ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ২৩ জুন, ২০১৯

আফগানদের বিপক্ষে অচেনা ভারত

দুর্বার ভারতের সামনে পুঁচকে আফগানিস্তান-অবহেলা করে এই ম্যাচের খবর না নিয়ে হয়তো ভুলই করেছেন। এতক্ষণে নিউজটা পড়ার পর স্কোরকার্ড হাতড়ালে চমকেও উঠতে পারেন। খানিকটা সংশয়ও উঁকি দিতে পারে আপনার মনে। যে আফগানিস্তান এই বিশ্বকাপে সবার হাতে মার খেয়ে টেবিলের তলানিতে পড়ে আছে, তারাই কাল ভারতের বিশ্বখ্যাত ব্যাটিং লাইনআপকে কী ভোগানটাই না ভোগাল! ৮ উইকেটে ২২৪ রান তুলতেই ফুরিয়ে গেল ভারতের ৫০ ওভার।

অবশ্য লক্ষ্য তাড়ায় আফগানরাও এগোচ্ছিল মন্থর গতিতে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৯ ওভার শেষে ২ ওপেনারকে খুইয়ে আফগানদের সংগ্রহ ৬৭ রান। বুমরাহ-সামি-চাহালদের সামলাচ্ছিলেন মিডল অর্ডারের দুই ভরসা রহমত শাহ (১৭*) ও হাশমতউল্লাহ শাহিদী (১*)।

তবে প্রশ্নÑ সাউদাম্পটনে কাল টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামার পর বিরাট কোহলি আর বাকি ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা কি ভিন্ন উইকেটে ব্যাট করলেন? পুরো ভারতীয় ইনিংস দেখে থাকলে এমনটাই মনে হওয়ার কথা। যে উইকেটে কোহলি বলের চেয়ে রান বেশি করলেন, সেখানে বাকিদের কী করুণ অবস্থা! বিশ্বকাপে প্রথমে ব্যাট করে ভারত এর চেয়ে কম রান তুলেছিল ২০০৭ বিশ্বকাপে, বাংলাদেশের বিপক্ষে। পোর্ট অব স্পেনের সেই বিখ্যাত ম্যাচের ফলাফল নিশ্চয়ই সবার জানা।

ভারতীয়দের মধ্যে কাল আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের ইচ্ছাটাই যেন ছিল না। ঘুমিয়ে ঘুমিয়েও স্পিন খেলতে পারে বলে সুনাম আছে যাদের, সেই ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপ শনিবার আফগান স্পিনের সামনে ছিল অসহায়। একের পর এক ডট বল খেলে চাপ তৈরি করেছে নিজেদের ওপর। সাবেক অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি রানের জন্য রীতিমতো হাঁসফাঁস করতে করতে উইকেট উপহার দিয়ে এসেছেন রশিদ খানকে। শুধু ধোনি কেন, কোহলি বাদে সব ভারতীয় ব্যাটসম্যান কাল যা ব্যাটিং করেছেন, পারলে তা ভুলেই যেতে চাইবেন। রশিদ খানের করা ৪৭তম ওভারে তো এক রানও বের করতে পারেননি কেদার যাদব!

তবে শুধু ভারতীয়দের ব্যর্থতার কথা বললে আফগান বোলারদের প্রতি কিছুটা অবিচারই করা হবে। চার স্পিনার কাল সত্যিই দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। মুজিব, রশিদ, নবী, রহমতÑ সবাই ছিলেন এক কথায় অসাধারণ। সব মিলিয়ে চলতি বিশ্বকাপে জয়ের মুখ না দেখা আফগানিস্তানের সামনে সুবর্ণ সুযোগ ছিল সবচেয়ে বড় অঘটনটি ঘটিয়ে ফেলার। সেটা তারা করতে পেরেছে কি না, সেটা নিশ্চয় এতক্ষণে জেনে গেছেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close