ক্রীড়া ডেস্ক

  ২৮ মে, ২০১৯

কোহলিকে শচীনের টিপস

অপেক্ষার আর মাত্র দুই দিন। তারপরই মহারণ। ৩০ মে থেকে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের মাটিতে শুরু হচ্ছে দ্বাদশতম ক্রিকেট বিশ্বকাপের আসর। ইংল্যান্ডের মাটিতে সাউদাম্পটনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে এবার বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করছে ‘মেন ইন ব্লু’। প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে ম্যাচের পর অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তান, প্রথমেই কোহলিদের সামনে চার কঠিন ম্যাচ। অভিযান শুরুর আগে কোহলিদের জন্য তাই টিপস নিয়ে হাজির ক্রিকেট ঈশ্বর শচীন টেন্ডুলকার।

৫০ ওভারের ক্রিকেট কার্নিভ্যাল এবার রাউন্ড রবিন ফরম্যাটে। অর্থাৎ ১০ দলের লিগে প্রতিটি দল বাকি ৯টি দলের বিরুদ্ধে একটি করে ম্যাচ খেলবে। শেষবার ১৯৯২ বিশ্বকাপ এই ফরম্যাটে খেলা হয়েছিল। এই ফরম্যাটে বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে শচীন টেন্ডুলকারের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পাঁচ বছরের মাথায় কেরিয়ারের প্রথম বিশ্বকাপ খেলেছিলেন লিটল মাস্টার। সব মিলিয়ে ভারতের হয়ে ছয়টি বিশ্বকাপ খেলেছেন শচীন।

যার মধ্যে কেরিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ ২০১১ সালে ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ পান ক্রিকেট ঈশ্বর। ১৯৯২ বিশ্বকাপে রাউন্ড রবিন ফরম্যাটে খেলার সেই অভিজ্ঞতা থেকেই ২০১৯ বিশ্বকাপে কোহলিদের জন্য টিপস শচীনের।

কিংবদন্তি ক্রিকেটার বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর রাউন্ড রেবিন ফরম্যাট ফিরল। যার অর্থ এবার কোহলিদের আরো বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলতে হবে। দীর্ঘমেয়াদি টুর্নামেন্টে ফোকাস ধরে লেখে সঠিক সময়ে গর্জে উঠাটাই আসল কৌশল। গ্রুপে ৯টি ম্যাচ খেলা কঠিন, তার জন্য ভিন্ন রণরীতি প্রয়োজন। শেষ দিন পর্যন্ত ধারাবাহিকতা দেখাতে হবে কোহলিদের।

উল্লেখ্য ১৯৯২ বিশ্বকাপে লম্বা লিগে শুরুতেই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচ হার ও শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় পয়েন্ট হারিয়ে পড়ে গিয়েছিল ভারত দল। পরে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারে আরো সমস্যায় পরে মেন ইন ব্লু। পাকিস্তান-জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচটিতে কামব্যাক করলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিবার বিরুদ্ধে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয় ভারক।

অন্যদিকে ভারতীয় দলের ভারসাম্য ও বৈচিত্র্য শচীনকে খুশি করেছে। জাতীয় সংবাদমাধ্যমেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শচীন বলেন, ‘বিশ্বকাপে আমাদের দলে দারুণ মানের দুই তারকা (হার্দিক পান্ডিয়া ও বিজয় শংকর) অলরাউন্ডার রয়েছে। সেইসঙ্গে রয়েছে দারুণ মানের দুই রিস্ট স্পিনার (কুলদীপ ও চাহাল)। সঙ্গে স্পিনার অলরাউন্ডারের তালিকায় রয়েছে অভিজ্ঞা রবীন্দ্র জাদেজা। ২০১৫ এর দলের সঙ্গে তুলনা করলে এই দলের ভারসাম্য ও বৈচিত্র্য বেশি।’ এর পাশাপাশি ভারতের পেস ইউনিটে রয়েছেন জসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ শামি ও ভুবনেশ্বর কুমার। সব মিলিয়ে শচীনের মত, এই বোলিং আক্রমণ কোহলির দলের অন্যতম প্রধান শক্তি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close