তুহিন আহমদ, সিলেট থেকে
হারের বৃত্ত ভাঙল খুলনা
কাল সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে খুলনা টাইটাইনস ও রাজশাহী কিংসের খেলার মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিপিএলের দ্বিতীয় পর্ব। সিলেটে স্বল্প রানের পুঁজি সত্ত্বেও হারের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এসেছে খুলনা টাইটানস। রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে ১২৮ রান করেও ম্যাচ জিতে নিয়েছে তারা। রান তাড়া করতে নেমে রাজশাহী ১০৩ রানে অলআউট হওয়ায় ২৫ রানের জয় পায় খুলনা। পাঁচ ম্যাচে রাজশাহীর এটি তৃতীয় হার।
বিপিএলের চলতি আসরে এটিই প্রথম জয় খুলনার। এর আগে ঢাকা পর্বের বিপিএলে টানা চার ম্যাচ হেরেছিল তারা। হারের বৃত্তে থাকা দলটি আসরের প্রথম জয়টি পেলো নিজেদের পঞ্চম ম্যাচ এসে। কার্লোস ব্রাথওয়েট-মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ-জুনায়েদ খানদের মতো বিশ্ব কাঁপানো টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্টরা দলে থাকা সত্ত্বেও হার এড়াতে পারছিল না কোচ মাহেলা জয়ার্ধনের শিষ্যরা। তবে কাল সেই গেঁরো খুলল খুলনা। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে ম্যাচের সেরা হওয়া তাইজুল ইসলাম সিলেটের এ মাঠকে লাকি গ্রাউন্ডও বলেছেন, আসরের প্রথম জয় এখানে। এর আগে চারটি ম্যাচে হেরেছি আমরা। নিঃসন্দেহে এটি আমাদের জন্য লাকি গ্রাউন্ড বলা যায়।
বিপিএলের সিলেট পর্বে ব্যাটিং উইকেট ও রান উৎসবের আশায় ছিলেন অনেকে। কিন্তু সিলেটের প্রথম ম্যাচের উইকেট ছিল বেশ মন্থর। যার কারণে দুই দলকেই ধুঁকতে হয়েছে অনেক। কোনো দলই সুবিধামতো ব্যাট করতে পারেনি। খুলনার চেয়ে বাজে ব্যাটিং করেছে রাজশাহী।
সিলেটের প্রথম ম্যাচে মুস্তাফিজুর রহমানের বল গ্রিপ করেছে অনেক। রাজশাহীর দুই স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ ও আরাফাত সানিও উইকেটের সাহায্য কাজে লাগান। পল স্টার্লিংকে বাইরে রেখে জুনায়েদ সিদ্দিকের সঙ্গে জহুরুল ইসলামকে দিয়ে ইনিংস শুরু করে খুলনা। কিন্তু নতুন জুটি ভাঙে দ্রুত। একটি ছক্কা ও চারে ৬ বলে ১৩ করে ফেরেন জহুরুল।
একই পথে হেঁটেছেন জুনায়েদও, বিদায় নেন একটি করে চার ও ছক্কায় ১৪ রান করে। তিনে নামা ডেভিড মালান কিছুক্ষণ টিকলেও গতি পাননি। আউট হয়েছেন বাজে শটে। মিডল অর্ডারে মাহমুদউল্লাহ, নাজমুল হোসেন শান্ত ব্যর্থ আবারও। ব্র্যাথওয়েট পারেননি ব্যাটে ঝড় তুলতে। ৮ রান করেছেন ১২ বলে। আরিফুল হক এক প্রান্ত আগলে রেখে দলকে দিয়ে গেছেন লড়ার মতো পুঁজি। শেষ ওভারে আউট হওয়া আরিফুল করেছেন ২৭ বলে ২৬ রান।
রান তাড়ায় রাজশাহীও শুরু থেকে ধীর গতিতে। মাহমুদউল্লার দুর্দান্ত বোলিংয়ে সৌম্য সরকার ক্যাচ হয়ে ফিরেছেন। তিনে নামা মিরাজ দারুণভাবে রান বাড়িয়েছেন। ১৬ বলে ২৩ রান করে তিনি আউট হন তাইজুলের বলে।
রান তাড়ায় রাজশাহী জয়ের সম্ভাবনাই জাগাতে পারেনি পুরো ম্যাচে। এমনকি অনিয়িমত বোলার মালানও ৪ ওভার বোলিং করেছেন, রাজশাহী পারেনি কাজে লাগাতে। শেষদিকে আরাফাত সানি ও কামরুল ইসলাম রাব্বির দুটি ছক্কায় কোনো রকম তারা পেরুতে পারে তিন অঙ্কের ঘর।
দারুণ বোলিংয়ের পাশাপাশি খুলনার ফিল্ডিংও ছিল উল্লেখযোগ্য। ক্যারিবিয়ান তারকা ব্র্যাথওয়েট একাই ৪ ক্যাচ নিয়ে ছুঁয়েছেন বিপিএলের সর্বোচ্চ ক্যাচ নেওয়ার রেকর্ড। প্রথম জয়ের পর স্বস্তিতে মাঠ ছেড়েছেন মাহমুদউল্লাহরা।
"