ক্রীড়া প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম থেকে

  ৩০ জানুয়ারি, ২০১৯

নিজ গৃহে পরবাসী চিটাগাং

একরকম অপ্রতিরোধ্য হয়েই চট্টগ্রামে এসেছিল চিটাগাং ভাইকিংস। কিন্তু ঘরের মাঠে এসেই ছন্দটা হারিয়ে ফেলেছে মুশফিকুর রহিমের দল। প্রথম ৭ ম্যাচের ৬টিতে জেতা ভাইকিংস জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে হেরে বসল পরপর তিনটা ম্যাচ। মুশফিক অ্যান্ড কোংয়ের সর্বশেষ হারটা কাল; কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের কাছে। বৃষ্টিভেজা ম্যাচে সাবেক চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে ন্যূনতম প্রতিদ্বন্দ্বিতাটুকু করতে পারেনি ভাইকিংস। টানা তৃতীয় ম্যাচে টস জিতলেও ম্যাচ জেতার ভাগ্যটা আর হয়নি স্বাগতিক ফ্র্যাঞ্চাইজিটির। এ যেন নিজ গৃহে পরবাসী।

ডাক ওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ৭ উইকেটের বিশাল জয় নিয়ে চট্টগ্রাম পর্ব শেষ করলেন ইমরুল-তামিমরা। নির্ধারিত ১৯ ওভারে ভাইকিংসকে ১১৬ বেধে ফেলার পর কুমিল্লা জিতেছে ইনিংসের ১৪ বল বাকি থাকতেই। টুর্নামেন্টে চলতি আসরে ১০ ম্যাচে এটা ইমরুল কায়েসের দলের সপ্তম জয়। দাপুটে জয়ে কয়েক ঘণ্টার জন্য পয়েন্ট তালিকার শীর্ষেও উঠেছিল কুমিল্লা। অন্যদিকে টানা ব্যর্থতায় পয়েন্ট তালিকার তিনে নেমে গেল মুশফিকের দল। যা কোয়ালিফায়ারের পথটা কিছুটা হলেও কঠিন হয়ে উঠল।

চট্টগ্রামে বৃষ্টি আসা যাওয়ার মধ্যেই খেলা শুরু হয়েছিল। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির কারণে ম্যাচ শুরু হয়েছে ১১ মিনিট দেরিতে, সবমিলিয়ে খেলা বন্ধ রাখতে হয়েছে আধ ঘণ্টারও বেশি সময়। বৃষ্টির আসা-যাওয়ার মতোই অবস্থা হয়েছিল ভাইকিংসের ব্যাটিং অর্ডারের অবস্থা। রংপুর রাইডার্সের তোপের মুখে ব্যাটিংয়ে আসা স্বাগতিক ১০ জন ব্যাটসম্যানের সাতজনেরই দুই অঙ্কে যাওয়ার সৌভাগ্য হয়নি। এই কয়েক দিন যেখানে রানোৎসবের মহড়া হয়েছে সেখানে কাল রানের জন্য সংগ্রাম করতে হলো চিটাগাংয়ের ব্যাটসম্যানদের।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস অধিনায়ক ইমরুল ভূয়সী প্রশংসা করেছেন সতীর্থ বোলারদের। তার কথায় উইকেটে কোনো জুজু ছিল না। বরং রাজশাহীর ব্যাটসম্যানরাই উইকেটে থিতু হয়ে রান তুলতে ব্যর্থ হয়েছেন। বৃষ্টিভেজা ম্যাচে রাজশাহীর পক্ষে উল্লেখযোগ্য রান করেছেন কেবল দুজনÑ ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদ ও আটে নামা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। এই দুজন না থাকলে শত রানের আগেই থেমে যেতে পারত রাজশাহীর রানের চাকা।

৩৬ রানের মধ্যে চার উইকেট খুইয়েছে মিরাজের দল। উইকেটের লাগাম টেনে রাখতে গিয়ে ৩৫ বল খরচ করলেও ৩৩ রানের বেশি করতে পারেননি শাহজাদ। দলের ৭০ রানে সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে বিদায় নিয়েছেন তিনি। তবে টিকে

ছিলেন মোসাদ্দেক। তার ২৪ বলে ৪৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংসের সুবাদে কোনো রকম মান

বাঁচানো সংগ্রহ পেয়েছে

ভাইকিংস। এছাড়া নাজিবুল্লাহ জাদ্রান ১৩ রান করেছেন।

১১৭ রানের মামুলি লক্ষ্যমাত্রায় হেসেখেলেই পৌঁছে যায় কুমিল্লা। ২৬ রানে ওপেনার এনামুল হক বিজয় সাজঘরে ফিরলেও বড় জয়ের জন্য সমস্যা হয়নি কুমিল্লার। সঙ্গী হারানোর পর কুমিল্লাকে ধীরে ধীরে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান আরেক ওপেনার তামিম ইকবাল। ৫১ বলে ৫৪ রানে অজেয় ছিলেন তিনি। এই জুটি গড়ার পথে তামিম সঙ্গ পেয়েছেন শামসুর রহমান শুভর। ২২ বলে ৩৬ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে বিদায় নিয়েছেন শুভ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close