সাহিদ রহমান অরিন

  ২১ জুন, ২০১৯

লঙ্কানদের ইংলিশ পরীক্ষা আজ

বিশ্বকাপজুড়ে দাপট দেখানো বৃষ্টি যে অদ্ভুত পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে তাতে সেমিফাইনালে ওঠার সমীকরণ ক্রমশ জটিল হয়ে উঠেছে। একমাত্র ইংল্যান্ড ব্যতীত বৃষ্টির বাগড়ায় পড়েছে সবকটি দলই। এতে করে লাভ বৈ ক্ষতিই হয়েছে বেশিরভাগ প্রতিযোগীর। তবে বিরূপ প্রকৃতির খপ্পরে পড়ে যে দলটা সবচেয়ে লাভবান হয়েছে বলে ধারণা করছেন ক্রিকেটবোদ্ধারা, সেই দলটার নাম শ্রীলঙ্কা। প্রতিকূল আবহাওয়ায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের বিপক্ষে লঙ্কানদের ম্যাচ দুটো ভেস্তে যাওয়ায় দুই-দুইটি পয়েন্ট হোটেল আর ড্রেসিং রুমে শুয়ে-বসেই পকেটে পুরেছেন মালিঙ্গা-ম্যাথুসরা।

গেল চার বছর ধরে লঙ্কান ক্রিকেটের যে টালমাটাল অবস্থা তাতে পরিত্যক্ত হওয়া ম্যাচ দুটোতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানকেই বিজয়ীর বেশে দেখেছিলেন ক্রিকেট বিশ্লেষকরা। সেটা হলে এত দিনে কলম্বোর টিকিট বুকিং দিয়ে রাখতে হতো ১৯৯৬ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের। তবে প্রকৃতির ওপর তো কারো হাত নেই। তাই ওই দুই যাত্রায় টিকে গেলেও আজ বোধহয় আর রক্ষা নেই চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যদের। শুক্রবার লঙ্কানদের প্রতিপক্ষ যে পরাক্রমশালী স্বাগতিক ও আসরের হট ফেভারিট ইংল্যান্ড! যারা খেলতে নামলে বৃষ্টিও লেজ গুটিয়ে পালায়। লিডসের হেডিংলিতে খেলা শুরু বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টায়। জো রুট-জনি বেয়ারস্টোর ‘হোমগ্রাউন্ড’ হেডিংলিতে এবারের বিশ্বকাপে এটাই প্রথম ম্যাচ। ইয়র্কশায়ারের আবহাওয়াবিদরা আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, আজ বৃষ্টি নামার সম্ভাবনা নেই। সকাল ১০টা পর্যন্ত আকাশ খানিকটা মেঘলা থাকলেও দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সরে যাবে মেঘ, দেখা মিলবে ঝলমলে রোদের। ফলে এবারের বিশ্বকাপে লঙ্কানদের সূর্য অস্তমিত হতে পারে আজই।

তবে আগেভাগেই আত্মসমর্পণ করতে নারাজ দিমুথ করুণারতেœ। ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে লঙ্কান দলপতি জানান, বৃষ্টির কল্যাণে পয়েন্ট পান, সেটা তারাও চান না। জয়-পরাজয় যাই হোক, তারা শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যেতে চান। অবশ্য শ্রীলঙ্কাকে খাটো করে দেখছে না ‘ক্লিয়ার ফেভারিট’ ইংল্যান্ডও। বিশ্বকাপে পচা শামুকে পা কাটার অনেক নজির আছে। সেটা ভালো করেই জানেন সংবাদ সম্মেলনে ইংলিশদের প্রতিনিধি হয়ে আসা অলরাউন্ডার মঈন আলি। তাই শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে দলের সবাই সতর্ক রয়েছেন বলে জানান মঈন। টুর্নামেন্টজুড়েই ছন্নছাড়া ব্যাটিং করছে শ্রীলঙ্কা। টপ অর্ডাররা ভালো শুরু এনে দিলেও ইনিংসটাকে বড় করতে পারছেন না মিডল ও লোয়ার অর্ডাররা। বিপরীতে ইংল্যান্ড খেলছে ইংল্যান্ডের মতোই। প্রতি ম্যাচেই ৩৫০-এর পণ করে মাঠে নামে তারা। সেটা তারা পেরিয়েও যায় অনায়াসে। নতুন ভেন্যু, ভিন্ন পরিবেশ, সতেজ পিচÑ আজ তাই আরেকটা রান উৎসব দেখতে চলেছে ক্রিকেটপ্রেমীরা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close