ক্রীড়া ডেস্ক

  ১১ জানুয়ারি, ২০১৯

সিটির নয়ে জেসুসের চার

ম্যানসিটি ৯ - ০ বার্টন

ম্যাচের আগে ম্যানচেস্টার সিটি কোচ পেপ গার্দিওলার জানিয়েছিলেন, দলে আক্রমণভাগে জায়গা পাকাপোক্ত করতে হলে গ্যাব্রিয়েল জেসুসকে লড়াই করতে হবে সার্জিও আগুয়েরোর সঙ্গে। স্প্যানিশ কোচের সেই কথাটায় হয়তো তাঁতিয়ে দিয়েছিলে জেসুসকে। সুযোগ পাওয়া মাত্র জ্বলে উঠলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। বার্টন আলবিয়নের বিপক্ষে কেবল হ্যাটট্রিক করেই ক্ষান্ত হননি, ৯-০ গোলের ম্যাচটিতে একাই করেছেন ৪ গোল! ঘরের মাঠ ইতিহাদে গোলোৎসবের রাতে সিটিজেনরারও এক পা দিয়ে রাখল ইংলিশ লিগ কাপে (কারাবো কাপ)।

অথচ পুরো টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত খেলে সেমিফাইনালে উঠেছিল বার্টন। অ্যাওয়ে ম্যাচের জন্য হাজার তিনেক টিকিটও কিনে রেখেছিল তারা। তবে বিপত্তি বাজায় স্টাফোর্ডশায়ারের ট্রাফিক জ্যাম। ভয়াবহ জ্যামের কারণে কিকঅফের আগে ইতিহাদে পৌঁছাতে পারে মাত্র বার্টনের একজন কোচ। পরে এসে পৌঁছান ক্লাবটির বাকি কোচ ও খেলোয়াড়রা। বাকি দর্শকরা যখন স্টেডিয়ামে পৌঁছান ম্যাচ তখন শেষ পর্যায়ে। অবশ্য জ্যামটাকে ধন্যবাদ দিতে পারে বার্টনের দর্শকরা। নয়তো প্রিয় দলের অঘটনটা দেখতে হতো কান্নাভেজা চোখে।

আগের ম্যাচে এফএ কাপে রদারহাম ইউনাইটেডকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল সিটি। একপেশে ম্যাচে পরশু শুরুর মাত্র ৫ মিনিটে কেভিন ডি ব্রুইনার গোল দিয়ে উৎসব শুরু তাদের। সেই গোল বন্যা থামে ৮৩ মিনিটে রিয়াদ মাহরেজের গোলে। মাঝখানে চলল জেসুস শো। ৩০, ৩৪ ও ৫৭ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূরণের পর ২১ বছর বয়সী ফরওয়ার্ড চতুর্থ গোলটি করেছেন ৬৫ মিনিটে। ক্যারিয়ারে প্রথমবার চার গোলের দেখা পেয়ে জেসুসও ছিলেন স্বাভাবিকভাবে উচ্ছ্বসিত। ম্যাচের পর ব্রাজিলিয়ান তারকা বলেন, ‘ক্যারিয়ারে আমি কখনো আগে চার গোল করিনি। আমরা চমৎকার খেলেছি এবং এটাই গুরুত্বপূর্ণ।’

সিটির প্রথমার্ধের চার গোলের মধ্যে ৩৭ মিনিটে অন্য গোলটি করেছেন ওলেকসান্দ্রর জিনচেঙ্কো। বিরতির পর বাকি ৫ গোলের অন্য দুটি করেছেন ফিল ফোডেন (৬২ মিনিট) ও কাইল ওয়াকার (৭০মিনিট)।

ইংল্যান্ডে কাপ ফুটবলের সেমিফাইনালেই ইতিহাসে এর আগে কোনো ম্যাচই এত একপেশে হয়নি। বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন এই টুর্নামেন্টে ১৮৭১-৭২ মৌসুমের পর এই প্রথম কোনো দল ৯ গোলের ব্যবধানে জয় পেয়েছে। এ ছাড়া গার্দিওলার কোচিং ক্যারিয়ারেও এই জয়ের ব্যবধান যুগ্মভাবে সর্বোচ্চ। বার্সেলোনায় থাকাকালীন ২০১১ সালে কোপা ডেল রে টুর্নামেন্টে এল’হসপিতালাতের বিপক্ষে ৯-০ গোলে জিতেছিল কাতালানরা। আর ১৯৮৭ সালের পর এই প্রথম কোনো ম্যাচে আট গোলের চেয়ে বেশি গোল করল সিটিজেনরা। ইংলিশ ফুটবলের শীর্ষ চার বিভাগের দলগুলোর মধ্যে সিটি গত ৫১ বছরের মধ্যে প্রথম দল হিসেবে টানা দুটি ম্যাচে কমপক্ষে ৭ গোলের জয় পেয়েছে।

এমন দুর্দান্ত জয়ে ফাইনালে এক পা দিয়ে রাখায় উচ্ছ্বসিত গার্দিওলা অবশ্য প্রশংসা করেছেন প্রতিপক্ষেরও, ‘এই জয় অসাধারণ এবং অবশ্যই আমরা ইতোমধ্যে ফাইনালে কিন্তু আমাদের সেকেন্ড লেগ খেলতে হবে। বার্টন দুর্দান্ত একটা টুর্নামেন্ট খেলেছে। তাদের গর্বিত হওয়া দরকার।’ দুই দল ফিরতি লেগ খেলবে বার্টনের মাঠে ২৩ জানুয়ারি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close