ক্রীড়া ডেস্ক

  ২৮ মে, ২০১৯

বিশ্বকাপে থাকছে সুপার ওভার

২০১১ বিশ্বকাপের মতো ২০১৯ বিশ্বকাপেও থাকছে সুপার ওভার। বিশ্বকাপের একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে গুরুত্বপূর্ণ বেশকিছু নিয়ম জানিয়েছে আইসিসি। যার মধ্যে আছে এই সুপার ওভারের বিষয়টি।

মূলত, লিগ পর্বে সুপার ওভারের দরকার পড়ছে না। এখানে কোনো ম্যাচ টাই হলে পয়েন্ট ভাগ হবে। আর নকআউট পর্বে ম্যাচ টাই হলে ফলাফল নির্ধারণের জন্য সুপার ওভারে মুখোমুখি হতে হবে দল দুটিকে। এছাড়া বৃষ্টি কিংবা অনিবার্য কারণে খেলা বন্ধ হয়ে গেলেও থাকছে রিজার্ভ ডের ব্যবস্থা।

২০০৭ সালে প্রথম সুপার ওভার আসে ক্রিকেটে। টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দুই দলের রান সমান হয়ে গেলে প্রথম উদ্ভব হয় এ সিস্টেম। ২০১১ বিশ্বকাপের নকআউট পর্ব দিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটেও জায়গা করে নেয় সুপার ওভার। পরবর্তী সময়ে ২০১৫ বিশ্বকাপের ফাইনালেও ম্যাচ টাই হওয়া সাপেক্ষে রাখা হয় সুপার ওভারের নিয়ম। তবে দুই দলের রান ওইসব ম্যাচে সমান না হওয়ার কারণে প্রয়োজন পড়েনি সুপার ওভারের।

গতবার শুধু ফাইনালের জন্যই সুপার ওভার বরাদ্দ থাকলেও এবার ২০১১ বিশ্বকাপের মত নকআউট পর্বে অর্থাৎ দুটি সেমিফাইনাল ও ফাইনালের জন্য থাকছে এ নিয়মটি। সুপার ওভার ছাড়া বিশ্বকাপকে জমিয়ে তুলতে আইসিসি রাখছে আরো কিছু নিয়ম কানুন।

সেমিফাইনাল ও ফাইনালের জন্য রাখা হয়েছে রিজার্ভ ডের ব্যবস্থা। বৃষ্টি কিংবা বৈরী আবহাওয়ার কারণে নির্ধারিত দিনে ভেস্তে যাওয়া ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে পরের দিন। তবে রিজার্ভ ডে’তে ম্যাচ আয়োজন ঝামেলা বলে ম্যাচ অফিশিয়ালদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে নির্ধারিত দিনেই কার্টেল ওভারে গিয়ে হলেও ম্যাচ শেষ করে দেওয়া। একেবারেই ব্যর্থ হলে ম্যাচ গড়াবে রিজার্ভ ডে’তে।

সেমিফাইনাল, ফাইনালে কোনো ম্যাচ মাঝপথে বৃষ্টি কিংবা বৈরী আবহাওয়ার কারণে থেমে গেলে রিজার্ভ ডে’তে ঠিক ওইখান থেকেই শুরু হবে ম্যাচটি। সুপার ওভারের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম থাকবে। টাই হয়ে যাওয়া ম্যাচের সুপার ওভার কোনো কারণে সম্পন্ন করা না গেলে রিজার্ভ ডে’তে অনুষ্ঠিত হবে ফলাফল নির্ধারণী সুপার ওভার।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close