ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রাইম ব্যাংক-কে হারাল দোলেশ্বর
রোমাঞ্চ উপহার দিল দুই প্রাইমের লড়াইটা। কাল বিকেএসপিতে রানবন্যার ম্যাচে শেষ হাসি হাসল প্রাইম দোলেশ্বর। প্রাইম ব্যাংকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে তারা। বৃথাই গেছে আল আমিন জুনিয়রের শতকটা। তার সেঞ্চুরি মøান করে দিলেন সাইফ হাসান, মার্শাল আইয়ুব, সাদ নাসিম ও ফরহাদ রেজা। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় ম্যাচ জিতল প্রাইম দোলেশ্বর। প্রাইম ব্যাংকের ছুড়ে দেওয়া ৩০১ রানের চ্যালেঞ্জের জবাব ১০ বল হাতে রেখেই দিয়েছে দোলেশ্বর।
আগে ব্যাট করতে নামা প্রাইম ব্যাংক শুরুতেই হারায় রুবেল মিয়াকে। চারটি চারে ৪০ বলে ২৮ রান করা এনামুল হককে বোল্ড করেন রেজা। আল আমিন জুনিয়রের সঙ্গে ১১০ রানের জুটি গড়ে ফিরে যান সুদিপ চ্যাটার্জি। ভারতীয় এই ব্যাটসম্যানের ৬৯ বলে খেলা ৫৭ রানের ইনিংস গড়া দুটি চার ও একটি ছক্কায়। জাকির হাসানের সঙ্গে ৮৫ রানের আরেকটি ভালো জুটি গড়েন আল আমিন জুনিয়র। ৯৯ বলে ৮ চার ও চার ছক্কায় ১১১ রানের দারুণ ইনিংস থামে রান আউটে। শেষের দিকে নিয়মিত উইকেট হারিয়ে প্রত্যাশিত ঝড় তুলতে পারেনি দোলেশ্বর। তবু ৩০০ ছাড়ায় তাদের সংগ্রহ। দোলেশ্বরের পক্ষে আরাফাত সানি, রেজা ও সৈকত আলী নেন দুটি করে উইকেট।
রানতাড়ায় সৈকত আলী ও ফরহাদ হোসেনের দ্রুত বিদায়ের পর সাইফের সঙ্গে ১১৫ রানের জুটিতে দলকে দৃঢ় ভিতের ওপর দাঁড় করান মার্শাল। ১০২ বলে ৫টি চার ও তিন ছক্কায় ৮৫ রান করা ওপেনার সাইফকে ফিরিয়ে দ্রুত এগোনো জুটি ভাঙেন অলক কাপালি। পাকিস্তানি অলরাউন্ডার নাসিমের সঙ্গে ৭৬ রানের জুটি গড়ে ফিরে যান মার্শাল। ৮২ বলে খেলা এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের ৭৬ রানের ইনিংস গড়া ৭ চারে।
দলকে জয়ের খুব কাছে নিয়ে ফেরেন নাসিম। ৪৭ বলে পাঁচ ছক্কা ও দুই চারে খেলেন ৬৪ রানের ইনিংস। দলের জয়কে সঙ্গে করে ফেরা রেজা মাত্র ১৫ বলে তিন চার ও দুই ছক্কায় খেলেন ৩৫ রানের টর্নেডো ইনিংস। কঠিন সময়ে খেলা ৬৪ রানের ইনিংস ম্যাচসেরার পুরস্কার পান নাসিম।
ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডে দোলেশ্বরের সঙ্গী হয়েছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। কাল ফতুল্লায় বিকেএসপিকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে তারা। মিরপুর শেরে-বাংলা স্টেডিয়ামে দিনের অন্য ম্যাচে খেলাঘর সমাজকল্যাণ সমিতিকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে মোহামেডানকে জিতিয়েছেন রকিবুল হাসান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
খেলাঘর-মোহামেডান
খেলাঘর : ৪৭.৩ ওভার, ২২৫ (রবি ১৯, অঙ্কন ১০, অমিত ৩৭, ইফতেখার ৮৭, মেনারিয়া ২৬, নাজিম ১২, মইনুল ৩, মাসুম ১, রবিউল ৭, ইরফান ৪, তানভীর ০*; শফিউল ১/৩৩, আলাউদ্দিন ২/৪২, অনিক ২/১৯, সোহাগ ৩/৪১, বিপুল ০/৩৭, আশরাফুল ১/৪৪)
মোহামেডান : ৪৯.২ ওভার, ২২৮/৬ (অভিষেক ২৭, মজিদ ৪০, শুক্কুর ১৬, রকিবুল ৮৪*, আশরাফুল ১০, নাদিফ ৩৯, সোহাগ ৫, আলাউদ্দিন ২*; রবিউল ২/৪১, রবি ১/৩১, তানভীর ২/৪১, মাসুম ১/৩৫, ইফতেখার ০/১০, মইনুল ০/১৪)
ফল : মোহামেডান ৬ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা : রকিবুল হাসান
বিকেএসপি-গ্রাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স
বিকেএসপি : ৫০ ওভার, ২৪৯/৭ (রাতুল ৩৪ (রিটায়ার্ড হার্ট), মাহমুদুল ৮৫, আমিনুল ৬৩*, শামিম ৪৪, আকবর ৩, পারভেজ ১, কাইয়ুম ৩, সুমন ১, মুকিদুল ২; রুয়েল ০/২৮, আব হায়দার ২/৪৬, মেহেদি ০/৪৭, কামরুল রাব্বি ২/৫২, রসুল ০/৩৫, নাসুম ১/৩৫)।
গাজী গ্রুপ : ৪৯.২ ওভার, ২৫২/৬ (রনি ১৫, ইমরুল ৪, মেহেদি ৭০, শামসুর ২৩, রসুল ১, তৌহিদ ৭৬*, শামসুল ১৫, আবু হায়দার ৩২*; মুকিদুল ২/৫৬, আবু নাসের ০/৪৭, সুমন ১/৪১, কাইয়ুম ০/৩৭, মুরাদ ৩/৩২, শামিম ০/৩২)।
ফল : গাজী গ্রুপ ৪ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা : তৌহিদ তারেক
প্রাইম ব্যাংক-প্রাইম দোলেশ্বর
প্রাইম ব্যাংক : ৫০ ওভার, ৩০১/৮ (এনামুল ২৮, রুবেল ৪, সুদিপ ৫৭, আল আমিন জুনিয়র ১১১, জাকির ৩৬, আরিফুল ২৮, কাপালী ১২, নাজমুল ৫*, মনির ১; সানি ২/৩৪, রেজা ২/৪৩, এনামুল জুনিয়র ১/৪৫, মাহমুদুল ০/৩২, সৈকত ২/৪৬, নাসিম ০/৭৭, তাইবুর ০/২০)
প্রাইম দোলেশ্বর : ৪৮.২ ওভার, ৩০২/৫ (সাইফ ৮৫, সৈকত ৭, ফরহাদ ২৪, মার্শাল ৭৬, নাসিম ৬৪, রেজা ৩৫*, তাইবুর ৬*; আল আমিন ০/৫৩, মনির ২/৪৩, রাজ্জাক ০/৬৮, আরিফুল ২/৫১, রুবেল ০/৩২, কাপালী ১/৪৫, সুদিপ ০/১০)
ফল : প্রাইম দোলেশ্বর ৫ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা : সাদ নাসিম
"