ক্রীড়া ডেস্ক

  ১২ অক্টোবর, ২০১৯

ফাইনালে সাকিবের বার্বাডোজ

ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সকে ১২ রানে হারিয়ে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) ফাইনালে উঠেছে সাকিব আল হাসানের দল বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টস। কাল সকালে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে ব্যাট হাতে ১৮ রান করলেও বল হাতে বেধড়ক মার খেয়েছেন সাকিব। তবে সতীর্থ বোলারদের কল্যাণে ম্যাচটা মুঠোয় পুরে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বার্বাডোজ। আগামীকাল বাংলাদেশ সময় রাত ৩টায় শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সের মুখোমুখি হবে সাকিবের দল।

এই গায়ানার বিপক্ষেই প্রথম কোয়ালিফায়ারে ৩০ রানে হেরেছিল বার্বাডোজ। আর এলিমিনেটরে সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টসের বিপক্ষে ৬ উইকেটে জিতে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে বার্বাডোজের প্রতিপক্ষ হয়েছিল ত্রিনবাগো।

কাল একটি করে চার-ছয়ে ১২ বলে ১৮ রান করে খ্যারি পিয়েরেকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ওয়ানডাউনে নামা সাকিব। পরে শুরুতেই বল হাতে পান, কিন্তু ২ ওভারে ২৭ রান বিলিয়ে দিলে অধিনায়ক হোল্ডার আর তাকে বোলিংয়ে ডাকেননি।

ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেটে ১৬০ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি তোলে বার্বাডোজ। জবাব দিতে নেমে ৩ বল হাতে রেখে ১৪৮ রানে থেমে যায় ত্রিনবাগোর ইনিংস।

প্রথম কোয়ালিফায়ারে হেরে আরেকটা সুযোগ মিলেছে ফাইনালে যাওয়ার, কিন্তু দ্বিতীয় সুযোগে শুরুতে ঝড় তুলতে পারেনি বার্বাডোজ। চার্লস ও হেলস ২৯ বলে ২৭ রান আনেন উদ্বোধনীতে। হেলস ১১ বলে ১০ করে ফিরলে নামেন সাকিব। চার্লসের সঙ্গে জুটিতে অবদান রেখে আনেন ২৪ রান। নিজে ১৮ করে ফিরে গেলে ডুমিনি আহত হয়ে মাঠ ছাড়েন ১০ রানে। তখন ঘোর বিপদে বার্বাডোজ! কিছুক্ষণ ঠেলেঠুলে ৪১ বলে ৩৫ করা চার্লসও সাজঘরে হাঁটা দেন। কার্টার ৪ ও অধিনায়ক হোল্ডার ১ রানে তাকে অনুসরণ করলে বিপদ আরো ঘনীভূত হয়।

সেখান থেকেই প্রতিরোধের শুরু। ২টি চার ও ১টি ছয়ে ১৮ বলে ২৩ করে আশা জাগিয়ে যান শাই হোপ। সেটাকে পূর্ণতা দেন রেইফার ও নার্স। দুজনেই ঝড় তুলে শেষের দিকে দ্রুত ৫০ রান যোগ করেন। ২টি ছক্কায় ১৮ বলে ২৪ রানে অপরাজিত থাকেন রেইফার। তার ঝড়ো সঙ্গী নার্স অপরাজিত থাকেন ২৪ রানে, ৩টি ছয়ে মাত্র ৯ বলের ইনিংস তার। ত্রিনবাগোর হয়ে আলি খান, পিয়েরে ও জর্ডান ২টি করে উইকেট নেন।

লক্ষ্য তাড়ায় নেমে নারিন ১৭, সিমন্স ১, মুনরো ১৬, রামদিন ২১, ড্যারেন ব্রাভো ২ রানে ফিরে গেলে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে এগোতে থাকে স্বাগতিক ত্রিনবাগো। এরপর পোলার্ড ও লঙ্কান রিক্রুট সেকুগে প্রসন্ন তাদের স্বপ্ন দেখান। পোলার্ড ২টি ছয়ে ১৬ বলে ২৩ করে রান আউটে কাটা পড়লে আবারও ধাক্কা। সেখান থেকে ঝড় তোলেন প্রসন্ন, ৪টি করে চার-ছক্কায় তার ২৭ বলে তোলা ৫১ রানের ইনিংসটিও শেষ অবধি জয়ে নোঙর করাতে পারেনি ত্রিনবাগোকে। ১২টা রান শেষ পর্যন্ত কমই পড়ে যায়।

বার্বাডোজের হয়ে হাত ঘুরানোদের মধ্যে কেবল সাকিবই উইকেটের দেখা পাননি, ছিলেন সবচেয়ে খরুচেও। বাকিদের মধ্যে নার্স ৪ ওভারে মাত্র ১৩ রানে ২ উইকেট নেন। হ্যারি গার্নি, হেইডেন ওয়ালশ ও রেইফার নিয়েছেন ২টি করে উইকেট। হোল্ডারের নামের পাশে একটি। অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ম্যাচসেরা হয়েছেন অ্যাশলে নার্স।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close