প্রস্তুতি ম্যাচের আগের দিন সিরিজের ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠান উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশকে হোয়াইট ওয়াশের ‘হুমকি’ দিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের (এসএলসি) নির্বাচক কমিটির প্রধান আশান্থা ডি মেল। তার এমন আত্মবিশ্বাসী বুলিই বোধহয় কাল গা গরমের ম্যাচে বাংলাদেশ দলকে তাতিয়ে দিয়েছিল।

সফরের একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে দাপুটে জয় পেয়েছে টাইগাররা। শ্রীলঙ্কান বোর্ড প্রেসিডেন্টস একাদশকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে তামিম ইকবাল বাহিনী। জয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের দলের বাড়তি পাওনাÑ মূল লড়াইতে নামার আগে ব্যাট হাতে অধিকাংশ ব্যাটসম্যানের রান প্রাপ্তি। ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি পেয়েছেন মুশফিকুর রহিম ও মোহাম্মদ মিঠুন আলি।

কলম্বোর পি. সারা ওভালে ২৮৩ রানের টার্গেটে শুরুটা খুব বেশি ভালো হয়নি টাইগারদের। দুই ওপেনার তামিম ইকবাল এবং সৌম্য সরকারের অনেকটা ধীরগতির সূচনা করেন। দলীয় ৪৫ রানে সৌম্য প্রথমে সাজঘরে ফিরেন। ২৪ বল খেলে তিনি করেন ১৩ রান। দলীয় ৫৮ রানে দলপতি তামিমও (৩৭) ফিরে যান। শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ।

সেখান থেকে মিঠুনকে নিয়ে দলকে টেনে তোলেন মুশফিক। নেমেই লঙ্কান বোলারদের ওপর পাল্টা তোপ দাগাতে থাকেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল। যোগ্য সমর্থন পান অপর ব্যাটসম্যানের কাছ থেকেও। তাতে চাপ কাটিয়ে ওঠে টাইগাররা। এক পর্যায়ে মুশফিক-মিঠুনের জুটি জমাট বেঁধে যায়। তাতে ছোটে সফরকারীরা। এর মধ্যেই ফিফটি তুলে নেন মুশি। তবে এরপর আর স্থায়ী হতে পারেননি। ৪৬ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় কাটায় কাটায় ৫০ রান করেন।

মুশফিক ফিরলেও সাবলীল ব্যাটিংয়ে দলের কা-ারি হয়ে ওঠেন মিঠুন। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। জুটিতে দুজনে মিলে তোলেন ৯৬ রান। দুই ডানহাতির মধ্যে একটু বেশি আগ্রাসী ছিলেন মিঠুন। রিয়াদ আউট হন ৩৭ রান করে। তবে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেওয়ার সঙ্গে ব্যক্তিগত সেঞ্চুরির পথে এগোচ্ছিলেন মিঠুন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিন অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। ১০০ বলে ১১টি চার ও ১টি ছক্কায় ৯১ রান করে আউট হয়ে যান মিঠুন।

মিঠুন আউট হলেও মোসাদ্দেক হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে বাকি পথটুকু ভালোভাবেই পাড়ি দেন সাব্বির রহমান। ১১ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। ২৬ বলে ৫টি চারের সাহায্যে ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন সাব্বির। ১০ বল থেকে ৩টি চারে ১৫ রান নিয়ে আরেক প্রান্তে ছিলেন মোসাদ্দেক।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ২৮২ রান করে শ্রীলঙ্কা বোর্ড প্রেসিডেন্টস একাদশ। দাসুন শানাকা সর্বোচ্চ ৮৬ ও শিহান জয়াসুরিয়া ৫৬ রান করেন। বাংলাদেশের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন রুবেল হোসেন ও সৌম্য সরকার।

"