ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

বেঁচে থাকল ঢাকার স্বপ্ন

পেন্ডুলামের মতোই দুলছিল ঢাকা ডায়নামাইটসের ভাগ্য। বিপিএলের চলতি আসরে শিরোপা উদ্ধারের অভিযানে দারুণ সূচনার পরও প্লে-অফ পর্বের জন্য বেশ কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে সাকিবদের। রাজশাহী কিংসের সমান ছয় জয় থাকা সত্ত্বেও রানরেটে এগিয়ে থেকে রবিন লিগ রাউন্ডের বাধা পেরিয়েছে ঢাকা। শিরোপা স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে কাল আরেকটা ধাপ পারি দিল সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। কাল প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে চিটাগং ভাইকিংসকে অনায়েসে হারিয়ে ফাইনালের যাওয়ার অর্ধেক কাজ শেষ করেছে ঢাকা ডায়নামাইটস। বুধবার ফাইনালে ওঠার ম্যাচে ঢাকা ডায়নামাইটসের প্রতিপক্ষ রংপুর রাইডার্স কিংবা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস।

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে চিটাগং ভাইকিংসকে অল্পতে বেঁধে ফেলে ঢাকার দুর্দান্ত বোলিং বিভাগ। সাকিব-নারাইনদের দুর্দান্ত তোপের মুখে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৫ রান তুলতে সক্ষম হয় মুশফিকের চিটাগং ভাইকিংস। জবাব দিতে নেমে ২০ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখে দারুণ জয় তুলে নেয় ডায়নামাইটস।

এবারের বিপিএলে সবচেয়ে বেশি টস জিতেছেন ভাইকিংস অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। কালও জিতলেন। টিকে থাকার লড়াইয়ে টস জিতে সতীর্থদের হাতে ব্যাট তুলে দেন চিটাগং অধিনায়ক। কিন্তু আগে ব্যাট করতে নেমে সুবিধা করতে পারেনি তারা। শুরু থেকেই থেকেই ধুঁকতে থাকে ভাইকিংস। ঢাকার দুর্দান্ত বোলিংয়ের বিপরীতে ভাইকিংসের মাত্র তিনজন ব্যাটসম্যান প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পেরেছিলেন। কিন্তু আশা জাগিয়েও হাফসেঞ্চুরি করতে পারেননি কেউ।

৩৫ বলে দলীয় সর্বোচ্চ ৪০ রান করে দুর্ভাগ্যবশত রানআউট হয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ২৭ বলে ৩৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন ক্যামেরন ডেলপোর্ট। এ ছাড়া ১৯ বলে ২৪ রান এসেছে সাদমান ইসলামের ব্যাট থেকে। ব্যাট করতে নামা বাকি সাতজনের কেউই যেতে পারেননি দুই অঙ্কে।

চার ওভারে ১৪ রানে চার উইকেট তুলে নিয়ে চিটাগং ভাইকিংসের মিডল অর্ডার ধসিয়ে দিয়েছেন সুনিল নারাইন। বল হাতে দ্যুতি ছড়ানোর পর ব্যাট হাতেও জ্বলে উঠেছেন ক্যারিবীয় তারকা। ১৬ বলে ৩১ রানের (ছয়টি চার একটি ছক্কা) বিস্ফোরক ইনিংস খেলে ঢাকার জয়ের পথটা মসৃণ করে দিয়েছেন নারাইন। অবধারিতভাবে ম্যাচ সেরার স্বীকৃতিও উঠেছে তার হাতে। দলীয় ৪৪ রানে নারাইনের বিদায়ে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। অবশ্য নারাইন হাফসেঞ্চুরি বঞ্চিত হলেও তার সঙ্গী উপুল থারাঙ্গা ঠিকই ব্যক্তিগত অর্জন তুলে নিয়েছেন।

৪৩ বলে ৫১ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে ঢাকাকে সহজ জয়ের দিকে নিয়ে যান লঙ্কান ওপেনার। ৮৮ রানে দলের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন থারাঙ্গা। পরের বলে সাকিবকে সাজঘরে পাঠান খালেদ আহমেদ। কিন্তু একাদশতম ওভারে ঢাকাকে জোড়া ধাক্কা দিয়ে লড়াইয়ের যে আভাস দিয়েছিল ভাইকিংস সেটা আর বাস্তবে পরিণত হয়নি। শেষ দিকে রনি তালুকদার ও নুরুল হাসান সোহান সামন ২০ রান করে ঢাকার জয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারেন। ১৩ বলের ঝড়ো ইনিংস খেলে রনি ফিরে গেলেও দলকে জিতিয়েই বীরদর্পে ফিরেছেন নুরুল। রনির ঘাতকও ছিলেন খালেদ। থারাঙ্গার উইকেটটি নিয়েছেন নাঈম হাসান। কিন্তু ভাইকিংসের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে খালেদ-নাঈমদের পারফরম্যান্সও যথেষ্ট ছিল না।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close