ক্রীড়া প্রতিবেদক
সিদ্দিকুর-জামালদের দর্শক বানিয়ে থাই তরুণের চমক
শেষ রাউন্ডে ছন্দ হারালেন বাংলাদের সেরা গলফার সিদ্দিকুর রহমান। আগের তিন রাউন্ডে মাত্র একটি বোগি করা এই গলফার শেষ রাউন্ডে দুটি বার্ডির সঙ্গে বোগি করলেন পাঁচটি! সব মিলিয়ে পারের চেয়ে আট শট কম খেলে বঙ্গবন্ধু কাপ গলফ ওপেনে যৌথভাবে দ্বাদশ হয়েছেন তিনি।
কুর্মিটোলা গলফ কোর্সে কাল শেষ রাউন্ডে ভারতের অজিতেশ সান্ধু ও রশিদ খানের সঙ্গে সাদোম কায়েওকানজানার লড়াই দারুণ জমেছিল। পারের চেয়ে ১৯ শট কম খেলে শেষ পর্যন্ত সেরা হয়েছেন থাইল্যান্ডের গলফারই। পারের চেয়ে ১৮ শট কম নিয়ে অজিতেশ দ্বিতীয় ও ১৭ শট কম নিয়ে রশিদ তৃতীয় হয়েছেন।
এ নিয়ে দেশের কোর্সে হওয়া এশিয়ান ট্যুরের এই প্রতিযোগিতার পাঁচ আসরেই সেরা হলো বিদেশিরা। দেশি গলফারদের মধ্যে সিদ্দিকুরের ২০১৭ সালে রানার্সআপ হওয়াই সেরা সাফল্য হয়ে থাকল।
সাড়ে তিন লাখ ডলার প্রাইজমানির এই আসরে শেষ রাউন্ডে ছয়টি বার্ডি করা জামাল হোসেন সব মিলিয়ে পারের চেয়ে নয় শট কম খেলে যৌথভাবে দশম হয়েছেন। যৌথভাবে ২৪তম স্থানে থেকে চতুর্থ রাউন্ড শুরু করা এ গলফারই দেশি গলফারদের মধ্যে সবচেয়ে উজ্জ্বল।
আগের রাউন্ডে যৌথভাবে সপ্তম স্থানে থাকা আকবর হোসেন চতুর্থ রাউন্ডে পারের চেয়ে দুই শট বেশি খেলেছেন। সব মিলিয়ে পারের চেয়ে সাত শট কম নিয়ে যৌথভাবে ১৫তম হয়েছেন তিনি। পারের চেয়ে সাত শট কম খেলেছেন স্থানীয় আরেক গলফার সজীব।
পাঁচ শট কম খেলে মোহাম্মদ নাজিম যৌথভাবে ২৫তম, চার শট কম খেলে বাদল হোসেন যৌথভাবে ৩১তম, দুই শট কম খেলে মুহাম্মদ মুয়াজ যৌথভাবে ৩৫তম হয়েছেন।
দেশি গলফারদের মধ্যে শাখাওয়াত সোহেল পারের চেয়ে ছয় শট বেশি, মোহাম্মদ সাইয়ুম ও নুর জামাল আট শট বেশি, মোহাম্মদ শাহ আলম নয় শট বেশি ও দিল মোহাম্মদ ১০ শট বেশি খেলে এবারের আসর শেষ করেছেন।
"