ক্রীড়া ডেস্ক

  ২০ জুলাই, ২০১৯

নির্বাসিত জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট

জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলকে সব ধরনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে লন্ডনে অনুষ্ঠিত আইসিসির এক বার্ষিক সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি তাদের অফিশিয়াল ওযেবসাইটে জানায়, স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক নির্বাচনের জন্য একটি স্বচ্ছ প্রক্রিয়া প্রদানে ব্যর্থ হয়েছে জিম্বাবুয়ে। এমনকি তা নিশ্চিত করার জন্য সেখানে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নেই।

শুধু বহিষ্কারই নন, বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে আর্থিক সহযোগিতাও। আইসিসি থেকে প্রতি বছর ৯ মিলিয়ন ডলার পেত জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট (জেডসি)। এই শাস্তির জেরে পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত আইসিসি পরিচালিত কোনো ইভেন্টে অংশ নিতে পারবে না আফ্রিকার দেশটি। ফলে অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হতে চলা পুরুষদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে অংশগ্রহণ নিয়েও সমস্যার মুখে পড়ল ব্রেন্ডান টেলর-হ্যামিল্টন মাসাকাদজারা।

আইসিসি জানায়, বোর্ডে সরকারের হস্তক্ষেপ থাকায় সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২.৪ (সি) ও (ডি) ভেঙেছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট। যদিও আইসিসি তাদের তিন মাসের মধ্যে নয়া বোর্ডের পরিকাঠামো তৈরি করার একটা সুযোগ দিয়েছে। এ ব্যাপারে অগ্রগতি হলে তবেই অক্টোবরের পরবর্তী সভায় বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা।

আইসিসির চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহর বলেন, ‘আমরা খুব সহজে একটা সদস্যকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিই না। আমরা চাই খেলাটিকে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপমুক্ত রাখতে। জিম্বাবুয়েতে যা ঘটেছে সেটা আইসিসি সংবিধান অনুযায়ী গুরুতর অপরাধ।

এটা আমরা চলতে দিতে পারি না। তাই কড়া সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলো আইসিসি।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা অবশ্যই চাই জিম্বাবুয়ে নিয়মিত ক্রিকেট খেলুক, তবে সেটা হতে হবে আইসিসির নিয়ম মেনে।’গেল মাসেই জিম্বাবুয়ে স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন কমিশন (এসআরসি) নিষিদ্ধ করেছিল জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটকে। এক মাস না যেতে এবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও নিষিদ্ধ হলো ১৯৯২ সালে আইসিসির পূর্ণ সদস্য পদ লাভ করা টেস্ট খেলুড়ে দেশটি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close