ক্রীড়া ডেস্ক

  ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৯

চূড়ায় উঠেই নকআউটে ম্যানইউ-আর্সেনাল

ম্যাসন গ্রিনউডের জোড়া গোলে ঘরের মাঠে এজেড আল্কমারের বিরুদ্ধে বড় জয় তুলে নিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। পরশু রাতে ওল্ড ট্রাফোর্ডে ডাচ ক্লাবকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে তারা। ফলে ‘এল’ গ্রুপের শীর্ষে থেকে ইউরোপা লিগের নকআউটে প্রবেশ করল ম্যানইউ। একই রাতে স্ট্যান্ডার্ড লিগের বিপক্ষে ড্র করেও নকআউটে নাম লিখিয়েছে আরেক ইংলিশ জায়ান্ট আর্সেনাল।

বৃহস্পতিবার উয়েফা ইউরোপা লিগের শেষ ম্যাচের আগে ১০ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ শীর্ষেই অবস্থান করছিল ম্যানইউ। তবে শেষ ম্যাচে ড্র হলেই দ্বিতীয় স্থানে পিছলে যেতে হতো তাদের। সে ক্ষেত্রে আল্কমার গোল পার্থক্যের নিরিখে উঠে আসত এক নম্বরে। ওলে গুনার সোলশারের দল ঘরের মাঠে বড় জয় তুলে নেওয়ায় ৬ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের এক নম্বর স্থান সুরক্ষিত হয়েছে। তবে হারলেও প্রি-কোয়ার্টারে যাওয়া আটকাচ্ছে না ডাচ ক্লাবটির। ৬ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে তারা গ্রুপের লড়াই শেষ করে দ্বিতীয় স্থানে থেকে।

ম্যাচের প্রথমার্ধের খেলা গোলশূন্য থাকে। দ্বিতীয়ার্ধেই এক হালি গোল করেছে ম্যানচেস্টার। ৫৩ মিনিটে মাতার পাস থেকে ম্যাচের প্রথম গোল করেন ইয়ং। ৫৮ মিনিটে গ্রিনউডের গোলে ম্যানইউ ২-০ লিড নেয়। ৬২ মিনিটে নিজেদের বক্সে গ্রিনউডকে আটকানোর মরিয়া প্রচেষ্টায় স্বাগতিকদের পেনাল্টি উপহার দিয়ে বসে অতিথিরা।

৬৩ মিনিটে স্পট কিক থেকে গোল করে স্কোর-লাইন ৩-০ করেন হুয়ান মাতা। এক মিনিটের মধ্যেই গ্রিনউড আরেকটি গোল করে ম্যাচের চূড়ান্ত স্কোরলাইন ৪-০ করে ফেলেন। গ্রিনউডকে গোলের পাস বাড়ান সেই হুয়ান মাতাই।

আর্সেনালের রাতটা অবশ্য খুব একটা ভালো কাটেনি। স্যামুয়েল বাস্তিয়ান (৪৭ মিনিটে) ও সেলিম আমাল্লাহর গোলে (৬৯ মিনিটে) ২-০ ব্যবধানে পিছিয়েই পড়েছিল গানাররা। পরে ঘুরে দাঁড়িয়ে সমতা নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা। আর্সেনালকে ১ পয়েন্ট এনে দেয় আলেক্সান্দার ল্যাকাজেত (৭৮ মিনিটে) ও বুকায়ো সাকার (৮১ মিনিটে) গোল।

এ ছাড়া পোর্তো ৩-২ গোলে জিতেছে ফেইনর্দের বিপক্ষে। এস্পানিওল ০-১ গোলে হেরেছে সিএসকেএ মস্কোর কাছে। এএস রোমা ২-২ গোলে ড্র করেছে ভলফ্সবার্গের সঙ্গে। সেভিয়া ০-১ গোলে পরাজয় মেনেছে অ্যাপোয়েলের বিপক্ষে। এরপরও পোর্তোর সঙ্গে আসরের নকআউট পর্বে জায়গা করে নিয়েছে এস্পানিওল, রোমা ও সেভিয়া।

নকআউটে যারা

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, আর্সেনাল, সেভিয়া, এএস রোমা, ভলফ্সবার্গ, পোর্তো, ফ্র্যাঙ্কফুর্ট, রেঞ্জার্স, সেল্টিক, এস্পানিওল, লুদোগোরেটস, এজেড আল্কমার, ব্রাগা, উলভারহাম্পটন, ইস্তানবুল, কেএএ জেন্ট, স্পোর্টিং সিপি, ক্লুজ, এলএএসকে, বাসেল, গেটাফে, মালমো, কোপেনহেগেন, অ্যাপোয়েল, আয়াক্স, বেনফিকা, ক্লাব ব্রুজ, অলিম্পিয়াকোস, ইন্টার মিলান, গেঙ্ক, সালজবুর্গ ও লেভারকুসেন।

* শেষ আটটি দল উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বের তৃতীয় সেরা দল হিসেবে ইউরোপা লিগে যোগ দিচ্ছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close