ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ১৪ অক্টোবর, ২০১৯

দ্বিশতকে ইমরুলের প্রত্যাবর্তন

জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল) রংপুরের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরির দেখা পেলেন ইমরুল কায়েস। কাল খুলনার হয়ে ২০২ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন এই বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান। ২০১৩ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) দ্বিশতকের দেখা পেয়েছিলেন করেছিলেন ইমরুল।

গত কয়েক সিরিজ ধরে সব ফরম্যাটে জাতীয় দলের বাইরে ছিলেন মেহেরপুরের ছেলে ইমরুল। এই ইনিংসটির মাধ্যমে নতুন করে জানান দিলেন নিজের অস্তিত্বের। ইমরুল ডাবল সেঞ্চুরির দেখা পেলেও ব্যর্থ হয়েছেন দলের আরেক সতীর্থ সৌম্য সরকার। ৩৬ রান করে আউট হয়েছেন তিনি।

গতকাল ৬ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিলেন ইমরুল। দিনের আড়াই সেশন ব্যাটিং করে উপহার দেন ২০২ রানের ইনিংস। ৪০৬ মিনিট ক্রিজে থেকে ৩১৯ বল খেলে ১৯ চার ও ৬ ছক্কায় নিজের ইনিংসটি সাজান তিনি। পুরো ইনিংসে একটি বারের জন্যও কোন ভুলের সুযোগ দেননি ৩২ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দুটি ডাবল সেঞ্চুরি ছাড়াও ১৬টি সেঞ্চুরি আছে ইমরুলের।

খুলনা শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে বৃষ্টির কারণে প্রথম দিন একটি বলও মাঠে গড়ায়নি। দ্বিতীয় দিন টসে হেরে আগে ব্যাটিং করে রংপুর। খুলনার বোলারদের সামনে প্রথম ইনিংসে ২২৭ রানের বেশি করতে পারেনি তারা। খুলনার বামহাতি স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক ৮১ রানে ৪ উইকেট নিয়ে দলের সেরা বোলার ছিলেন। অন্যদিকে দুই পেসার আল আমিন হোসেন ও রুবেল হোসেন নেন দুটি করে উইকেট।

জবাবে খুলনা ইমরুল কায়েসের ডাবল সেঞ্চুরিতে (২০২) ভর করে ৯ উইকেটে ৪৫৪ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে। ওপেনিংয়ে রবিউল ইসলাম ও ইমরানউজ্জামান মিলে ১৩৬ রানের জুটি গড়েন। ৭১ রানে ইমরান আউটের পর ইমরুল দ্বিতীয় উইকেটে রবিউলের সঙ্গে (৭৬) ৩০ রানের জুটি বাঁধেন। অপরপ্রান্তে নিয়মিত উইকেট গেলেও ইমরুল একপ্রান্তে ছিলেন অবিচল।

চতুর্থ দিন তৃতীয় সেশনের শেষ ঘণ্টায় ২২৭ রান পিছিয়ে থেকে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পায় রংপুর। কিন্তু সময় স্বল্পতায় ড্রতে নিষ্পতি হয় ম্যাচটি। রংপুর ১ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ৩৩ রান।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close