ক্রীড়া প্রতিবেদক
অবশেষে দুঃখ ঘুচল শীলার
কাঠমান্ডুর রঙ্গশালা স্টেডিয়ামের বাইরে দাঁড়িয়ে তিনি। হাতে তার লাল-সবুজের পতাকা, চোখে-মুখে উচ্ছ্বাস। বুঝতে কষ্ট হয় না, উদ্বোধনী দিনের মার্চ পাস্টের সময়ের আক্ষেপটা মাহফুজা খাতুন শীলা ভুললেন সমাপনী দিনে এসে। দক্ষিণ এশিয়ান (এসএ) গেমসের ত্রয়োদশ আসরের পথচলা থামল কাল। আসরে নিজেদের ইতিহাসের সেরা সাফল্য ১৯টি স্বর্ণ জয়ের গল্প লিখেছে বাংলাদেশের ক্রীড়াবিদরা। তবে শীলার অপ্রাপ্তি ছিল সমাপনী অনুষ্ঠানের আগ পর্যন্ত। সাঁতারে তার উত্তরসূরিরা পারেনি সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে। শীলা নিজে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মার্চ পাস্টে হাতে পাননি জাতীয় পতাকা।
এবার প্রথা ভেঙে শুধু আয়োজক দলের হাতেই ছিল পতাকা। তবে সমাপনী দিনে পতাকা হাতে দাঁড়িয়ে থাকা শীলা জানালেন দুঃখ ভোলার কথা, ‘উদ্বোধনী দিনে মার্চ পাস্টের সময় পতাকা না পেয়ে খুব দুঃখ লেগেছিল। অনেক আশা নিয়ে, স্বপ্ন নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু পতাকা না পাওয়ায় খারাপ লেগেছিল। আজ (কাল) পেয়েছি। খুবই ভালো লাগছে। গর্ববোধ করছি। শেষ দিনে এসে অন্তত দুঃখটা ঘুচল। কেননা দেশের পতাকা তুলে ধরার মতো গর্ব একজন অ্যাথলেট আর কোনো কিছুতে অনুভব করে না।’ গত এসএ গেমসে দুটি স্বর্ণ জেতা এই সাঁতারু এবার ব্যক্তিগত কারণে খেলতে পারেননি। গতবারের স্বর্ণজয়ীকে সম্মান দিতে তার হাতেই মার্চ পাস্টে দেশের পতাকা তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ)।
"