ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ২০ এপ্রিল, ২০১৯

নিজেকে প্রমাণ দিলেন তাসকিন

সাইফের বোলিং তাণ্ডব

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের সুপার সিক্সে নিজ নিজ ম্যাচে জয় পেয়েছে আবাহনী লিমিটেড, লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ এবং শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে আবাহনী জয় ৬ উইকেটে। প্রাইম দোলেশ্বরের বিপক্ষে রূপগঞ্জ জিতেছে ৭ উইকেটে। আর লো-স্কোরিং ম্যাচে মোহামেডান স্পোর্টিংয়ের বিপক্ষে একই ব্যবধানে জেতে শেখ জামাল।

শীর্ষ দুই দল আবাহনী ও রূপগঞ্জ জয় পাওয়ায় তাদের পয়েন্ট ব্যবধান আগের মতোই থাকল। আবাহনীর চেয়ে ২ পয়েন্টে এগিয়ে আছে লিজেন্ডসরা। এ দুদলের একটি মুখোমুখি লড়াই বাকি আছে। সেই ম্যাচের ফলাফল শিরোপা নির্ধারণে নিয়ামক হতে পারে। সুপার পর্বে বাকি আছে আর দুটি করে রাউন্ড। মিরপুরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ঝড়ের সামনে দাঁড়াতে পারেনি প্রাইম ব্যাংকের ব্যাটসম্যানরা। অলক কাপালি ও নাঈম হাসান ছাড়া তাদের কোনো ব্যাটসম্যানই উল্লেখ করার মতো রান পাননি। কাপালি সর্বোচ্চ ৮০ এবং নাঈম করেন ৫১ রান। সাড়ে ৯ ওভারে ৩২ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন সাইফউদ্দিন। দুটি করে উইকেট নেন মাশরাফি বিন মর্তুজা ও সৌম্য সরকার। একটি উইকেট নেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

বল হাতে দুই উইকেট নিলেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন সৌম্য। দুই বল মোকাবিলা করলেও খাতা খুলতে পারেননি। ভালো শুরুর পরও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি বিশ্বকাপ স্কোয়াডের আরেক ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমান। তিনি করেন ২৬ রান।

টপঅর্ডাররা রান না পেলেও মিডল অর্ডারের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে জয় পেতে সমস্যা হয়নি আবাহনীর। নাজমুল হোসেন শান্তর অপরাজিত ৭৭ রানের সঙ্গে ৬৪ রানের ইনিংস খেলে দলের জয়ে ভূমিকা রাখেন ভারতীয় ব্যাটসম্যান ওয়াসিম জাফর। শেষদিকে অপরাজিত ৩৩ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন বিশ্বকাপ দলের সদস্য মোহাম্মদ মিঠুন।

প্রাইম ব্যাংকের হয়ে দুটি উইকেট নেন নাঈম হাসান। সাভারে প্রাইম দোলেশ্বরের ব্যাটসম্যানদের কাবু করেন বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা না পাওয়া তাসকিন আহমেদ। তার ৪ উইকেটের সঙ্গে মোহাম্মদ শহীদ ৩ ও ঋষি ধাওয়ানের ২ উইকেটে ৫ ওভার বাকি থাকতে দোলেশ্বর অলআউট হয় ২০৫ রানে।

দলের হয়ে একমাত্র হাফসেঞ্চুরি করার ব্যাটসম্যান সৈকত আলি। দলীয় সর্বোচ্চ ৭২ রান করেন তিনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেন সাইফ হাসান। দোলেশ্বর ইনিংসের জবাব দিতে নেমে শূন্য রানে উইকেট হারালেও শাহারিয়ার নাফিসের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে জয় পেতে কষ্ট হয়নি রূপগঞ্জের। ১১৩ রান করা নাফীসকে ৪১ ও ৩২ রানের ছোট ইনিংস খেলে সাহায্য করেন মারুফ ও অধিনায়ক নাঈম।

ফতুল্লায় মোহামেডান-শেখ জামালের মধ্যে হয়েছে লো-স্কোরিং ম্যাচ। তানভীর হায়দার ও খালেদ আহমেদের বোলিং তোপে ৫.২ ওভার বাকি থাকতে মাত্র ১৫৯ রানে অলআউট হয় মোহামেডান। সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেন তুষার ইমরান। বাকিদের মধ্যে মাত্র দুজন ২০-এর ঘর স্পর্শ করতে পারেন।

৪.৪ ওভারে মাত্র ১৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন তানভীর। খালেদের ঝুলিতে যায় ২ উইকেট। অন্য চার বোলার নেন একটি করে উইকেট।

ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের অপরাজিত ৮৩ ও ইমতিয়াজ হোসেনের ৫৪ রানে ভর করে সহজেই জয় তুলে নেয় শেখ জামাল। ১৬.৩ ওভার ও ৭ উইকেট হাতে রেখে জিতে যায় তারা। মোহামেডানের হয়ে শফিউল ইসলাম, সোহাগ গাজী ও সাকলাইন সজীব প্রত্যেকে একটি করে উইকেট নেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

প্রাইম ব্যাংক : ৪৯.৩ ওভার ২২৬ (আল আমিন জুনিয়র ১৮ কাপালি ৮০, আরিফুল ৯, নাঈম ৫১*, মনির ১৯, রাজ্জাক ৯; সাইফউদ্দিন ৫/৩২, মাশরাফি ২/৫০, সৌম্য ২/৪২, মিরাজ ১/৩৬)

আবাহনী : ৪৪.৪ ওভার ২২৮/৪ (জহুরুল ২৪, সৌম্য ০, সাব্বির ২৬, জাফর ৬৪, শান্ত ৭৭*, মিঠুন ৩৩*; নাঈম ২/৪৯, রাজ্জক ১/৬৮)

ফল : আবাহনী ৬ উইকেটে জয়ী;

ম্যাচসেরা : মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন

প্রাইম দোলেশ্বর : ৪৫ ওভার ২০৫ (সাইফ ৩৭, সৈকত ৭২, ফরহাদ ১১, তাইবুর ২৭, রেজা ১৯, মাহমুদুল ২৫*, শহীদ ৩/৩৫,

ধাওয়ান ২/৩২, তাসকিন ৪/৫৪)

লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ : ৪৪.২ ওভার ২০৮/৩ (মারুফ ৪১, শাহরিয়ার ১১৩*, আসিফ ১৭, নাঈম ৩২*; মানিক ১/৩২, এনামুল জুনিয়র ১/৪৯, সাইফ ১/৩৪) ; ফল : লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ৭ উইকেটে জয়ী; ম্যাচসেরা : শাহরিয়ার নাফীস

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close