসির নিষেধাজ্ঞায় আছে। গত অক্টোবরে তাকে শাস্তি দিয়েছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। ম্যাচ ফিক্সারদের কয়েক দফা প্রস্তাব নিজ বোর্ডের নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও আইসিসির নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের কাছে গোপন করে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা জুটেছে। যার এক বছর অবশ্য স্থগিত নিষেধাজ্ঞা। সেটির জেরই হয়তো পড়ল আইসিসির বর্ষসেরা দলে। সংস্থাটি তাদের সব ধরনের র‌্যাংকিং টেবিল থেকেও সাকিবের নাম সরিয়ে নিয়েছে।

ইংল্যান্ডে বসা গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে দারুণ সব রেকর্ডের দেখা পেয়েছেন সাকিব। এক আসরে ৫০০ বা তার বেশি রান ও ১০ উইকেট নেওয়া প্রথম ক্রিকেটার হয়েছেন। টুর্নামেন্টে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন। ২ সেঞ্চুরির সঙ্গে ৫ ফিফটি নামের পাশে। ৮ ম্যাচে ৬০৬ রান, গড় ৮৬.৫৫। স্ট্রাইকরেটও ছিল একশোর কাছাকাছি। স্পিন ভেলকিতে ১১ উইকেট তো আছেই। গত বছর ১১ ওয়ানডে খেলে ৭৪৬ রান ছিল সাকিবের। বিশ্বকাপের বাইরে আরো দুটি অর্ধশতক ছিল।

২০১৯ সালের জন্য আইসিসির বর্ষসেরা টেস্ট ও ওয়ানডে দলের অধিনায়ক নির্বাচিত হয়েছেন ভারতের দলনেতা বিরাট কোহলি। বিভিন্ন দেশের সাবেক ক্রিকেটার, ক্রিকেট বিশ্লেষক, ক্রীড়া সাংবাদিকদের ভোটে নির্বাচিত হয়েছে সেরা স্কোয়াড।

বর্ষসেরা ওয়ানডে দল : রোহিত শর্মা (ভারত), শাই হোপ (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), বিরাট কোহলি (অধিনায়ক, ভারত), বাবর আজম (পাকিস্তান), কেন উইলিয়ামসন (নিউজিল্যান্ড), বেন স্টোকস (ইংল্যান্ড), জস বাটলার (ইংল্যান্ড), মিচেল স্টার্ক (অস্ট্রেলিয়া), ট্রেন্ট বোল্ট (নিউজিল্যান্ড), মোহামেদ শামি (ভারত) ও কুলদীপ যাদব (ভারত)।

বর্ষসেরা টেস্ট দল : মায়াঙ্ক আগারওয়াল (ভারত), টম ল্যাথাম (নিউজিল্যান্ড), মারনাস লাবুশেন (অস্ট্রেলিয়া), বিরাট কোহলি (ভারত), স্টিভেন স্মিথ (অস্ট্রেলিয়া), বেন স্টোকস (ইংল্যান্ড), বিজে ওয়াটলিং (নিউজিল্যান্ড), প্যাট কামিন্স (অস্ট্রেলিয়া), মিচেল স্টার্ক (অস্ট্রেলিয়া), নিল ওয়াগনার (নিউজিল্যান্ড) ও নাথান লায়ন (অস্ট্রেলিয়া)।

"