ক্রীড়া ডেস্ক
বিশ্বকাপের আগে দুরন্ত ছন্দে স্মিথ
আইপিএলেই ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। এক বছরের নির্বাসন কাটিয়ে জাতীয় দলে ফিরে এসেই অজি টিম ম্যানেজমেন্টকে আশ্বস্ত করলেন স্টিভ স্মিথ। নিউজিল্যান্ড একাদশের বিরুদ্ধে তিনটি প্রস্তুতি ম্যাচে স্মিথের ব্যাটের রানের ফুলঝুরি আসন্ন বিশ্বকাপের আগে অজি সমর্থকদের আশাবাদী করবে নিশ্চিত।
আইপিএলের ১২ ম্যাচে ৩টি হাফসেঞ্চুরিসহ ৩৯ দশমিক ৮৭ গড়ে ৩১৯ রান করেন স্মিথ। কিউই একাদশের বিরুদ্ধে প্রথম অনুশীলন ম্যাচে আউট হন ২২ রানে। সেটি ছিল অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে স্মিথের কামব্যাক ম্যাচ। পরে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে অপরাজিত ৮৯ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন তিনি। এবার তৃতীয় প্র্যাকটিস ম্যাচেও অল্পের জন্য শতরান হাতছাড়া হলো স্মিথের। নিশ্চিত শতরানের দিকে এগোচ্ছিলেন। আলোয় স্বল্পতায় খেলা নির্ধারিত সময়ের আগেই বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেঞ্চুরি করা হয়নি স্মিথের। তিনি নটআউট থেকে যান ব্যক্তিগত ৯১ রানে। ১০৮ বলের ইনিংসে ১০টি বাউন্ডারি মারেন স্মিথ। ডেভিড ওয়ার্নার অবশ্য এই ম্যাচেও বড় রান করতে ব্যর্থ। তিনি আউট হন মাত্র ২ রান করে।
স্মিথের সঙ্গে জুটি বেঁধে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল অস্ট্রেলিয়াকে জয় এনে দেন। ৬টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৪৮ বলে ৭০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন ম্যাক্সওয়েল। এছাড়া খোওয়াজা ২৩ ও শন মার্শ ৩২ রান করেন। প্রথমে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ড একাদশ নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৮৬ রান তোলে। উইল ইয়ং ১১১ ও জর্জ ওয়ার্কার ৫৯ রান করেন। প্যাট কামিন্স ৪টি এবং অ্যাডাম জাম্পা ও মার্কাস স্টোইনিস ২টি করে উইকেট নেন। একটি উইকেট নিয়েছেন মিচেল স্টার্ক।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া একাদশ ৪৪ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৪৮ রান তুললে মন্দ আলোয় খেলা বন্ধ হয়ে যায়। ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়মে সেই সময় ২৩৩ রান করলেই ম্যাচ জিতত অস্ট্রেলিয়া। সেই অনুযায়ী ১৮ রানে ম্যাচ জেতে অজিরা।
"