ক্রীড়া ডেস্ক
আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন পাকিস্তান কোচ মিকি আর্থার!
২০০৭ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে পড়ার পর পাকিস্তান কোচ বব উলমারের মৃত্যু নাড়িয়ে দিয়েছিল বিশ্বকে। সেবার এ বিশ্বখ্যাত কোচের লাশ মিলেছিল হোটেল কক্ষ থেকে। তার মৃত্যুর রহস্যের কিনারা হয়নি আজও। এবারের বিশ্বকাপেও ঘটতে পারত আরেকটি ট্র্যাজিক ঘটনা। ফের অস্বস্তিতে পড়তে হতো পাকিস্তান ক্রিকেটকে। সরফরাজ-আমিরদের দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ মিকি আর্থার এতটাই চাপে ছিলেন যে, তার মনে হয়েছিল যে তিনি আত্মহত্যা করবেন!
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তান হেরে যাওয়ার পর আর্থার আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন। সেটি তিনি হয়তো করেই ফেলতেন, যদি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পাকিস্তান না জিতত! আপাতত অলক্ষুণে ভাবনা থেকে সরে এসেছেন তিনি।
কেন আত্মহত্যার ভাবনা জেগেছিল আর্থারের মনে? বার্তা সংস্থা এএফপিকে এ প্রোটিয়া কোচ বলেছেন, ‘ভারতের বিপক্ষে হারের পর আমি প্রচ- হতাশ ছিলাম। আত্মহত্যা করার কথাও ভেবেছি। একটা ম্যাচে হারের পর আরেকটি ম্যাচর ধাক্কা। এটি সামলানো বেশ কঠিন। বিশ্বকাপে সব দলকেই প্রচ- চাপের মধ্যে থাকতে হয়। সমর্থকদের প্রত্যাশা, সংবাদমাধ্যম সবকিছু সামলে নিজের অস্তিত্ব বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়ে।’
এমনিতেই আর্থারের ওপর নাখোশ পাকিস্তানি ক্রিকেট প্রশাসকরা। বিশ্বকাপের পরপরই হয়তো তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। চুক্তিও শেষ হয়ে যাবে খুব শিগগিরই। এরপর আর সেটির মেয়াদ না বাড়ানোরই চিন্তা পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি)। সে হিসেবে ভবিষ্যৎও অন্ধকার এই দক্ষিণ আফ্রিকান কোচের। এর মধ্যে যদি একের পর এক হারের ধাক্কা সামলাতে হয়, সেটি কঠিন হয়ে পড়ে যেকোনো মানুষের জন্যই। স্বদেশ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়ের পর অবশ্য আর্থারের দলের মানসিকতায় পরিবর্তন এসেছে। তিনি নিজেও মানসিকভাবে অনেকটাই চাঙা, ‘আমাদের ভালো কিছুর দরকার ছিল। সামনে (আজ) নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ, সে ম্যাচে জিততেই মাঠে নামব। একটা ভালো পারফরম্যান্সই দলকে উজ্জীবিত করে তুলেছে।’
"