ক্রীড়া ডেস্ক

  ০৬ মে, ২০১৯

গেম চেঞ্জারে পাকিস্তান ক্রিকেটে ‘গৃহযুদ্ধ’

শহীদ আফ্রিদির আত্মজীবনী ‘গেম চেঞ্জার’ প্রকাশের সূত্র ধরে একটার পর একটা চাঞ্চল্যকর ও বিতর্কিত সামনে আসছে। নিজের বয়স থেকে সাবেক সতীর্থদের বিষয়ে ইতিবাচক, নেতিবাচক অনেক কথাই বলেছেন বইতে। আফ্রিদির নিজের জীবনের কাহিনির সঙ্গে নতুন সংযোজন হয়েছে ২০১০ সালে লর্ডস টেস্টের স্পট ফিক্সিং কা-।

২০০৭ সালে কানপুরে ভারত-পাকিস্তানের এক দিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে গৌতম গম্ভীর ও আফ্রিদির মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। আইসিসির আচরণবিধি ভাঙার দায়ে দুজনই শাস্তি পান।

সেই রেশ ধরা পড়েছে আফ্রিদির বইতেও। যেখানে গম্ভীরের কোনো ব্যক্তিত্ব নেই। শুধু আছে এক গাদা আচরণগত সমস্যা এমনসব মন্তব্য করেছেন আফ্রিদি। পরে মানসিকভাবে অসুস্থ দাবি করে আফ্রিদিকে ভারতের চিকিৎসা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন গম্ভীর।

কিন্তু সেটা ছিল ভারত-পাকিস্তান চিরকালীন দ্বন্দ্বের ছায়া। আফ্রিদি গোল বাঁধিয়েছেন নিজ দেশের সাবেক গ্রেটদের নিয়ে মন্তব্য করেও। যেখানে জাভেদ মিঁয়াদাদ থেকে ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনুস ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান রয়েছেন।

‘বুম বুম’ তার বইতে এমন কিছু মন্তব্য করেছেন, যেটা বিশ্বকাপের আগে সে দেশের ক্রিকেটে গৃহযুদ্ধ লাগিয়ে দিতে পারে বলে মন্তব্য পাকিস্তান মিডিয়ার। এ নিয়ে তো কাল ঝাঁঝালো এক সম্পাদকীয় লিখেছে দেশটির সবচেয়ে প্রভাবশালী দৈনিক ‘ডন’।

লর্ডসের ফিক্সিং ঘটনায় জড়িয়ে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন মোহাম্মদ আমির, সালমান বাট ও মোহাম্মদ আসিফ। সেই প্রসঙ্গ টেনে নিজের বইয়ে আফ্রিদি জানিয়েছেন, জুয়াড়িদের সঙ্গে স্পট ফিক্সিংয়ে যুক্ত ক্রিকেটারদের এসএমএস চালাচালির কথা তিনি জানতেন। সেটা তৎকালীন কোচ ওয়াকার ইউনিসকে জানিয়েছিলেনও। কিন্তু ওয়াকার তা আমলে নেননি।

সেটা নিয়ে নিজের বইয়ে আফ্রিদির তোপ, ‘ম্যানেজমেন্ট কিছুই করেনি। সেই একই গল্প। হয়তো এটা বের হলে কী হবে, সেটা নিয়ে ম্যানেজমেন্ট ভয় পাচ্ছিল। হয়তো তারা তাদের ফেভারিট ক্রিকেটার ও ভবিষ্যৎ অধিনায়ককে নিয়ে তদন্ত করতে চাইছিল না। ম্যানেজমেন্ট যে কী চাইছিল, সেটা সত্যিই আমি বুঝিনি।’

১৯৯৬ সালে ত্রিদেশীয় সিরিজে নাইরোবিতে জাতীয় দলে অভিষেক হয় আফ্রিদির। দ্বিতীয় ম্যাচেই ৩৭ বলে সেঞ্চুরি করে গড়ে নেন সবচেয়ে দ্রুততম শতকের রেকর্ডটি। পাকিস্তানের হিসাবে মাত্র ১৬ বছরে সেঞ্চুরিটি করেছিলেন আফ্রিদি। কিন্তু আফ্রিদি এখন নিজেই জানাচ্ছেন রেকর্ডটি ছিল ২১ বছর বয়সে।

আফ্রিদি বইতে বিতর্কিত কথা লিখেছেন সাবেক গ্রেট ও ‘বড় মিয়া’ খ্যাত জাভেদ মিঁয়াদাদকে নিয়েও। সেখানে তিনি মিঁয়াদাদকে ‘এ স্মল ম্যান’ বলে উল্লেখ করেছেন। দেশের অন্যতম সফল ব্যাটসম্যানকে নিয়ে বলেছেন, ‘আমি যেভাবে ব্যাট করি সেটা তার (মিঁয়াদাদ) পছন্দ নয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close