ক্রীড়া ডেস্ক

  ২০ অক্টোবর, ২০১৯

পিএসজিকে উড়াচ্ছেন ডি মারিয়া

ইনজুরির কারণে দলে নেই নেইমার, শুরুর একাদশে ছিলেন না কিলিয়ান এমবাপ্পে-এডিনসন কাভানিও। পিএসজিকে অবশ্য তাদের অভাবটা একদমই বুঝতে দিলেন না আনহেল ডি মারিয়া। তার জোড়া গোলেই নিসকে ৪-১ ব্যবধানে উড়িয়ে ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানের শীর্ষস্থানটা আরো পাকাপোক্ত করল টমাস টুখেলের দল। ১০ ম্যাচে প্যারিসিয়ান্সদের সংগ্রহ ২৪ পয়েন্ট।

পরশু রাতে নিসের ঘরে পিএসজি এগিয়ে যেতে পারত তৃতীয় মিনিটেই। প্রেসনেল কিমপেম্বের বাঁ-পায়ের জোড়ালো শট ঠেকিয়ে দিয়েছেন নিস গোলরক্ষক বেনিটেজ। পরের মিনিটে আবদু দিয়ালোকেও বল জালে জড়াতে দেননি তিনি। পিএসজিকে লিড নেওয়া থেকে অবশ্য খুব বেশিক্ষণ আটকে রাখতে পারেননি বেনিটেজ। ১৫ মিনিটে অতিথিরা প্রথমবার এগিয়ে গেছে দুই আর্জেন্টাইনের রসায়নে। মাউরো ইকার্দির বাড়ানো বলে বেনিতেজকে একা পেয়ে বাঁ-পায়ের দারুণ শটে গোল করেন ডি মারিয়া।

ছয় মিনিট পর নিজের দ্বিতীয় গোল করে পিএসজির লিড দ্বিগুণ করেন ডি মারিয়া। এবারের গোলটা অবশ্য খুব সহজে আসেনি। থমাস মুনিয়েরের পাসে বক্সের ভেতর বল পেয়েছিলেন আর্জেন্টাইন তারকা। কঠিন এক কোণ থেকে বেনিটেজকে পরাস্ত করেন তিনি। এবারের লিগে এটি তার সপ্তম গোল। ৩৬ মিনিটে ডি মারিয়ার ক্রসেই দারুণ এক হেড করেছিলেন কিমপেম্বে। সেটা বেনিটেজ ঠেকিয়ে না দিলে প্রথমার্ধে আগে ব্যবধানটা আরো বাড়তে পারত।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ম্যাচের প্রথম সুযোগ পায় নিস। কিন্তু পিয়েরে মেলুউয়ের হেড বাঁচিয়ে দেন পিএসজি গোলরক্ষক কেইলর নাভাস। তবে ৬৭ মিনিটে নিসের হয়ে ব্যবধান কমান ইগনাতিয়াস গ্যানাগো।

তখন মনে হচ্ছিল, ম্যাচে ফিরবে স্বাগতিকরা। কিন্তু ৭৪ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় নিসের ওয়াইল্যান সাপ্রিয়েন। এই ঘটনার পর রেফারির সাথে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের জেরে লাল কার্ড দেখেন ক্রিসটোফ হেরেলও। আকস্মিকভাবে ৯ দলে পরিণত হওয়া নিস শেষ দিকে খেয়েছে আরো ২ গোল। ৮৩ মিনিটে বদলি হিসেবে মাঠে নামেন এমবাপ্পে। চার মিনিট পরেই জালের সন্ধান পান তিনি। যোগ করা সময়ে এমবাপ্পের পাসেই পিএসজির হয়ে হালি পূরণ করেন ইকার্দি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close