ক্রীড়া ডেস্ক

  ২৩ জুলাই, ২০১৯

গুলবাদিনের বোমা!

বিশ্বকাপটা আফগানিস্তান যত দ্রুত ভুলে যাবে ততই মঙ্গল। সদ্য সমাপ্ত ক্রিকেট মহাযঞ্জে প্রতিটি ম্যাচেই হেরেছে ক্রিকেটের উদীয়মান দলটি। অথচ বিশ্বকাপ শুরুর আগে আফগানদের নিয়ে প্রত্যাশাটা মন্দ ছিল না। রশিদ খান-মোহাম্মদ নবীরা সেমিফাইনাল খেলবেনÑ এমন আশা হয়তো কেউ করেননি, কিন্তু একটি-দুটি ম্যাচ জেতার সামর্থ্য তাদের ছিলই।

বিশ্বকাপের মাঝপথেই তোলপাড় চলছে আফগান ক্রিকেটে। টুর্নামেন্ট শেষে তাই শুরু হয়েছে ব্যাপক রদবদল। নেতৃত্বেও এসেছে পরিবর্তন। বিশ্বকাপ চলাকালীন মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন। এখন বিশ্বকাপ শেষ, হারিয়েছেন অধিনায়কত্ব। তাই আর চুপ থাকতে পারলেন না গুলবাদিন নাইব। বললেন, বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের হতশ্রী অবস্থার পেছনে দায়ী সিনিয়র ক্রিকেটাররা। তারা ইচ্ছা করেই বাজে খেলেছেন।

বিশ্বকাপের ঠিক আগ দিয়ে তড়িঘড়ি করে আসগর আফগানকে হটিয়ে অধিনায়কত্ব দেওয়া হয়েছিল গুলবাদিনকে। প্রকাশ্যে সে সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছিলেন রশিদ খান, মোহাম্মদ নবির মতো বড় তারকারা। তখনই বোঝা গিয়েছিল, আফগান ড্রেসিং রুমের ভেতরটা অশান্ত। এমনকি বিশ্বকাপের সময়েও কোচ ফিল সিমন্স ও প্রধান নির্বাচক দৌলত আহমদজাই একে-অপরের দিকে তোপ দেগেছেন। তখন দলের ভেতরকার অবস্থা নিয়ে গুলবাদিন কিছু বলতে না চাইলেও মুখ খুলেছেন এখন। সম্প্রতি গুলবাদিনের কাছ থেকে অধিনায়কত্ব কেড়ে নিয়ে লেগ স্পিনার রশিদ খানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় গুলবাদিন বলেই দিলেন ড্রেসিংরুমের ভেতরের অস্থিরতার কথা।

আফগান সাংবাদিক ওয়াসিল ওয়েসালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গুলবাদিনের নিজের হতাশার কথা জানিয়েছেন, ‘সিনিয়রদের পারফরম্যান্সের ওপর আফগানিস্তান দল নির্ভরশীল। কিন্তু এই সিনিয়ররাই বিশ্বকাপে ইচ্ছা করে খারাপ খেলেছে। যার প্রভাব পড়েছে দলের ফলাফলের ওপর। তারা আমার কথার কোনো গুরুত্ব দিত না। ম্যাচ হেরে তারা দুঃখিত না হয়ে ড্রেসিং রুমে হাসাহাসি করত। ম্যাচের মধ্যে আমি যখন তাদের কোনো নির্দেশনা দিতাম, তখন তারা আমার দিকে তাকাতই না।’ গুলবাদিনের কথা সত্য হলে এটি আফগান ক্রিকেটের জন্য অশনি সংকেতই। রশিদের নেতৃত্বে বিপর্যয় কাটিয়ে আফগান ক্রিকেট কতদূর এগোতে পারে, এখন সেটাই দেখার।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close