ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ১১ অক্টোবর, ২০১৯

বৈধতার সনদ নিয়ে ফিরতে মরিয়া আলিস

বিপিএল অভিষেকেই তার বিষমাখা ঘূর্ণিতে নীল হয়েছিল প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানরা। হ্যাটট্রিক করে রংপুর রাইডার্সে হাতের মুঠো থেকে জয় ছিনিয়ে এনেছিলেন ঢাকা ডায়নামাইটসের আলিস আল ইসলাম। এরপর হুট করেই উধাও তিনি। যেন বাতি জ্বালিয়েই নিভে গেল!

আলিসের এভাবে এসেই নেই হয়ে যাওয়ার নেপথ্য কারণ দুটি। প্রশ্নবিদ্ধ বোলিং অ্যাকশনের কারণে নিষিদ্ধ হয়েছেন তিনি। সঙ্গে হাঁটুর চোট তাকে দীর্ঘদিন বাইশ গজের চৌহদ্দি থেকে দূরে রেখেছিল।

তবে আনন্দের খবর, হাঁটুতে সার্জারির ধকল কাটিয়ে মাঠে ফিরেছেন বিপিএলের এই আবিষ্কার। পুরোপুরি ফিটনেস ফিরে পেতে এ অফ-স্পিনার বেশি সময় দিচ্ছেন জিমে। টুকটাক বোলিংও করছেন। জানালেন, অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ দূর করতে আগামী সপ্তাহেই পরীক্ষা দেবেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) থেকে বৈধতার সনদ নিয়ে তৈরি হতে চান আসন্ন বিপিএলের জন্য।

বিসিবির বোলিং অ্যাকশন রিভিউ কমিটির সদস্য নাসির আহমেদ বাংলাদেশ ‘এ’ দলের সঙ্গে আছেন শ্রীলঙ্কা সফরে। দেশে ফিরলে তার অধীনে পরীক্ষা হবে আলিসের। ওয়ানডে সিরিজ শেষে ১৩ অক্টোবর ঢাকায় ফিরবে ‘এ’ দল। এর এক দিন পর ১৫ অক্টোবর মিরপুরের একাডেমি মাঠে হতে পারে আলিসের বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা।

আলিসের উত্থান-পতনের গল্পটা সবাই এতক্ষণে জেনে গেছেন। বিপিএলের যে ম্যাচে গৌরবকাব্য লিখেছিলেন,ওই ম্যাচ ঘিরেই আবার ছুড়ে আসে সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের তীর। দুই ম্যাচ পরই হাঁটুর লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়ায় ছিটকে যান বিপিএল থেকে। ক্রিকেট থেকে দূরে চলে যান দীর্ঘসময়ের জন্য। মুদ্রার দুটি পিঠই আলিসের দেখা হয়ে গেছে ক্যারিয়ারের সূচনালগ্নেই। তার জীবনে এতসব ঘটনা ঘটে গিয়েছিল যে সপ্তাহ খানেকের মধ্যে!

জানুয়ারিতে চোট পাওয়া আলিসের হাঁটুর অস্ত্রোপচার হয় মার্চে। ঢাকা ডায়নামাইটসের খরচে ভারতে হয় সফল অস্ত্রোপচার। পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় থাকা এ ক্রিকেটার অনিয়মিতভাবে আসছেন শেরেবাংলার জিমে। তার আগে রাজশাহীর বাংলা ট্র্যাক ক্রিকেট একাডেমিতে কাজ করেছেন ফিটনেস ও বোলিং নিয়ে।

চোটে পড়ায় বিপিএল চলাকালীন সময়ে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিতে পারেননি আলিস। সুস্থ হয়ে উঠায় মনে করছেন এখনই উপযুক্ত সময়। বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষার চেয়ে অবশ্য ফিটনেস নিয়েই বেশি ভাবছেন তিনি। দীর্ঘদিন ঘরে বসে থাকায় বেড়ে গেছে ওজন। নিজেকে সম্পূর্ণ ফিট করে ডিসেম্বরে বিপিএলের মঞ্চে নামার অপেক্ষায় ২২ বছর বয়সি স্পিনার, ‘এখনো শতভাগ ফিট হইনি। ৮০ ভাগ ফিট বলতে পারেন। বোলিংটা অল্প করছি। ডিসেম্বরে বিপিএল। তার আগে শতভাগ ফিট হয়ে উঠাই আমার চ্যালেঞ্জ।’ বোলিং অ্যাকশন নিয়েও আলিসের মনে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই, ‘আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আমার হাত ১৫ ডিগ্রির কমই বাঁকে। ঘরোয়া লিগ খেলার সময় বিসিবির কাছে নিজ থেকেই পরীক্ষা দিয়েছিলাম, সেটা আমার ক্যারম ডেলিভারির জন্য। ওখানে সাত ডিগ্রি পর্যন্ত ভেঙেছিল। আশা করি আবার পরীক্ষা দিলে সেটি সর্বোচ্চ ১০ ডিগ্রির বেশি হবে না।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close