ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ১৯ নভেম্বর, ২০১৯

হ্যাটট্রিক জয়ে সেমি ফাইনালে বাংলাদেশ

গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালে যাওয়ার হাতছানি ছিল বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের সামনে। নাঈম-শান্তর ব্যাটে শেষ পর্যন্ত সেটাই হলো। গতকাল ইমার্জিং এশিয়ান কাপে নেপালকে ৮ উইকেটে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। দাপুটে এ জয়ে গ্রুপ ‘বি’ থেকে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে সেমিফাইনালে নাম লিখিয়েছে স্বাগতিকরা।

এদিন বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে নেপাল। সুমন খান ও মিনহাজুল আবেদীন আফ্রিদির বোলিং তোপে ৪৫তম ওভারেই গুটিয়ে যায় দলটি। তার আগে বোর্ডে ১৩৮ রান তুলতে সক্ষম হয় নেপাল। জবাবে অপেক্ষাকৃত সহজ এ লক্ষ্যমাত্রা ১৫৬ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখেই টপকে যায় বাংলাদেশ। দলের এ জয়ে ব্যাট হাতে এদিন দ্যুতি ছড়ান দলনেতা নাজমুল হোসেন শান্ত ও ওপেনার নাঈম শেখ।

যদিও অল্প রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা প্রত্যাশামতো হয়নি স্বাগতিকদের। আগের দুই ম্যাচে দলের জয়ে ব্যাট হাতে বড় ভূমিকা রাখা কিন্তু এবার সৌম্য ফেরেন শুরুতেই। ১৭ বলে ১১ রান করে এদিন সাজঘরে ফেরেন সৌম্য। তার বিদায়ে দলীয় ৩৪ রানে প্রথম উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।

সৌম্যের বিদায়ে ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে ক্রিজে আসেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। যোগ দেন নাঈমের সঙ্গে। দুজনে মিলে গড়েন ৭৯ রানের জুটি। এ সময় নাঈম ব্যক্তিগত ৪৫ রানে আউট হলেও বাকিটা কাজটা সম্পন্ন করেন শান্ত ও ইয়াসির আলি রাব্বি। দ্রুতগতিতে রান তোলা শান্ত ৫৬ বলে ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫৯ আর ২টি চার আর ১টি ছক্কায় ইয়াসির ১৮ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন।

এর আগে টস জিতে প্রথমে নেপালকে ব্যাটিংয়ে পাঠান নাজমুল হোসেন শান্ত। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই স্বাগতিক বোলারদের বোলিং তোপে পড়ে নেপাল। সুমন খান ও তানভীর ইসলামের অগ্নিঝরা বোলিংয়ে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয় দলটি।

এক পর্যায়ে ৬৮ রান তুলতেই ৭ উইকেট হারিয়ে বসে নেপাল। এমন পরিস্থিতিতে শঙ্কা জাগে ১০০ রানের আগেই গুটিয়ে যাওয়ার। তবে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা নেপালের ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হন ৯ ও ১০ নম্বরে ব্যাট করতে নামা সম্পাল কামি কারান কেসি।

নবম উইকেটে দুজনে মিলে গড়েন ৫০ রানের জুটি। যা নেপালকে দলীয় শতরানের দেখা পেতে সাহায্য করে। দলীয় ১৩৫ রানে কারানকে আউট করে এ জুটি ভাঙ্গেন মেহেদী হাসান। ৪৭ বল মোকাবিলায় ১টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৮ রান করেন কারান।

সতীর্থকে হারানোর কিছুক্ষণ পর সুমন খানের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন সম্পাল। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৮ রান করা সম্পালের বিদায়ের মধ্য দিয়ে দলীয় ১৩৮ রানে শেষ হয় নেপালের ইনিংস। ৬৩ বল খেলে ৪টি চারে এ রান করেন সম্পাল। স্বাগতিক বোলারদের মধ্যে ৩টি করে উইকেট নেন সুমন ও মিনহাজুল আবেদীন আফ্রিদি। এ ছাড়া দুটি করে উইকেট লাভ করেন তানভীর ও মেহেদী।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close