সিলেট প্রতিনিধি
সিলেট পর্বেও ম্যাড়ম্যাড়ে ম্যাচ
বিপিএল ঢাকা পর্বের প্রথম ধাপ ম্যাড়ম্যাড়ে থাকলেও শেষ হয় বেশ উত্তাপ ছড়িয়ে। সিলেটে দর্শকদের আশা ছিল, শেষের মতো খেলোয়াড়দের ব্যাট-বলে মাঠে উত্তাপ ছড়াবে। তেমনটা হলো না। সিলেট পর্বের শুরুর ম্যাচটাও ছিল ম্যাড়ম্যাড়ে। ফলে সিলেটের ক্রিকেটপ্রেমীরা অনেকটা আশাহত হয়েছেন। যদিও নিজের মাঠে প্রিয় দল সিক্সার্সকে নিয়েই আগ্রহ বেশি তাদের। কাল নয়নাভিরাম সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খুলনা ও রাজশাহীর ম্যাচ দিয়ে বিপিএলে সিলেট পর্ব শুরু হয়। সিলেটের প্রতিটি খেলাতেই দর্শকদের ভিড় থাকে। তবে বিপিএলের দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচে আশানুরূপ দর্শক দেখা যায়নি। সব মিলিয়ে হাজার পাঁচেক দর্শক ছিলেন। যদিও স্বাগতিক দর্শকদের সব আগ্রহ সন্ধ্যার সিলেট সিক্সার্স-কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের ম্যাচে।
খুলনা টাইটানস-রাজশাহী কিংসের ম্যাচটা অনেক ম্যাড়ম্যাড়ে ছিল। তেমন একটা উত্তাপ ছড়াতে পারেনি কোনো দল। ব্যাটিংয়ে জ্বলে উঠতে না পারলেও দুই দলের ভালো বোলিং করেছেন। যার কারণে ব্যাটের উত্তাপ না ছড়ালেও বোলিংয়ের উত্তাপ ছড়িয়েছে মাঠে। আর ১০ রানে ৩ উইকেট নিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিজের সেরা বোলিং করেছেন খুলনার তাইজুল। তার দুর্দান্ত বোলিংয়ে খুলনা পেয়ে বিপিএলের প্রথম জয়। খুলনা ১২৮ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিলেও রাজশাহী ২৫ রান আগেই গুটিয়ে যায়।
সিলেটের ক্রিকেটপ্রেমীদের মতে, সিলেটের মানুষ বরাবরই খেলাপ্রিয়। ঢাকায় বিপিএল উত্তাপ না ছড়ালেও সিলেট থেকে সেই উত্তাপের শুরু হবে। ম্যাড়ম্যাড়ে ম্যাচ থেকে বেরিয়ে দুর্দান্ত খেলবে সব দলই। ব্যাট-বলে রানের পাহাড় হবে এমনটাও মনে করছেন তারা। যদিও শুরুর ম্যাচে আশানুরূপ রান করতে পারেনি কোনো দলই।
এবার নিজের মাঠে সিলেট সিক্সার্সের হয়ে খেলবেন জাকির আলী অনিক। আর তার বোন শাকিলা ববি মাঠ থেকে সেই খেলা দেখার জন্য বেশ আগ্রহী। তিনি মনে করেন, ঢাকায় সিক্সার্স ভালো খেলতে না পারলেও সিলেটে ভালো খেলবে দলটি। এমনকি সিলেট থেকে ব্যাট-বলের উত্তাপ দেখবে সারা বাংলাদেশ।
শাকিলা ববি বলেন, ‘প্রথম ম্যাচটি দেখে আশাহত হয়েছি। শুরুতে ভেবেছিলাম দুই দলই চ্যালেঞ্জিং স্কোর করবে। তবে এ রকম দৃশ্য দেখা হয়নি। এখানেই শেষ নয়। সিলেটে আরো বেশ কয়েকটি ম্যাচ রয়েছে। আশা করি অন্য ম্যাচগুলো উত্তেজনা ছড়াবে ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে।’
ক্রিকেটপ্রেমীরা বলছেন, সবে শুরু হয়েছে। আরো অনেক খেলাই বাকি। খেলোয়াড়রাও চেষ্টা করছেন নিজেদের সর্বস্ব দিয়ে বিপিএলের উত্তাপ ছড়াতে ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে। যদিও এখনো ম্যাচগুলো ম্যাড়ম্যাড়েই রয়েছে।
দর্শক মামুন হোসেন বলেন, ‘খুলনা আর রাজশাহীর ম্যাচটা টিভিতে দেখেছি। তেমন একটা উত্তাপ ছড়ায়নি। সিক্সার্সের খেলা উপভোগ করার জন্য মাঠে এসেছি কাজ শেষ করে। পরিবারের সব সদস্যকে নিয়ে মাঠে এসেছি। আশা করি ম্যাড়ম্যাড়ে ভাব দূর হবে।’
এদিকে প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের
পর তাইজুল বলেছেন, ‘এখনো আমাদের সাতটা ম্যাচ আছে। এই সাত ম্যাচের মধ্যে যদি ৪-৫ ম্যাচ জিততে পারি পরের ধাপে যাওয়া অসম্ভব নয়। পরের ধাপে যাওয়ার লক্ষ্যেই আমরা খেলব।’
তাইজুল আরো বলেন, ‘ক্রিকেটে সব সময়ই
চাপ থাকে। আমরা টানা চারটা ম্যাচ হেরেছি। এ অবস্থায় একটা দল অবশ্যই পিছিয়ে থাকে, এ সময় চাপ একটু বেশি থাকে।
অফিশিয়াল-টিম ম্যানেজমেন্ট সবাই আমাদের ভেঙে পড়তে মানা করেছে।’
ভেঙে না পড়ার ফল পেয়েছেন তাইজুলরা। এখন এগিয়ে যাওয়ার সময় হয়েছে টাইটানসদের। ক্রিকেটপ্রেমীরাও অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন উত্তাপ ছড়ানো ম্যাচের জন্য।
"