ক্রীড়া ডেস্ক

  ১৯ মে, ২০১৯

ঐচ্ছিক ছুটি কাটাতে দেশে ফিরলেন মাশরাফি

তিন জাতির সিরিজ শেষে মিলবে ছোট্ট একটা বিরতি, সেই সময়টা দেশে পরিবারের সঙ্গে কাটানোর পরিকল্পনা করে রেখেছিলেন আগেই। যেমন কথা তেমন কাজ। ট্রফি জয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে তড়িঘড়ি ডাবলিন বিমানবন্দরের পথে ছুটলেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।

বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকা তামিম ইকবালও হয়েছেন মাশরাফির সঙ্গী। তাদের সঙ্গে একই উড়োজাহাজে চড়েছেন শুধুমাত্র আয়ারল্যান্ড সিরিজের জন্য ডাক পাওয়া তাসকিন আহমেদ, ইয়াসির আলি রাব্বি, ফরহাদ রেজা ও নাঈম হাসান। দীর্ঘ ভ্রমণ শেষে গত রাতে তামিম ছাড়া বাকিরা নিরাপদে ঢাকায় পৌঁছে গেছেন। মাঝপথে তামিম নেমে গেছেন দুবাইয়ে। তার স্ত্রী-সন্তান এখন সেখানেই অবস্থান করছেন। টাইগার টিম ম্যানেজমেন্ট নিশ্চিত করেছে তাদের ফেরার খবরটি।

তবে বিশ্বকাপের আগে মাশরাফি ও তামিম পরিবারের সঙ্গে কাটাতে পারবেন মোটে তিন দিন। বিশ্বকাপ মিশনের জন্য মাশরাফিকে লন্ডন যেতে হবে ২৩ মে। ওইদিনই বিশ্বকাপে অংশ নিতে যাওয়া সব অধিনায়ককে নিয়ে আইসিসির একটি অনুষ্ঠান রয়েছে লন্ডনে। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার দুবাই থেকে কার্ডিফে গিয়ে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন তামিম। অবশ্য সাকিব-তামিমদের মতো মাশরাফি বিশ্বকাপের সময় পরিবার সঙ্গে রাখছেন না। তার ইচ্ছা বিশ্বকাপ শেষেই স্ত্রী-সন্তাদের নিয়ে কয়েকটা দিন ইউরোপ ঘুরে বেড়ানোর। লিগ পদ্ধতিতে এবার বিশ্বকাপ হওয়ায় টুর্নামেন্টের দৈর্ঘ্য বেশ লম্বা। গৃহকাতরতা থেকে রেহাই পেতে আসল মিশন শুরুর আগে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোই ভালো করার টনিক, এমনটাই মনে করেন ম্যাশ।

কান্না-হতাশাকে বিদায় বলে দিয়ে অবশেষে ফাইনাল জিতেছে বাংলাদেশ। কঠিন লক্ষ্য সামনে রেখেও অধিনায়ক মাশরাফি বিশ্বাস হারাননি। ইতিহাসে ঢুকে যাওয়া দিনে বাংলাদেশের ড্রেসিংরুম থেকে টিম হোটেল পর্যন্ত ছিল আনন্দের বন্যা। সেই বন্যার ঢেউ যেন আছড়ে পড়ছিল মাশরাফি বিন মুর্তজার গায়ে। মুশফিক-সাব্বির অভিনন্দন জানিয়েছেন অধিনায়ককে। রাজনীতিতে নাম লেখানো মাশরাফি খেলায় আর কত দিন থাকবেন কে জানে। তবে বিধাতা তার প্রতি অন্যায় করেননি। লাল-সবুজের বাংলাদেশের প্রথম ট্রফিটা মাশরাফির হাতেই ওঠা উচিত ছিল। পরশু মালাহাইডে হয়েছেও সেটা। দেশের বিমান ধরার অধিনায়ক মাশরাফি জানান কখনোই বিশ্বাস না হারানোর কথা, ‘উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো ছিল। তাই লক্ষ্যটা একটু বড় থাকলেও আমাদের আত্মবিশ্বাস ছিল, আমরা পারব।’ তিন জাতির সিরিজে শিরোপা জয় এখন সেই আত্মবিশ্বাসকেও বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ।

কাল ইংল্যান্ডের বিমানে দলের বাকি ১৩ সদস্য সেই আত্মবিশ্বাসই বয়ে নিয়ে গেছেন। একসঙ্গে শনিবার ডাবলিন থেকে রওনা দিয়ে লন্ডন হয়ে লেস্টারে পৌঁছেছেন। তবে সঙ্গে বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ ছিলেন না। পারিবারিক কাজে তিনি স্বদেশ জ্যামাইকায় গেছেন। লেস্টারে তিন দিন অনুশীলন রয়েছে দলের। বৃহস্পতিবার লেস্টার ছেড়ে কার্ডিফের উদ্দেশে রওনা দেবেন টাইগাররা। কার্ডিফে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন ওয়ালশ। ২৬ ও ২৮ মে কার্ডিফে ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ রয়েছে বাংলাদেশের। সেই ম্যাচ দুটো শেষে ২৯ মে কার্ডিফ থেকে লন্ডনে ফিরবে টাইগাররা। আগামী ২ জুন বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ওভালে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close