সাহিদ রহমান অরিন

  ২৫ নভেম্বর, ২০১৯

হাফ ছেড়ে বাঁচল বাংলাদেশ

নিষেধাজ্ঞায় নেই সাকিব আল হাসান, ব্যক্তিগত কারণে নেই তামিম ইকবাল, চোটের কারণে ছিটকে গেছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। বাংলাদেশ দলের স্বপ্নযাত্রাটা হয়েছিল তাই হতাশামাখা। তবে দিল্লিতে ভারত সফরের প্রথম ম্যাচেই ঐতিহাসিক জয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম-মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা। তখন মনে হয়েছিল, জেগে উঠেছে ঘুমন্ত বাঘেরা। শোককে শক্তিতে পরিণত করে দারুণ কিছু করতে যাচ্ছে তারা। কিন্তু টাইগারদের ভারত বধ কাব্যে দাঁড়ি পড়েছে ওখানেই। এরপর টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট মিলিয়ে টানা ৪ বিব্রতকর পরাজয় সঙ্গী হয়েছে বাংলাদেশের।

নাগপুরে কুড়ি ওভারের সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে খানিকটা লড়াই করলেও সাদা পোশাকে তার লেশমাত্র ছিলনা। লাল ও গোলাপি বলের গ্লানিকর সিরিজে ব্যাটিং দৈন্যতা তাড়িয়ে বেড়াচ্ছিল খেলোয়াড়দের। যেন তা থেকে মুক্তি পেতে চাইছিলেন ইমরুল কায়েস-সাদমান ইসলামরা। বাংলাদেশিদের নাজুক পরিস্থিতি নাড়া দিয়েছে ভারতীয়দের মন। তাই ‘ছেড়ে দে বাপ, কেঁদে বাঁচি’ বলার আগেই সফরকারীদের ছেড়ে দিলেন ইশান্ত শর্মা-উমেশ যাদবরা। অবশেষে হাফ ছেড়ে বাঁচল দেশের ক্রিকেটাররা।

কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে ঐতিহাসিক টেস্টের ফল প্রথম দিনেই লেখা হয়ে যায়। সম্ভ্রম বাঁচাতে কেবল মুশফিকুর রহিমই ছিলেন ভরসা। কাল তৃতীয় দিনের প্রথম ঘণ্টাতেই সেই ভরসা বিদায় নিতেই ধবধবে ফর্সা (হোয়াইটওয়াশ) হওয়াটা নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের।

বলের রং লাল হোক কিংবা গোলাপিÑ গল্পটা ঠিক রেখেই ভারতীয় পেসের সামনে ‘মৃগী রোগীর’ মতো কাঁপুনি দিয়ে দুমড়ে-মুচড়ে পড়ল ব্যাটিং অর্ডার। প্রথম ইনিংসে টেনেটুনে ১০০ পেরিয়ে প্যাকেট। সেই ঐতিহ্য দ্বিতীয় ইনিংসেও জারি রেখে টাইগাররা গুটিয়ে গেল ১৯৫ রানে। দুদলের প্রথম দিবা-রাত্রির টেস্ট ম্যাচে ভারত জিতল ইনিংস ও ৪৬ রানে।

শুক্রবার বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস ১০৬ রানে শেষ হওয়ার পর প্রত্যাশামতোই ভারতীয় ব্যাটিংয়ে লম্বা ইনিংসের গন্ধ পাওয়া যায়। চেতেশ্বর পূজারা ও অজিঙ্কা রাহানে ইনিংসের ইট গাঁথার পর তাতে সিমেন্ট লাগানোর কাজটা স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে করেন বিরাট কোহলি। তার ১৩৬ রানের অধিনায়কোচিত ইনিংস বাংলাদেশকে ছিটকে দেয় ম্যাচ থেকে।

এরপর একটাই প্রশ্ন ছিলÑ তৃতীয় দিনে গড়ানো ম্যাচে ইনিংস হার এড়াতে পারবেন কি না মুশফিক-মাহমুদউল্লাহরা। শেষ পর্যন্ত সেটাও হয়নি।

প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়া ইশান্ত দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়েছেন ৪টি। আগের ইনিংসে ৩ উইকেট নেয়া উমেশের নামের পাশে এবার ৫ উইকেট। তবে দুই টেস্ট মিলিয়ে ১৩ শিকার ধরা ইশান্তই ম্যাচসেরার সঙ্গে সিরিজ সেরার পুরস্কার বাগিয়ে নিয়েছেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close