ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ১৭ মার্চ, ২০১৯

বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পাবে বাংলাদেশ

বিসিবিকে আইসিসির চিঠি

অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। টাইগাররা আল নুর মসজিদে পৌঁছানোর কয়েক মিনিট আগেই ঘটে গেছে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা। ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত স্টেডিয়ামে ঢুকে পড়েছেন মাহমুদউল্লাহ, তামিম, মুশফিকরা। অমন নৃশংস ঘটনার পরও বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের কোনো নিরাপত্তা দেয়নি নিউজিল্যান্ডের প্রশাসন।

আসলে স্বাগতিক ক্রিকেটারদেরও নিরাপত্তার দরকার হয় না। কারণ রাগবির দেশ শান্তির দেশ। এমন একটা জায়গায় যে সন্ত্রাসী হামলা হতে পারে সেটা ছিল সবার কল্পনারও বাইরে। সেই হামলা থেকে অল্পের জন্য রক্ষা হয়েছে টাইগারদের। এই হামলার পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে ভবিষ্যতে বিদেশ সফরে বাংলাদেশ দলের নিরাপত্তা নিয়ে। দুই মাস পর ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে বিশ্বকাপ। মহাযজ্ঞকে সামনে রেখে বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছে আইসিসি।

এই ঘটনার পর আইসিসি অনেক সতর্ক বলেই জানালেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘আইসিসি সব সময়ই কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে থাকে। তারা আমাদের কাছে কঠোর নিরাপত্তা পরিকল্পনা পাঠিয়েছে। সব সদস্য দেশের সঙ্গে তারা আবার কথা বলছে। এ ঘটনার পর আইসিসি এখন আরও সতর্ক হবে, আরও সচেতন হবে। আপনারা জানেন, আগে কিছু ঘটনা ইংল্যান্ডেও ঘটেছে। নিউজিল্যান্ডে ঘটে যাওয়া এ ঘটনার পর আরও সতর্কতা বাড়বে। যে বোর্ডগুলো নিরাপত্তা নিয়ে একটু উদার থাকে, আয়োজক দেশের ওপর নির্ভর করে, তারাও হয়তো ইংল্যান্ডের নিরাপত্তা নিয়ে আরও সতর্ক থাকবে।’

কাল দিনভর ক্রিকেট অঙ্গন মিরপুরে একটাই আলোচনা- নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে সন্ত্রাসী হামলা। পরশু বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সর্বোচ্চ নিরাপত্তার আশ্বাস না পেলে কোনো দেশে সফর করবে না বাংলাদেশ। কাল বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরীও প্রায় একই কথা বললেন। দুপুরে তিনি জানালেন, ঘটনার সময় কীভাবে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ রেখেছেন নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের প্রধান নির্বাহী ডেভিড হোয়াইটের সঙ্গে। নিজামউদ্দীন বললেন, ‘এ ঘটনায় নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বারবার দুঃখ প্রকাশ করেছে তাদের কাছে। নিউজিল্যান্ডের কেউ বিশ্বাসই করতে পারছে না, এমন ঘটনা ঘটতে পারে তাদের দেশে। মসজিদে সন্ত্রাসী হামলা, বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের অল্পের জন্য বেঁচে যাওয়া আর ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট বাতিল হওয়ার পর নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট নানাভাবে বিসিবিকে বোঝানোর চেষ্টা করেছে, অনুরোধ করেছে, বাংলাদেশ যেন এই ঘটনায় নেতিবাচক ধারণা না নেয় তাদের দেশ কিংবা বোর্ড সম্পর্কে।’ বিসিবি মনে করে, এ অনাকাঙ্খিত ঘটনায় দুই দেশের বোর্ডের বন্ধন আরও দৃঢ় হয়েছে, ভবিষ্যতেও কঠিন সময়ে দুই বোর্ড যেন একে অপরের পাশে থাকে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close