ক্রীড়া ডেস্ক

  ২১ মে, ২০১৯

ক্যানসারের কাছে হার মানল আসিফের মেয়ে

গেল কমাস ধরে চতুর্থ গ্রেডের ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিল পাকিস্তানি ক্রিকেটার আসিফ আলির মেয়ে। কিন্তু সেই যুদ্ধে হেরে গেল দুই বছরের শিশুটি। রোববার যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছে সে। মেয়ে নূর ফাতিমা যখন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছিল, হতভাগা বাবা আসিফ তখন দেশের হয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলায় ব্যস্ত ছিলেন। ফলে জীবন-মরণের সন্ধিক্ষণে আদরের সন্তানের মুখটি শেষবারের মতো দেখতেও পারলেন না আসিফ।

জন্মের পরপরই ক্যানসার ধরা পড়ে নূর ফাতিমার। খবরটা শুনে সে সময় কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) আসিফের দল ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের কোচ ডিন জোন্স। উন্নত চিকিৎসায় গেল এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রে নেওয়া হয় নূরকে। তার আগে মেয়ের জন্য সবার কাছে দোয়া কামনা করেন আসিফ। টুইট বার্তায় ২৭ বছর বয়সি ক্রিকেটার লেখেন, ‘আমার মেয়ে ক্যানসারের চতুর্থ ধাপে রয়েছে। সে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। চিকিৎসার জন্য আমরা তাকে যুক্তরাষ্ট্রে নিচ্ছি। মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে ভিসা ইস্যুর জন্য ইসলামাবাদের মার্কিন দূতাবাস ও লাহোরের মার্কিন কনস্যুলেটকে আমার সালাম। আমার রাজকন্যার জন্য সবাই দোয়া করবেন।’

এদিকে, আসিফ কন্যার মৃত্যুর খবরে গভীর শোক জানিয়েছে ইসলামাবাদ ইউনাইটেড। টুইটারে তারা লিখেছে, ‘আসিফ আলির মেয়ের অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করছে ইসলামাবাদ ইউনাইটেড পরিবার। আসিফ ও তার পরিবারের জন্য সব সময় আমাদের দোয়া থাকবে। আসিফ শক্তি ও সাহসের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। সে আমাদের কাছে অনেক বড় প্রেরণার নাম।’

আসিফের সতীর্থ শাদাব খান লিখেছেন, ‘আল্লাহ্ আসিফ ভাইয়ের মেয়েকে জান্নাত নসিব করুন এবং তার পরিবারকে শোক সহ্য করার শক্তি দিন। আসিফ ভাইয়ের মতো ভালো মানুষ আমি দেখিনি। এই দুঃসময়ে আমরা সবাই তার পাশে আছি।’

প্রসঙ্গত, বিশ্বকাপের জন্য ঘোষিত পাকিস্তানের প্রাথমিক স্কোয়াডে ছিলেন না আসিফ। তবে ইংল্যান্ড সফরে ব্যাট হাতে দারুণ ধারাবাহিক ছিলেন আসিফ। আর তাই আইসিসির নতুন নিয়ম অনুযায়ী ২৩ মে পর্যন্ত দল পরিবর্তনের সুযোগ কাজে লাগিয়ে তাকে চূড়ান্ত দলে টেনেছেন প্রধান নির্বাচক ইনজামাম-উল-হক। শোকে কাতর এ হার্ড হিটার ব্যাটসম্যান বিশ্বকাপে কেমন করেনÑ সেটাই দেখার বিষয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close