ক্রীড়া ডেস্ক

  ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

খোঁজ মিলল সেই নারীর

এই মুহূর্তে বিশ্বের শীর্ষ পাঁচ ধনী ক্রীড়াবিদের একজনের মধ্যে তিনি। অথচ তার শৈশব কেটেছিল দারিদ্র্যের মধ্যে। টাকার অভাবে রাতে নিয়মিত খাবারও জুটত না তার। বলা চলে, ভিক্ষা করেই ক্ষুধা নিবারণ করতেন বিশ্ব ফুটবলের সর্বকালের অন্যতম সেরা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ভাবা যায়?

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তার জীবনের হারিয়ে যাওয়া তিন মানুষকে খুঁজে পেতে চান বলে জানান সিআর সেভেন। তাদের একজনকে অবশেষে খুঁজে পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে। যিনি ক্ষুধার্ত রোনালদোর হাতে হ্যামবার্গার তুলে দিতেন। ব্রিটেনের টিভি চ্যানেল ‘আইটিভি’তে সাংবাদিক পিয়ার্স মরগানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তার শৈশবের ক্ষুধার্ত দিনগুলোর কথা তুলে ধরেন বিশ্বের অন্যতম ধনী এই ফুটবলার।

বিশেষ সাক্ষাৎকারে রোনালদো বলেছিলেন, ‘আমার বয়স তখন ১১ থেকে ১২ বছর। তখন সে রকম অর্থ ছিল না। পেটভরে খেতেও পেতাম না। খেলার জন্য আমি লিসবনে থাকতাম। আর তিন মাসে একবার করে নিজের বাড়িতে যেতাম। সে সময় আমার জীবন খুব কঠিন ছিল। লিসবনে যে স্টেডিয়ামে আমি থাকতাম, তার কাছেই একটা ম্যাকডোনাল্ডসের দোকান ছিল। আমি ও আমার বন্ধুরা প্রত্যেক রাতে সেখানে যেতাম। দোকানের পেছনের দরজায় নক করতাম। কোনো বার্গার পড়ে আছে কি না, জিজ্ঞাসা করতাম।’

রোনালদো ও তার কয়েকজন বন্ধুর জীবনে ত্রাতা হয়ে উঠেছিলেন ম্যকাডোনাল্ডসের তিন নারী। রোনালদো বলেন, ‘এডনা এবং আরো দুজন নারী আমাদের জন্য অসাধারণ ছিল। ওই তিনজনকে কখনো আমি পরে খুঁজে পাইনি। ম্যাকডোনাল্ডেসের সঙ্গে যুক্ত ছিল, এমন কয়েকজনের সঙ্গে আমি এ ব্যাপারে কথাও বলেছিলাম। কিন্তু তারা কোনো সন্ধান দিতে পারেনি। ম্যাকডোনাল্ডসের ওই দোকানটাও বন্ধ হয়ে গেছে। এই সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে যদি আমি তাদের খুঁজে পাই, তাহলে আমি দারুণ খুশি হব।’ শুধু তাই নয়, ওই নারীদের লিসবন বা তুরিনের বাড়িতে ডিনারে আমন্ত্রণ জানাবেন বলেও জানান পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী মহাতারকা।

খুশির খবর, পর্তুগিজ তারকার এই সাক্ষাৎকারের দিন তিনেকের মধ্যেই একজনের খোঁজ পাওয়া গেছে। পাওলা লেকা নামে লিসবনের ওই ম্যাকডোনাল্ডসের কর্মী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘সপ্তাহে প্রায় প্রতি রাতেই ক্রিশ্চিয়ানো ও তার বন্ধুরা আমাদের ম্যাকডোনাল্ডসের পেছনের গেটের সামনে দাঁড়িতে থাকত। ম্যানেজারের অনুমতি নিয়ে বেঁচে যাওয়া হ্যামবার্গার আমরা তাদের হাতে তুলে দিতাম। এই গল্প আমার ছেলের কাছে বললেও সে বিশ্বাস করত না। কিন্তু আমার স্বামী জানে, রাতে আমাকে আনতে গিয়ে অনেক দিন সেও দেখেছিল রোনালদো ও তার বন্ধুদের।’ বিষয়টি নিশ্চিতের পর শুক্রবার সাংবাদিক মরগান টুইট করে জানিয়েছেন, রোনালদো যে তিনজন নারীকে খুঁজছেন, পাওলা লেকা তাদের মধ্যে কেউ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close