ক্রীড়া ডেস্ক
ভবিষ্যতে চোখ রাখছেন অধিনায়ক
ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩৮ রানে ১ উইকেট নিয়েছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। খালি চোখে খুব আহামরি বোলিং হয়তো নয়! কিন্তু ম্যাচের গতিবিধিতে যাদের নজর ছিল, তাদের ভালোই জানা কোনো পরিস্থিতি থেকে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে মিলে ম্যাচের মোড়ই ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন মিরাজ!
উদ্বোধনী জুটিতে ১৬ ওভারে নব্বইয়ের কাছাকাছি রান। বড় সংগ্রহের দিকে দাপটেই এগোচ্ছিল উইন্ডিজ। জুটি ভাঙতে মিরাজের শরণাপন্ন হলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিয়ে সুনীল আমব্রিসকে মাহমুদউল্লাহর ক্যাচ বানালেন মিরাজ। দল পেল ব্রেক-থ্রু। পরে সাকিবকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে আটকে রাখেন ক্যারিবীয়দের রানের চাকাও!
ম্যাচ শেষে সাকিব নিজেই বলেছিলেন, মিরাজের সঙ্গে তার ওই বোলিং স্পেলটা ঘুরিয়ে দিয়েছে ম্যাচের মোড়। পরশু আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়া ম্যাচের পর অধিনায়ক মাশরাফিও জানালেন একই কথা। সঙ্গে যোগ করলেন, আসছে বিশ্বকাপ ও ভবিষ্যতের সিরিজগুলোতে দলের মূল খেলোয়াড়দের একজন হয়ে উঠবেন অফস্পিন-অলরাউন্ডার মিরাজ।
‘সে (মিরাজ) দারুণ খেলছে। যদি মিরাজের গত বছরের পারফরম্যান্সগুলোর দিকে তাকান, বুঝতে পারবেন সে দিন দিন আরো পরিণত হচ্ছে। উইকেট যতই জটিল হোক না কেন, সে নিজে থেকেই বিষয়টা বুঝে নেয়। তারপর সেভাবে বল করে। সে আমাদের দলের একজন কি-প্লেয়ার।’
মাশরাফিকে সঠিক প্রমাণ করছে মিরাজের ওয়ানডে রেকর্ডও। ২০১৭ সালে ওয়ানডে অভিষেকের পর ২৬ ম্যাচে নিয়েছেন ২৭ উইকেট। খুব বেশি হয়তো নয়। কিন্তু চোখে প্রশান্তি এনে দিতে পারে মিরাজের রান খরচের গড়। বর্তমানে ধুমধাড়াক্কা ক্রিকেটের যুগে ম্যাচপ্রতি ওভারে খরচ সাড়ে চারেরও নিচে, এমন রানরেট, একজন স্পিনারের জন্য আদর্শই। নতুন কিংবা পুরোনো, বল হাতে সাকিবের পাশাপাশি মিরাজও এখন মাশরাফির হাতে নয়া অস্ত্র! এ অফস্পিন-অলরাউন্ডার বলে পাশাপাশি ব্যাটেও অবদান রাখছেন টাইগারদের নানা স্মরণীয় অর্জনে।
"