ক্রীড়া ডেস্ক

  ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

তবু স্বপ্ন দেখছেন মিরাজ

মেহেদী হাসান মিরাজের সাহসিকতার কথা দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের কম-বেশি জানা আছে। পরিস্থিতি যতই প্রতিকূল হোক না কেন, তিনি ভেঙে পড়েন না কখনোই। সাহসিকতার পাশাপাশি মিরাজের আত্মবিশ্বাসও বরাবরই প্রবল। নিউজিল্যান্ডের কাছে প্রথম ওয়ানডেতে ৮ উইকেটে হারার পরও বিশ্বাস হারাচ্ছেন না তিনি। তার মতে এখনো ঘুরে দাঁড়াতে পারে বাংলাদেশ; জিততে পারে সিরিজ। তাই দ্বিতীয় ওয়ানডেকে গুরুত্ব দিচ্ছেন তিনি। সিরিজ জয়ের স্বপ্ন পূরণ করতে হলে সামনের দুটি ম্যাচেই কিউইদের হারাতে হবে মাশরাফিদের।

বলা যতটা সহজ, কাজটা তার চেয়েও অনেক বেশি কঠিন। সিরিজ জয় অনেক পরের ব্যাপার। আগে তো নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একটা ম্যাচ বাংলাদেশ তাদের মাটিতে জিতুক, তারপর না হয় সিরিজ নিয়ে ভাবা যাবে। তবে মিরাজ খুব সরল মনেই বললেন, ‘একটি ম্যাচ হেরেছি। আমাদের আরো দুটি ম্যাচ আছে। এই দুটি ম্যাচ জিতলে সিরিজ জিততে পারব। সে কারণেই কালকের (আজ ভোরে শুরু) ম্যাচটা গুরুত্বপূর্ণ। এটি জিতলে আমরা আত্মবিশ্বাস ফিরে পাব।’

প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটিং শুরুতেই চাপে পড়ে গিয়েছিল। ইনিংসের শুরুতেই দ্রুত পড়ে গিয়েছিল উইকেট। এই ব্যাপারটা বড় সমস্যাই মনে করছেন মিরাজ। নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে শুরুর দিকে উইকেট টিকিয়ে রাখার ওপরই এখন জোর দিচ্ছে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট, ‘নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে প্রথম ১০ ওভার খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়টা যদি টিকেও যাই, রান অল্প হলেও সমস্যা না। প্রথম ম্যাচে আমরা প্রথম ১০ ওভারে তেমন কিছুই করতে পারিনি। আমাদের দ্রুত উইকেট পড়ে গিয়েছিল। এখন টপঅর্ডার যদি রান করে, প্রথম ১০ ওভার দেখে খেললে আমাদের সুযোগ থাকবে ভালো করার।’

মিরাজ নিজে স্পিনার। প্রথম ম্যাচে উইকেট পেলেও কিউই ব্যাটসম্যানদের আতঙ্কে ফেলার মতো তেমন কিছু ছিল না মিরাজের বোলিংয়ে। অথচ, এই খেলাটাই দেশের মাটিতে হলে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা হয়তো ১০ বার ভাবতেন বাংলাদেশি স্পিনারদের বিপক্ষে শট খেলতে, রান করতে। এই পার্থক্যটা রকন? নিউজিল্যান্ডের মাটিতে কেন এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের স্পিনাররা (সাকিবের দুই-একটি পারফরম্যান্স বাদ দিয়ে) ভালো করতে পারে না? নিউজিল্যান্ডে স্পিনারদের ভূমিকাটাই বা কী! মিরাজ এর একটা ব্যাখ্যা দিয়েছেন, ‘দেশে খেললে স্পিনারদের ওপর নির্ভর করা হয়। বিদেশে পেসারদের ওপর। সাকিব ভাই থাকলে অবশ্য অন্য হিসাব। অবশ্যই ভালো হতো। আত্মবিশ্বাস বেশি পেতাম। এখন এখানে আমাকে স্পিনারদের মূল ভূমিকাটা পালন করতে হচ্ছে। আমার মনে হয়, এখানে স্পিনারদের যে রোল, সেটি হচ্ছে পেসারদের সাহায্য করা। এখানে স্পিনাররা বেশি টার্ন পায় না। উইকেটের সহায়তা পায় না। এখানে চেষ্টা করা যায়, যতটা সম্ভব রান কম দেওয়ার। রান চেক দিয়ে যাওয়া। এভাবে বোলিং করলে পেস বোলাররা উইকেট পেতে পারে। আমি মনে করি এখানে স্পিনারদের কাজ পেসারদের উইকেট পেতে সহায়তা করা।’ আগের ম্যাচে স্পিনাররা পারেননি, আজ পারবে তো? উত্তরটা দূরে নয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close