ক্রীড়া ডেস্ক

  ১৭ জুলাই, ২০১৯

‘হ্যান্ড অব গডে’র স্মৃতি ফিরেছে ‘ব্যাট অব গডে’!

ক্রিকেটের আঁতুড় ঘর লর্ডসে বিশ্বকাপ জিতে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে ইংল্যান্ড। তবে ইংলিশদের এই ইতিহাস জন্ম দিয়েছে একরাশ বিতর্কের, যার কেন্দ্রে ইংল্যান্ড ইনিংসের শেষ ওভারের ওভার-থ্রো।

রবিবাসরীয় ফাইনালের অন্তিম ওভারে জয়ের জন্য স্বাগতিকদের প্রয়োজন ছিল ১৫ রান। ট্রেন্ট বোল্টের প্রথম দুই বলে কোনো রান নিতে পারেননি বেন স্টোকস। তৃতীয় বলে মারেন বিশাল ছক্কা। এরপরের ডেলিভারিতেই ভাগ্যের জোরে ফের ৬ রান পেয়ে যায় থ্রি-লায়ন্সরা। ২ রান নেওয়ার সময় রান-আউট থেকে বাঁচতে ডাইভ মারেন স্টোকস। কিন্তু গাপ্টিলের ছোড়া বল স্টোকসের ব্যাটে লেগে বাউন্ডারির বাইরে আশ্রয় নেয়। একটু ভেবেচিন্তে ৬ রানের সিদ্ধান্ত জানান দুই অনফিল্ড আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা ও মারাইস এরাসমাস।

ম্যাচ টাই হয়ে যায়। ফলে ফাইনাল গড়ায় সুপার ওভারে। কিন্তু সুপার ওভারও টাই হওয়ায় ভাগ্যের নিষ্ঠুর পরিহাসে বিশ্বকাপ শিরোপা অধরাই থেকে যায় নিউজিল্যান্ডের। ম্যাচে বেশি বাউন্ডারি হাঁকানোর সুবাদে প্রথমবার বিশ্বজয়ের স্বাদ পায় ক্রিকেটের জনক ইংল্যান্ড।

২২ গজের এই বিতর্কিত বিশ্বকাপ ফাইনালের সঙ্গে ৩৩ বছর আগে ফুটবল বিশ্বকাপে ডিয়েগো ম্যারাডোনার হাত দিয়ে করা গোলের তুলনা করছেন অনেকেই। ম্যারাডোনা ‘হ্যান্ড অব গড’ যেন সেদিন স্টোকসের ‘ব্যাট অব গড’ হয়ে উঠেছিল।

মেক্সিকোর এস্তাদিও আজতেকায় স্টেডিয়ামে ১৯৮৬ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ম্যারাডোনার হ্যান্ড অব গডের শিকার হয়েছিল ইংল্যান্ড। আর লর্ডসে ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালে স্টোকসের ব্যাট অব গডের শিকার হয় নিউজিল্যাজ।

ইংলিশ বক্সে উঁচুতে ওঠা বল ব্রাজিলিয়ান রেফারি রোমুয়ালদো আরপি ফিলহোর নজর এড়িয়ে হেড দেওয়ার ভঙ্গি করে হাতে লাগিয়ে জালে জড়িয়ে দেন ম্যারাডোনা। পরে ম্যারাডোনাই দাবি করেন, সেই হাতটা ছিল ‘ঈশ্বরের হাত’। আর্জেন্টাইন মহানায়কের হাত দিয়ে করা বিতর্কিত সেই গোল ‘হ্যান্ড অব গড’ নামে খ্যাত।

এবার ‘হ্যান্ড অব গড’-এর অনুকরণে স্টোকসের ব্যাটকে বলা হচ্ছে ‘ব্যাট অব গড’ বা ‘ঈশ্বরের ব্যাট’। ৩৩ বছর আগে ফুটবল মাঠে ঈশ্বর ইংলিশদের বিশ্বকাপ স্বপ্ন চুরমার করে দিয়েছিল। এবার ক্রিকেট মাঠে সেই ঈশ্বরই ইংলিশদের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করল।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close