আরিফ সোহেল
ইতিহাস গড়ে নকআউট পর্বে আবাহনী
বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে সময়টা ভালোই যাচ্ছে বাংলাদেশের। সে কারণেই ধারণা করা হয়েছিলÑ আবাহনীরটা হতেও পারে। গতকাল হয়েছেও তাই। স্বাগতিকদের ন্যূনতম ব্যবধানে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছে আবাহনী লিমিটেড। নিশ্চিত করেছে এএফসি কাপের নকআউট পর্ব।
বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ফুটবল ক্লাব আবাহনী লিমিটেড গতকাল ভারতের গুয়াহাটিতে ১-০ গোলে হারিয়েছে স্বাগতিক মিনারভা পাঞ্জাবকে। এই জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে ‘ই’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরের রাউন্ডে উঠেছে আকাশি-হলুদরা। ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেছেন আফগানিস্তানের ডিফেন্ডার মাশিহ সাইগানি। আগের দুবার গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছিল বাংলাদেশের ক্লাব। এবার দেশের ফুটবলপ্রেমীদের হতাশ করেনি ঢাকা আবাহনী।
ম্যাচের শেষ মুহূর্তে কর্নার থেকে দুর্দান্ত হেডে জয়সূচক গোলদাতা আফগান ডিফেন্ডার মাসিহ সাইগানি। ৬ ম্যাচ থেকে বাংলাদেশের প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়নদের সংগ্রহ ১৩ পয়েন্ট।
গৌহাটির ইন্দিরা গান্ধী স্টেডিয়ামে প্রথম আক্রমণ ছিল মিনার্ভার। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের গুছিয়ে আক্রমণে ওঠে আবাহনী। প্রথমার্ধে পেয়েও গোল পায়নি আবাহনী। তাই দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে আক্রমণের প্রতিপক্ষকে ব্যস্ত করে তোলে। কিন্তু বারবার আক্রমণ ব্যর্থ হচ্ছিল। চলছিল ইনজুরি টাইমের খেলা। ম্যাচ যখন নিশ্চিত ড্রয়ের পথে, ঠিক তখনই ৯৩ মিনিটে জীবনের কর্নার থেকে হেড করেছিলেন বেলফোর্ট। বলশূন্য থাকা অবস্থায় সাইগানির দুর্দান্ত হেড চলে যায় মিনার্ভার জালে।
জয়ের স্বপ্ন নিয়েই মিনারভা পাঞ্জাবের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ৬ বারের চ্যাম্পিয়ন আবাহনী। গ্রুপ শীর্ষে থাকায় কিছুটা আড়ষ্টা পেয়ে বসার যথেষ্ট সুযোগ ছিল আবাহনীর। কিন্তু সেখানে আবাহনী লিমিটেড শুরু থেকেই সতর্ক ছিল মাঠে। আবাহনীর জন্য সহজ সমীকরণের পথ আগেই খোলা ছিল। অন্য ম্যাচের জয়-পরাজয়ের সঙ্গে ছিল পরের পর্বের নিশ্চয়তা। আর সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়েই আবাহনী ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে সতর্কভাবে।
চেন্নাই জিতলে আবাহনীকেও জিততে হবে। এই সমীকরণও বাংলাদেশের আবাহনীর সামনে ছিল। সেই সমীকরণে জয়ী হয়েই আবাহনী উঠে গেছে পরের পর্বে।
দিনের অন্য ম্যাচে ভারতের আরেক দল চেন্নাইয়ান ৩-২ গোলে হারিয়েছে নেপালের মানাং মার্সিয়াংদিকে। ১১ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে দ্বিতীয় হয়েছে চেন্নাইয়া। মিনার্ভার ৫ আর মার্সিয়াংদির ২ পয়েন্ট।
"