ক্রীড়া ডেস্ক
ভুটানকে হারিয়ে সেমিতে বাংলাদেশ
দারুণ ছন্দে ছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। তাতে কেবল তুলির আঁচড় দিলেন সাবিনা খাতুন ও মিশরাত জাহান মৌসুমী। অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়কের দুই গোলে ভুটানকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে ওঠে গেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল।
বাংলাদেশের পাশাপাশি সেমিতে ওঠে গেছে নেপালও। এই দুই দলের কাছে হেরে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিল ভুটান। গ্রুপ ‘এ’ থেকে সেরা হওয়ার লড়াইয়ে শনিবার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-নেপাল। দুই দলের জন্য গ্রুপ সেরা হওয়া জরুরি। তাতে সেমিতে এড়ানো যাবে শক্তিশালী ভারতকে।
নেপালের বিরাটনগরের শহীদ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে কাল প্রথমার্ধে বলের পরিষ্কার নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখা সত্ত্বেও কাক্সিক্ষত গোলের সুযোগ একবারও বের করতে পারেনি বাংলাদেশ। ভুটান রক্ষণে সেই অর্থে তেমন ভয়ও ছড়াতে পারেননি সাবিনা-মারিয়ারা। ৪২ মিনিটে যাও একবার বল জালে জড়িয়েছিল বাংলাদেশ, অফসাইডের কারণে তা বাতিল করে দেন রেফারি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই কাক্সিক্ষত গোলের দেখা পায় বাংলাদেশের মেয়েরা। মনিকা চাকমার কর্নার কিক থেকে ভুটান ডি-বক্সে সৃষ্ট জটলার সুযোগ নিয়ে ৪৮ মিনিটে আলতো টোকায় বল জালে জড়িয়ে দেন লাল-সবুজদের সহ-অধিনায়ক মৌসুমী।
৮২ মিনিটে গোল বাড়ানোর আরেকটি দারুণ সুযোগ হাজির হয়েছিল বাংলাদেশের সামনে। বদলি হিসেবে নামা তহুরা খাতুনের জোরাল গতির শট ভুটান গোলরক্ষক ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দিলে সে সময় ব্যবধানটা আর বাড়েনি।
তবে ৮৬ মিনিটে বাংলাদেশের দ্বিতীয় গোল আর ঠেকাতে পারেনি ভুটান গোলরক্ষক। ডান প্রান্ত দিয়ে দারুণ গতিতে ছুটে গিয়ে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারদের বোকা বানিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন লাল-সবুজ অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। যোগ করা সময়ে শিউলি আজিমের বাড়ানো বলে তহুরার নেওয়া শট দূরের পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়।
২০১০ সালের প্রথম আসরে নিজেদের মাঠে ভুটানকে ৯-০ গোলে উড়িয়ে সাফে নিজেদের সবচেয়ে বড় জয় তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ।
"