ক্রীড়া ডেস্ক

  ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

কিশোরীদের গোলের মালা পরাল জাপান

বাংলাদেশ ০-৯ জাপান

বাংলাদেশের গোলরক্ষক মাহমুদা আক্তারকে সহানুভূতি জানানো উচিত। একের পর এক গোল করে যাচ্ছিল জাপানের মেয়েরা আর পোস্টের মধ্য থেকে বল কুড়িয়ে আনছিল মাহমুদা। গোলরক্ষক হিসেবে নয়-নয়বার বল কুড়িয়ে আনার কষ্টটা তো আর বলে বোঝানোর নয়!

থাইল্যান্ডের চনবুরিতে কাল বাংলাদেশের কিশোরীদের নিয়ে যেন ছিনিমিনি খেলল জাপান। বাংলাদেশকে ৯-০ গোলে চূর্ণবিচূর্ণ করেছে তারা। টানা দুই হারে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের মিশন এখানেই থমকে গেল মারিয়া-তহুরাদের। এর আগে স্বাগতিক থাইল্যান্ডের কাছে ১-০ গোলে হেরেছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। শনিবার আয়োজক থাইল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে জাপান। একই দিন বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ নিয়মরক্ষার ম্যাচে লড়বে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।

গতকাল বুধবার আইপিই স্টেডিয়ামে ম্যাচের ৭০ সেকেন্ডের মধ্যেই মানাকা হায়াশির গোলে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। চার মিনিট বাদে মোমোকো নেবুর থ্রো পাস থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করে দেন মাইকা হামানো। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলার পুরস্কারটা হাতেনাতেই পেতে থাকে তিনবারের চ্যাম্পিয়ন জাপান। ১৭ মিনিটে আঁখি খাতুনের পাস কেড়ে নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিনিধিদের জালে বল জড়িয়ে দেন জাপানিজ অধিনায়ক মোয়ে ওতা।

এরপর ২৩ মিনিটে হালি পূরণ করেন মাইকা হামানো। প্রথমার্ধের শেষদিকে কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের ছাত্রীরাও গোলের বেশ কিছু সম্ভাবনাও তৈরি করেছিল। কিন্তু জাপানের গোলরক্ষক আকানে ওকুমাকে পরাস্ত করতে পারেনি বাংলার মেয়েরা। উল্টো ৪৩ মিনিটে গোল পান মোমোকো নেবু। সুবাদে পাঁচ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় জাপান।

দ্বিতীয়ার্ধে এসেও ফের শুরু হয় জাপানের গোল বন্যার খেলা। ৪৯ মিনিটে গোল করেন কায়োনো হিরানাকা। পরে ২০ গজ দূর থেকে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন মোমোকো নেবু। ম্যাচের বয়স এক ঘণ্টা পূর্ণ হতেই ম্যাচের অষ্টম গোলের দেখা পান রিরিকা তান্নো। বল কিক অফ স্পটে বসাতে না বসাতেই নিজের জোড়া গোল পূরণ করেন তিনি।

এভারেস্টসম ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েও সাধ মেটেনি জাপানিজদের। শেষ দশ মিনিটেও তাই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে আক্রমণ চালাতে থাকে সূর্যোদয়ের দেশের কিশোরীরা। তবে বাংলাদেশের রক্ষণভাগের দৃঢ়তায় ব্যবধানটা আর বাড়েনি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close