ক্রীড়া ডেস্ক?

  ১৭ নভেম্বর, ২০১৯

অ্যাশেজ জয়ের নায়ক এখন দমকলকর্মী!

গ্যারেন্ট জোন্স, বয়স ৪৩। মোবাইল বেজে উঠলেই যাকে ছুটতে হবে স্টেশনে। তারপর?? হেলমেট আর গ্লাভস পরে পৌঁছাতে হবে ঘটনাস্থলে। আগুনের শিখা থেকে প্রাণ বাঁচাতে, উদ্ধারকাজে। এক-দুদিন নয়; প্রয়োজনে বছরে হয়তো ৩৬৫ দিনই। দিন-রাতের অঙ্ক না কষে আর পাঁচজন দমকলকর্মীর মতো।

ত্রাতার ভূমিকায় এই জোন্সকে আগেও দেখেছে বিশ্ব। তবে ভূমিকাটা ছিল ভিন্ন। ১৪ বছর আগে অ্যাশেজ সিরিজে ইংল্যান্ডকে চ্যাম্পিয়ন করার অন্যতম কারিগর ছিলেন জোন্স। ২০০৫ সালে এজবাস্টন টেস্টে দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়ে মাইকেল কাসপ্রোভিচকে আউট করেছিলেন, ১৪ বছর আগে যা ইংল্যান্ডকে এনে দিয়েছিল বহুল কাক্সিক্ষত জয়। শুধু ইংল্যান্ডের হয়ে নয়। পরে পাপুয়া নিউ গিনির হয়েও ক্রিকেট খেলেছেন এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান। ২০০৪ থেকে ২০০৬ ইংল্যান্ড এবং ২০১২-২০১৪ পাপুয়া নিউ গিনির হয়ে।

পেশাদার ক্রিকেটার থেকে দমকলকর্মী!? একেবারে ভিন্ন পেশা, ভিন্ন আবহ, ভিন্ন চাপ। আগুন থেকে কাউকে উদ্ধার করতে গিয়ে ভয় করবে না?? ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ?ডেইলি মেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জোন্স চমৎকার জবাব দিয়েছেন, ‘স্নায়ুচাপে ভুগি। স্টেশনে ছুটে গিয়ে তৈরি হয়ে বেরিয়ে পড়তে হয়। ব্যাপারটা অনুশীলন করেছি অনেকবার। তবে সত্যি সত্যি যখন পৌঁছাতে হবে ঘটনাস্থলে, তখন আসল চাপ বুঝতে পারি।’?

শুধু দমকলকর্মী হয়ে ওঠার প্রশিক্ষণ নেওয়া নয়, জোন্স সেই সঙ্গে বাণিজ্য অধ্যয়ন বিষয়েও পড়ান। স্কুলে ক্রিকেটে কোচও। এত কিছু করার ইচ্ছা হয়?? জোন্সের কথায়, ‘?সবাই আমাকে একই প্রশ্ন করেন। আসলে দমকলকর্মী হিসেবে কাজ করব এই ইচ্ছাটা অনেক দিনের। যখন ক্রিকেট খেলতাম সেই সময়ও একবার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু সব ঠিকঠাক হয়নি। কয়েক মাস আগে ফায়ার স্টেশনের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় একটা ব্যানার চোখে পড়ে। ওরা লোক নিচ্ছে জানতে পারি। ব্যস, মুহূর্তে পুরোনো ইচ্ছাটা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। গত সপ্তাহেই ‘?অনকল’? বা পার্টটাইম ফায়ার ফাইটারের প্রশিক্ষণ শেষ করেছি। এবার ফোন আসার অপেক্ষা। তারপর বেরিয়ে পড়ব নতুন দায়িত্ব পালনে।’?

৩৪টি টেস্ট খেলা জোন্স আরো যোগ করেন, ‘স্কুলে কোচিং করানো আমার প্রথম দায়িত্ব। তবে ফায়ার ফাইটার হিসেবে সপ্তাহে ৫০ ঘণ্টা কাজ করতে রাজি। স্কুল থেকে ফিরেই আমি দমকলকর্মীর কাজে নিয়োজিত হয়ে পড়ি। ভোর ৫টা পর্যন্ত ফায়ার স্টেশন থেকে আমাকে ফোন করতে পারবে। স্কুলে ছুটি থাকলে আরো বেশিক্ষণ কাজ করার ইচ্ছে আছে। প্রশিক্ষণ পর্বটা উপভোগ করেছি। জানি, প্রচ- ফিট থাকতে হবে। পাশাপাশি টিমওয়ার্ক জরুরি। কোথাও আগুন লাগুক বা রাস্তায় বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটুক- আমাদের এক হয়ে লড়তে হবে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে। তবে সম্পূর্ণ প্রশিক্ষণ নিতে ২ বছর সময় লাগবে।’?

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close