ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

সাগরিকাতেই অহমিকা

জিতলেই ফাইনাল- এমন ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাটিং করে স্কোরবোর্ডে বাংলাদেশের যা রান, তাতে খেলা শেষ হওয়ার আগেই টাইগারদের জিতিয়ে দেওয়াই যেত। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের পরিসংখ্যান বলছিল, জেতার জন্য যথেষ্ট। এখানে টি-টোয়েন্টির প্রথম ইনিংসে গড় রান ১৩৭। বাংলাদেশ কাল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে স্কোরবোর্ডে জমা করল আরো ৩৮ রান বেশি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭৫।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে এটাই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর। সাগরিকায় বুধবার ব্যাট হাতে দলের সেরা পারফর্মার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। পাঁচ ছক্কা আর এক চারের বদৌলতে তার সংগ্রহ ৪১ বলে ৬২। জবাব দিতে নেমে শুরুতেই খেই হারিয়ে ফেলেছিল জিম্বাবুয়ে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৪ ওভার শেষে সফরকারীদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৬ রান। অভিজ্ঞ ব্রেন্ডান টেলর ও রেগিস চাকাবভাকে রানের খাতাই খুলতে দেননি মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। মাত্র ২ রান তুলে দলে ফেরা শফিউল ইসলামের শিকারে পরিণত হয়েছে শন উইলিয়ামস। জিম্বাবুয়েন দলপতি হ্যামিল্টন মাসাকাদজা (১৪*) মুতুম্বামিকে নিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এর আগে লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্তর নতুন ওপেনিং জুটিতে উড়ন্ত সূচনা বাংলাদেশ। শান্ত তার অভিষেক টি- টোয়েন্টিকে ব্যাট হাতে স্মরণীয় করতে না পারলেও লিটন দাস কিন্তু ঠিকই ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন। ২২ বলে ৩৮ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন লিটন। মিডল অর্ডারে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান আরেকদফা ব্যাট হাতে ব্যর্থ। এরপর ভায়রা-ভাই মুশফিক রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ হাল ধরেন। চতুর্থ উইকেট জুটিতে তারা যোগ করেন ৭৮ রান। মূলত এই জুটিই বাংলাদেশের স্কোরকে বড় সংগ্রহের পথে রাখে। ২৬ বলে ৩২ রান করে মুশফিক উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরে এলেও মাহমুদউল্লাহ ঠিকই অবিচল ছিলেন। ক্যারিয়ারের চতুর্থ হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েই নিন্দুকদের জবাব দিয়েছেন তিনি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close