ক্রীড়া ডেস্ক
‘রোনালদোর বিদায় সেমিতে মেসি’
দুজনই গোল পেয়েছেন। জোড়া গোল করেছেন লিওনেল মেসি, একটি গোল করেছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। তবে দলের খাতায় এসেছে ভিন্ন ফল। মেসি-ম্যাজিকে বার্সেলোনা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের টিকিট কাটার রাতে রোনালদোর জুভেন্টাস হেরে ছিটকে গেছে।
ন্যু ক্যাম্পে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে আতিথ্য দিয়ে ফিরতি লেগে ৩-০ গোলে হারিয়েছে বার্সা। মেসির জোড়া গোলের পাশে অন্য গোলটি করেন ফিলিপ্পে কৌতিনহো। প্রথম লেগে ম্যানইউর মাঠ থেকে ১-০-তে জিতে এসেছিল কাতালান জায়ান্টরা। দুই লেগ মিলিয়ে ৪-০ গোলের অগ্রগামিতায় সেমির টিকিট কাটল ভালভার্দের দল।
তবে অন্য ম্যাচে ঘরের মাঠে ফিরতি লেগে আয়াক্সের কাছে ২-১ গোলে হেরে বিদায় নিয়েছে জুভেন্টাস। প্রথম লেগে ডাচ ক্লাবটির মাঠ থেকে ১-১ গোলে ড্র করে ফিরেছিল ইতালিয়ান জায়ান্টরা। দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ গোলের অগ্রগামিতায় সেমির টিকিট পেল আয়াক্স।
ঘরের মাঠে চেনা দর্শকের সামনে ম্যাচের ১২ মিনিটেই পেনাল্টি পেয়েছিল বার্সা। রেফারি প্রথমে স্পটকিকের বাঁশি বাজালেও ভিএআরের সাহায্য নিয়ে পরে সেটি বাতিল করে দেন।
তাতেও গোলের খাতা খুলতে খুব একটা দেরি হয়নি। ১৬ মিনিটে বার্সাকে লিড এনে দেন লিওনেল মেসি। অ্যাশলে ইয়ংয়ের থেকে বল কেড়ে কোনাকুনি শটে জাল খুঁজে নেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা।
চার মিনিট পর আবার মেসির গোল। তাতে অবদান থাকল অতিথি গোলরক্ষক ডেভিড ডি গিয়ার শিশুতোষ ভুলেরও। বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ে শট নিয়েছিলেন মেসি, বল ডি গিয়ার গ্লাভসের নিচ দিয়ে ধীরে গড়িয়ে জালে জড়িয়ে যায়। আসরে মেসির দশম গোলটি আসে।
মধ্যবিরতির পর ফিরে ৬১ মিনিটে ফিলিপ্পে কৌতিনহোর দুর্দান্ত গোলে ব্যবধান বাড়ায় স্বাগতিকরা। মেসির ক্রস আলবাকে খুঁজে নেয় প্রথমে, আলবা সেটি ঠেলে দেন কৌতিনহোর দিকে, ব্রাজিল তারকা দূর থেকে বাঁকানো শটে জাল খুঁজে নিয়ে উল্লাসে মাতেন।
অন্য ম্যাচে, জুভেন্টাসকে ছিটকে দিয়ে ১৯৯৬-৯৭ মৌসুমের পর প্রথমবার সেরা চারের টিকিট কেটেছে আয়াক্স।
যদিও গোলের খাতা শুরুতে খুলেছিল জুভেন্টাসই। ত্রাতা সেই রোনালদো। ২৮ মিনিটে পিয়ানিচের কর্নার থেকে আসা বলে পর্তুগিজ মহাতারকা মাথা ছুঁয়ে জালে জড়িয়ে দেন। এ মৌসুমে ষষ্ঠ গোলটি করে আসর শেষ করলেন সিআর সেভেন। ম্যাচের ৩৪ মিনিটে সমতা ফেরায় আয়াক্স। ২১ বছর বয়সি ফরোয়ার্ড ডনি ভ্যান ডি বিক স্বাগতিক দর্শকদের স্তব্ধ করে দেন দারুণ এক গোলে।
মধ্যবিরতির পর লাগাতার আক্রমণ শানিয়ে জুভেন্টাস উল্টো গোল খেয়ে বসে। ৬৭ মিনিটে হেডে জালে বল জড়ান ম্যাথিয়াস ডি লিট। বাকিটা সময়ে শতচেষ্টা করেও আর ম্যাচে ফিরতে পারেননি রোনালদো-দিবালারা।
"