ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচ বলে কথা। খানিকটা নাটক, রোমাঞ্চ না হলে কি চলে! হোক না সেটা প্রীতি ম্যাচ। সুযোগ পেয়ে কাজে লাগাতে পারেনি ব্রাজিল। আর্জেন্টিনাও অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে।

গ্যাব্রিয়েল জেসুস প্রথমে পেনাল্টি মিস করলেন। মিনিট দুয়েক পর পেনাল্টি পেল আর্জেন্টিনাও। ব্রাজিলের গোলরক্ষক আলিসন ঠেকিয়ে দেন মেসির শট। কিন্তু পুরোপুরি ক্লিয়ার করতে পারেননি। মেসির ছোঁয়াতেই বল জালে জড়ায়। সৌদি আরবের বাদশাহ সৌদ বিশ্ববিদ্যালয় স্টেডিয়ামে ব্রাজিলের বিপক্ষে মেসির একমাত্র গোলে জয় পেয়েছে আর্জেন্টিনা। আর্জেন্টাইন অধিনায়কের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরাটাও হলো মনে রাখার মতো। সুপার ক্লাসিকোতে দলের জয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাও আবার চিরশত্রু ব্রাজিলের বিপক্ষে।

জেসুস পেনাল্টি মিস না করলে হয়তো খেলার রংটাই বদলে যেত। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ম্যাচে বল দখলে এগিয়ে ছিল ব্রাজিলই। শুক্রবার রাতে ম্যাচের ১০ম মিনিটে পেনাল্টি পায় ব্রাজিল। ফিরমিনোর বাড়ানো বল ডি বক্সের ভেতর পান জেসুস। বল নিয়ে আগানোর মুহূর্তে আর্জেন্টাইন খেলোয়াড় পারেদেসের ফাউলের শিকার হন। পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। বিপত্তি বাঁধে জেসুসের শটে। এই ফরওয়ার্ডের শট গেল বিপথে। আর্জেন্টিনার সমর্থকদের উল্লাস তখন বাঁধভাঙা। তাদের উল্লাস সমুদ্রের গর্জনে পরিণত হয় মিনিট দুয়েক পর। ব্রাজিলের সীমানায় অ্যালেক্স সান্দ্রোর ফাউলের শিকার হন মেসি। কিন্তু মেসি যে শট নিলেন ব্রাজিল গোলরক্ষক আলিসন সেটা ঠেকিয়ে দিলেন। কিন্তু ভাগ্যদেবী আর্জেন্টিনার পক্ষেই ছিলেন। তা না হলে অমন বল পুরোপুরি ক্লিয়ার করতে না পারায় সেটা ঘুরেফিরে মেসির কাছেই কেন যাবে! ম্যাচের ১৩ মিনিটে মেসিও আলগা বল পেয়ে জালে জড়াতে ভুল করেননি।

দ্বিতীয়ার্ধে অ্যালিসনের কল্যাণে বেশ কয়বার রক্ষা পায় সেলেসাওরা। বলের দখলে এগিয়ে থাকলেও তিতের শিষ্যদের আক্রমণে তেমন ধার ছিল না। উল্টো দিকে আর্জেন্টাইনরা পাল্টা আক্রমণে বারবারই ভয় ধরিয়ে দিচ্ছিল প্রতিপক্ষ শিবিরে। ম্যাচের শেষ পর্যন্ত ব্যবধান বাড়ানোর চেষ্টা করেছে দুই দলই। কিন্তু স্কোরলাইনে কোনো পরিবর্তন আনতে পারেনি কেউই।

"