ক্রীড়া ডেস্ক

  ১৮ জুন, ২০১৯

ম্যাচ-পূর্ব রাতে ক্যাফেতে আড্ডা

ভক্তদের রোষানলে পাকিস্তানি খেলোয়াড়রা

ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেটযুদ্ধে ‘মাতা হারি’ তকমা মিলল ভারতীয় টেনিস তারকা সানিয়া মির্জার। পাকিস্তান সমর্থকদের অভিযোগ, খেলার আগে ক্রিকেটারদের অধ্যবসায়, মনোসংযোগ, নিয়মানুবর্তিতা নষ্ট করতেই ডিনারে গিয়েছিলেন ভারতীয় ‘লাস্যময়ী’। যার ফলে রোববার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের হেরে গেছে পাকিস্তান।

শনিবার ম্যানচেস্টার সময় রাত ২টা। ওই মুহূর্তে নগরীর উইনসেøা রোডের শিশা ক্যাফেতে শোয়েব মালিককে সস্ত্রীক দেখেছেন স্থানীয়রা। শুধু তিনি একা নন। ডিনারে হাজির ওয়াহাব রিয়াজ, ইমাম-উল-হক, ইমাদ ওয়াসিমসহ একাধিক পাকিস্তানি ক্রিকেটার। খানা-পিনায় মশগুল পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের মধ্যে মধ্যমণি হয়ে ছিলেন সানিয়া।

পুরো ঘটনা ধরা পড়েছে এক পাকভক্তের ক্যামেরায়। ভিডিওটি ভাইরাল হতেই পাকিস্তান জুড়ে মাটিতে এমনকি বিদেশেও সমালোচনার ঝড় উঠেছে। পাকিস্তানি সমর্থকদের অভিযোগ, বিশ্বকাপের ময়দানে নামার ১২ ঘণ্টা আগে ফিটনেসের তোয়াক্কা না করে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশের প্রতিনিধির সঙ্গে মৌজ-মাস্তিতে মেতেছেন খেলোয়াড়রা। আর তাই এই হার। তবে পাকিস্তানি শিবিরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ওইখানে গ্লাসে কোনো মাদকপানীয় ছিল না, ছিল পানি। আর ঘটনাটা রাত ২টায় নয়। শোয়েব মালিক নাকি রাত সাড়ে ১০টার মধ্যে হোটেলে ফিরে এসেছিলেন। আসলে তাকে অপবাদ দিতেই এসব ছড়ানো হয়েছে।

ভিডিওতে দেখা গেছে, শুধু স্বামী শোয়েব নন, বহু পুরুষের ‘হার্ট থ্রব’ সানিয়ার মাদকতায় মত্ত বাকি পাকিস্তানি খেলোয়াড়রাও। শিশা ক্যাফের আলো-আঁধারিতে ধূমপান করতে দেখা গেছে শোয়েবকে। আর সেই ধোঁয়ায় ঘোলাটে ক্যাফের টেবিলে বসে পিৎজা-বার্গারের মতো জাঙ্ক ফুডে কামড় দিচ্ছেন অন্য খেলোয়াড়রা। প্রশ্ন উঠেছে, কেন ম্যাচের আগের রাতে পার্টিতে গেলেন পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা? কেনই বা বিশ্রাম ও ফিটনেসের তোয়াক্কা না করে ফাস্টফুড-ধূমপানে মাতেন তারা? প্রশ্ন উঠেছে, সানিয়ার ভূমিকা নিয়েও। স্বামী-সঙ্গ, নাকি তার মাদকতায় পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের বুঁদ করতেই শিশা ক্যাফেতে গিয়েছিলেন সানিয়া?

প্রশ্নটা যতই ব্যক্তিগত হোক, আপাতত পাকিস্তানি সমর্থকদের মনে এমনই সন্দেহের মেঘ জমাট বেঁধে রয়েছে। তাদের অভিযোগ, ক্রিকেটারদের পেছনে মোটা অঙ্কের অর্থ ঢালা হলেও দেশের সম্মান নিয়ে তারা চিন্তিত নন। বিশ্বকাপের মতো খেলায় যেখানে খেলোয়াড়দের ফিটনেস সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, সেখানে তা নিয়ে ক্রিকেটাররা একেবারেই উদাসীন। এর আগে ছয়বারই বিশ্বকাপের ময়দানে ভারতের বিরুদ্ধে পরাজয় বরণ করেছে পাকিস্তান। তারপরও কেন নিয়মানুবর্তিতার তোয়াক্কা না করে এত রাত পর্যন্ত হই-হুল্লোড়ে মাতলেন ওয়াহাব রিয়াজ, ইমাম-উল-হকরা?

ম্যাচ শেষে ভক্তদের অভিযোগগুলো আরো সমর্থন পেয়েছে। কারণ, গভীর রাতে ক্যাফেতে মৌজ-মাস্তিতে মেতে ওঠা পাকিস্তানি খেলোয়াড়ের কেউই ভালো করতে পারেননি। বল হাতে নিষ্প্রভ ছিলেন ওয়াহাব-ইমাদ। ইমাম শুরুতেই এলবিডব্লিউ হয়ে দলকে বিপদে ফেলে গেছেন। আর মাস্তির মাস্টারমাইন্ড শোয়েব মালিক তো রানের খাতাই খুলতে পারেননি।

এদিকে, রোববার ওল্ড ট্রাফোর্ডে ম্যাচ দেখে ফেরার সময় পাকিস্তানি সমর্থকদের কটাক্ষের মুখে পড়তে হয় সাইফ আলি খানকে। বলিউড অভিনেতার ‘এজেন্ট বিনোদ’ ও ‘ফ্যানটম’ মুভির উল্লেখ করে তাকে নিয়ে মশকরা করা হয়। এমনকি তাকে ভারতীয় দলের ‘দ্বাদশ খোলোয়াড়’ও বলা হয়। অবশ্য পাকিস্তানি ভক্তদের সেসব সমালোচনায় কান দেননি ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক মনসুর আলি খান পতৌদির ছেলে সাইফ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close