ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

এবার রোমানের চোখ অলিম্পিকে

বাংলাদেশের ক্রীড়াক্ষেত্রে সেরা সাফল্যটি এসেছে রোমান সানার হাত ধরে গত জুনে। আর্চারির বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সেমিফাইনালে উঠেই তিনি অনন্য এক অর্জনের অধিকারী হয়েছিলেন। ২০২০ সালে অনুষ্ঠেয় টোকিও অলিম্পিকে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার যোগ্যতা অর্জন করে নিয়েছিলেন। সেই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার এই তীরন্দাজ দেশকে এনে দিয়েছেন এশিয়ান ওয়ার্ল্ড র‌্যাংকিং আর্চারিতে থেকে স্বর্ণ। এরপর থেকেই তিনি দেখছেন আরো বড় স্বপ্ন। সেটা যে অলিম্পিক থেকে পদক জেতা, তা বোধ হয় আর বলে দিতে হয় না।

নিঃসন্দেহে অলিম্পিকে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন বাংলাদেশের যেকোনো ক্রীড়াবিদের সেরা অর্জন। এর আগে গলফার সিদ্দিকুর রহমান ২০১৬ রিও অলিম্পিকে ‘কোটা’য় খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। সেটিও এক অর্জন ছিল। কিন্তু সরাসরি অলিম্পিকে খেলা বাংলাদেশের কোনো ক্রীড়াবিদের জন্য খুব বড় একটা ব্যাপারই।

এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ এশিয়ান গেমসে ব্যক্তিগত পদক পেয়েছে একটি। কিন্তু অলিম্পিকে কোনো পদকেই মুখ দেখেনি লাল-সবুজরা। রোমানের স্বপ্ন এ অবস্থা থেকে দেশকে বের করা। স্বপ্নের কথা তুলেও ধরলেন তিনি, ‘সোনা জেতাটা আমার জন্য খুব আনন্দ ও গর্বের বিষয়। এটা বাংলাদেশের জন্যও আনন্দের উপলক্ষ। আমি বিশ্বপর্যায়ে পদক জিতে বাংলাদেশকে পরিচিত করতে চাই। আমি আশা করি, সাফল্যের এ ধারাটা ধরে রাখতে পারব।’

রোমানের সাফল্যের রহস্য কী? এশিয়ার আর্চারিতে স্বর্ণ জেতার পর এ প্রশ্নের জবাবও তিনি দিয়েছেন বেশ, ‘আমি সব সময় আমার শুটিং টাইমিংটা একই রাখার চেষ্টা করি। একই জিনিস বারবার করি। প্রয়োজন পড়লে ছয় ঘণ্টার জায়গায় আট ঘণ্টা অনুশীলন করি। এভাবেই আমি ছন্দ খুঁজে পেয়েছি।’

এশিয়ান আর্চারিতে সোনার পর অলিম্পিক নিয়ে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী রোমান। মূলত এ টুর্নামেন্টের মান ও এর প্রতিযোগীদের কারণেই, ‘ফাইনালের টাইমিং পদ্ধতি, স্কোরিং সবই অলিম্পিক মানের। এ ধরনের প্রতিযোগিতায় সাফল্য আমাকে টোকিও অলিম্পিকে ভালো কিছু করার ব্যাপারে আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে।’

বোঝাই যাচ্ছে, অলিম্পিক নিয়ে এখন থেকেই স্বপ্ন বুনছেন ‘সোনার ছেলে’ রোমান। কিন্তু সেটা পূরণে বাংলাদেশ কি পারবে তার যথাযথ প্রস্তুতির সুযোগ করে দিতে?

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close