ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ১৮ আগস্ট, ২০১৯

কেন ডমিঙ্গোতেই আস্থা বিসিবির?

সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে কাল বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার রাসেল ডমিঙ্গো। কোচের সংক্ষিপ্ত তালিকায় নাম ছিল চন্ডিকা হাথুরুসিংহে এবং মাইক হেসনেরও। এমন হাইপ্রোফাইলদের টপকে ডমিঙ্গোর কোচ হওয়ার কারণ কাল সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেছেন বিসিবি বস নাজমুল হাসান পাপন। তিনি জানিয়েছেন, কোনো সিরিজের শেষে ছুটির আবদার করবেন না ডমিঙ্গো। তিনি সবসময় শিষ্যদের পাশে থাকতে চান। সবাইকে এক ছাতার নিচে আনতে চান।

মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বোর্ডপ্রধান বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত তিনজন ছিল আমাদের টপ লিস্টে। কবে থেকে পাওয়া যাবে আর কতটা সময় দিতে পারবে, সেটা বিবেচনায় নেওয়ার পর দুজন ছিলেন আমাদের তালিকায়। সেখান থেকে রাসেল ডমিঙ্গোকে আমাদের প্রধান কোচ হিসেবে চূড়ান্ত করেছি। দুই বছরের জন্য চুক্তি হয়েছে। ডমিঙ্গো বলেছে, তার কোনো ছুটি দরকার নেই। তার কোনো পিছু টান নেই। সে এখানে থেকে খেলোয়াড়দের সঙ্গে সময় কাটাতে চান। এগুলোই হচ্ছে মূল জায়গা, যেখানটায় আমরা মনে করেছি ও অন্যদের চেয়ে এগিয়ে আছে।’

অবশ্য সাংবাদিকদের কাছে ডমিঙ্গোর পারিশ্রমিকের বিষয়টা গোপনই রেখেছেন পাপন। তবে ডমিঙ্গোর কর্মসূচি ঠিকই তুলে ধরেছেন, ‘সে জাতীয় দলের পাশাপাশি ‘এ’ দল, হাইপারফরম্যান্স (এইচপি) দল ও অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে চাচ্ছে। আর এই কাজই সে করে এসেছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। সে চার বছরের লম্বা একটা পরিকল্পনা আমাদের দিয়েছে।’

নতুনদের নিয়েও ডমিঙ্গো কাজ করতে আগ্রহী জানিয়ে পাপন বলেন, ‘২০২৩ বিশ্বকাপে আমাদের বেশকিছু নতুন খেলোয়াড়ের দলে ঢোকার সম্ভাবনা আছে। কয়েকটা জায়গায় হয়তো রিপ্লেসমেন্ট প্রয়োজন হতে পারে। সেদিক থেকে যদি চিন্তা করেন, তাহলে আপনাকে নতুন ছেলেদের একটা পরিকল্পিত উপায়ে আমাদের সুযোগ দিতে হবে। এই ধরনের কাজ করার জন্য ডমিঙ্গো উপযুক্ত। আর সে এটাই করতে চাচ্ছে।’

নিজ দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা ছেড়ে বাংলাদেশে আসার কারণ সম্পর্কে ডমিঙ্গোর বক্তব্য তুলে ধরে পাপন বলেন, ‘এমন প্রশ্নের উত্তরে ও বলেছিল, বাংলাদেশে এসে সে যত বড় দেশই হোক না কেন তার জন্য জেতা কঠিন। সামনে বিশ্বকাপ হবে ভারতে। বাংলাদেশেরও শিরোপার অন্যতম দাবিদার হওয়া উচিত। ভারতের পর উপমহাদেশে বাংলাদেশই সবচেয়ে বড় শক্তি। এই ধরনের চিন্তা তার। আমরাও বিশ্বাস করি, আগামী (ওয়ানডে) বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অন্যতম দাবিদার হওয়া উচিত।’

মূলত এসব কারণেই ডমিঙ্গোকে মনে ধরেছে বিসিবি কর্মকর্তাদের। আপাতত দুই বছরের জন্য চুক্তি হলেও সব মিলে গেলে লম্বা সময়ের জন্য তাকে রেখে দেওয়ার ভাবনার কথা জানান বিসিবি সভাপতি, ‘আমাদের এখন সবচেয়ে বেশি দরকার ভালো একজন কোচ, যে এখানে থেকে, ছেলেদের সঙ্গে থেকে একটা পরিকল্পনা নিয়ে দুই থেকে চার বছর কাজ করবে। ডমিঙ্গোর সঙ্গে সেভাবে ইন্টারঅ্যাকশন হয়নি, একটা সাক্ষাৎকার হয়েছে। সে এসে কাজ করুক, আমাদের দেখুক, আমরা তাকে দেখি। যদি মিলে যায় তাহলে লম্বা সময়ের জন্য রাখা হবে।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close