ক্রীড়া ডেস্ক

  ০৯ নভেম্বর, ২০১৯

দোর্দণ্ড প্রতাপে সমতায় ইংল্যান্ড

সিরিজে টিকে থাকতে হলে কাল জয় ছাড়া বিকল্প ছিল না ইংল্যান্ডের সামনে। সিরিজে ঘুরে দাঁড়ানোর কাজটা কী দোর্দ- প্রতাপের সঙ্গেই না করল ইংলিশরা! তাদের রান পিষ্ট হলো কিউইরা। পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের চতুর্থটিতে নিউজিল্যান্ডকে ৭৬ রানে হারিয়েছে ইয়ন মরগান-জনি বেয়ারস্টোরা।

আগের তিন ম্যাচের মধ্যে দুটিতে জিতে সিরিজে বেশ সুবিধাজনক অবস্থায় চলে গিয়েছিল স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। কাল জিতলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জেতা হয়ে যেত তাদের। কিন্তু ইংল্যান্ড সেটা হতে দিল না। নেপিয়ারের ম্যাকলিন পার্কে নিউজিল্যান্ডকে পিষ্ট করে রাজসিক প্রত্যাবর্তন করল ওয়ানডের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। সিরিজে এখন ২-২ এ সমতা। আগামীকাল অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে অঘোষিত ফাইনালে মাঠে নামবে দুই দল।

ইংল্যান্ডের এই রাজসিক জয়ের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান দুই ব্যাটসম্যান ডেউইড মালান ও অধিনায়ক ইয়ন মরগানের। কিউই বোলারদের কচুকাটা করেছেন এই দুজন। ইংল্যান্ডের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম সেঞ্চুরি করেছেন মালান। ওদিকে মরগানের হাফ সেঞ্চুরিটা ইংল্যান্ডের জার্সিতে দ্রুততম। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৬০ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন অ্যালেক্স হেলস, সে রেকর্ডটা মালান টপকেছেন ১২ বল কম খেলেই। তৃতীয় উইকেটে এই দুজন মিলে তুলেছেন ১৮২ রান। ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে এত বড় রানের জুটি আর নেই। এত দিন হেলস আর রবি বোপারার কাছে ছিল রেকর্ডটা। ২০১২ সালে নটিংহামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৫৯ রানের জুটি গড়েছিলেন এই দুজন। নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক টিম সাউদির বলে ড্যারিল মিচেলের হাতে ধরা পড়ার আগে মাত্র ৪১ বল খেলে ৯১ রান করেছেন দলনেতা মরগান। চার-ছক্কা মেরেছেন সমান ৭টা করে।

সতীর্থ মরগান আউট হওয়ার পর ডেউইড মালান মনে মনে সাউদিকে ধন্যবাদ দিয়েছিলেন কি না, কে জানে! মরগান যেভাবে এগোচ্ছিলেন, তাতে ইংল্যান্ডের হয়ে দ্রুততম টি-টোয়েন্টি শতকের রেকর্ডটা মালানের কাছে থাকত না। তবে মরগান আউট হলেও অপরাজিত থেকে গেছেন মালান। ৯টি চার ও ৬টি ছক্কার মারে ৫১ বলে ১০৩ করেছেন তিনি। ২০ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৪১ রানের ইমরাতে চেপে বসে ইংল্যান্ড।

জবাব দিতে নেমে নিয়মিত উইকেট হারাতে হারাতে ১৬৫ রানে আটকে যায় কিউইরা। রান রেটের চিন্তা করতে গিয়ে উইকেট খুইয়েছে সমানে, ফলে ১৬.৫ ওভারেই অলআউট হয়ে গেছে মার্টিন গাপটিল-কলিন মুনরোরা। কাল নিউজিল্যান্ডের কেউই বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। যেখানে ইংলিশদের হয়ে মালানের পর মরগানও প্রায় শতক হাঁকিয়ে ফেলেছিলেন, সেখানে কিউইদের কেউ অর্ধশতও ছুঁতে পারেননি। সর্বোচ্চ ৩৯ রান এসেছে অধিনায়ক সাউদির ব্যাট থেকে। ইংল্যান্ডের হয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন লেগ স্পিনার ম্যাট পার্কিনসন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close