ক্রীড়া ডেস্ক

  ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

উল্টোরথে রিয়াল-বার্সা

ক্যারিয়ারে অসংখ্যবার চোখ ঝলসে গোল করেছেন লিওনেল মেসি। কখনো চার-পাঁচজন খেলোয়াড়কে কাটিয়ে, কখনো বা বাঁকানো ফ্রি-কিক থেকে। কিন্তু পেনাল্টির সামনে পড়লেই যেন এলোমেলো হয়ে যায় মেসির আশ্চর্যকর বাঁ-পা। সবচেয়ে সহজ গোলটিই তিনি মিস করে বসেন বারবার। পরশু ঘরের মাঠ ন্যু-ক্যাম্পে বার্সেলোনা ১-০ গোলে জিতেছে ভায়াদোলিদের বিপক্ষে। ম্যাচটিতে দুটি পেনাল্টি পেয়েছিল কাতালানরা। কিন্তু দুটির মধ্যে একটি গোল মিস করে বসেন মেসি। অবশ্য বাকিটিতে গোল করে কোচ এরনেস্তো ভালভার্দেকে জয় এনে দিয়েছেন আর্জেন্টাইন ফরওয়ার্ড।

৪৩ মিনিটে জেরার্ড পিকে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি থেকে বার্সাকে এগিয়ে মেসি, যা চলতি মৌসুমে মেসির ৩০তম গোল। এই নিয়ে টানা ১১ মৌসুমে ৩০ গোলের রেকর্ড স্পর্শ করেছেন তিনি। তবে ৮৪ মিনিটে নেওয়ার মেসির দ্বিতীয় স্পট কিক রুখে দেন প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক জর্ডি মাসিপ।

মেসির সঙ্গে পেনাল্টির এমন বৈমাত্রেয় আচরণ নতুন নয়। এ নিয়ে লা লিগায় ৬২টি পেনাল্টি নিয়ে তিনি পেনাল্টি মিস করেছেন ১২টি। অর্থাৎ প্রতি ৫ পেনাল্টিতে মেসির মিসের হার একটি করে। আর সব প্রতিযোগিতার কথা হিসাব করলে মেসির অবস্থা আরো খারাপ। ক্যারিয়ারে ৮৬ পেনাল্টির মধ্যে ২০টি মিস করেছেন তিনি। অর্থাৎ প্রতি ৪ দশমিক ৫ পেনাল্টিতে একটা করে মিস আছে পাঁচটি ব্যালন ডি’অর মালিকের।

পেনাল্টি মিস অনেকবার বিরূপ প্রভাব ফেলেছে মেসির ক্যারিয়ারে। ২০১৬ সালের কোপার ফাইনালে তিনি পেনাল্টি মিস করে শিরোপা তুলে দিয়েছিলেন চিলির হাতে। রাশিয়া বিশ্বকাপে আইসল্যান্ডের বিপক্ষে ১-১ ব্যবধান থাকা ম্যাচে পেনাল্টি মিস করলে হয়তো আর্জেন্টিনার ভাগ্যটা অন্যরকমও হতে পারত।

তবে এত কিছুর পরও তিনি মেসি এবং বার্সার সঙ্গে ম্যাচের এক দিন আগে চুক্তি নবায়ন করা কোচ ভালভার্দেরও স্পট কিক নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথম পছন্দ তিনি। মেসি পেনাল্টি নেওয়ার উপযুক্তই মনে করেন বার্সা কোচ, ‘সব মিলে আমি চিন্তিত নই। আমি নিশ্চিত ছিলাম যে সে দুটোতেই গোল করবে। মেসি একজন নিরাপদ বাজি (পেনাল্টি শট নেওয়ার ক্ষেত্রে)। পাশাপাশি সে আরো গোল করতে পারত।’

কাল ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে জিরোনাকে ১-০ গোলে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। ২৫ মিনিটে লস ব্লাঙ্কোসদের এগিয়ে দেন কাসেমিরো।

এই জয়ে পুনরায় নগর প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে টপকে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে রিয়াল। ২৪ ম্যাচে কোচ সান্তিয়াগোর সোলারির দলের পয়েন্ট ৪৮। এক পয়েন্ট কম নিয়ে তৃতীয় স্থানে অ্যাটলেটিকো। চতুর্থ স্থানে থাকা সেভিয়ার পয়েন্ট ৩৭। ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে সিংহাসন দখলে রেখেছে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা।

ফলাফল

বার্সেলোনা ১-০ ভায়াদোলিদ

রিয়াল মাদ্রিদ ১-২ জিরোনা

ভায়েকানো ০-১ অ্যাট. মাদ্রিদ

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close