ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮

শেখ রাসেলকে হারিয়ে শিরোপা জিতল বসুন্ধরা কিংস

মার্সেল বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের গেল আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রিমিয়ার লিগে নাম লেখায় বসুন্ধরা কিংস। তাতে করে তারা সুযোগ পায় মৌসুমের প্রথম টুর্নামেন্ট ফেডারেশন কাপে। প্রথমবার অংশ নিয়েই ফাইনালে উঠেছিল বসুন্ধরা। কিন্তু ঢাকার ফুটবলের পাওয়ার হাউস আবাহনীর কাছে হেরে নিঃশ্বাস দূরত্বে থাকা শিরোপাটা অধরাই থেকে যায়। তবে ৩৪ দিনের ব্যবধানেই মৌসুমের দ্বিতীয় টুর্নামেন্টে শিরোপা জিতেছে তারা। ফেডারেশন কাপে না পারলেও ওয়ালটন স্বাধীনতা কাপের শিরোপা জিতে নিয়েছে বসুন্ধরা কিংস।

কাল বিকেলে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে অতিরিক্ত সময়ের গোলে ২-১ ব্যবধানে শেখ রাসেলকে হারিয়ে প্রথমবার অংশ নিয়ে প্রথম শিরোপার স্বাদ পেয়েছে নবাগত ক্লাবটি। বসুন্ধরা কিংসকে শিরোপা জেতানোর ম্যাচে গোল করেছেন দলটির ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড মার্কোস ভিনিসিয়াস ডি কস্তা সোয়ারেস ডি সিলভা ও মতিন মিয়া। শেখ রাসেলের হয়ে একটি গোল করেছেন নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড রাফায়েল ওডোইন।

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে গোলের দেখা পেতে বেশি সময় নেয়নি বসুন্ধরা কিংস। ম্যাচের ১৭ মিনিটের সময় বসুন্ধরার ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড মার্কোস ভিনিসিয়াস সিলভা ২৫ গজ দূর থেকে জোরালো শটে গোল করেন। তবে ম্যাচের প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে সমতা ফেরায় শেখ রাসেল। এ সময় দলটির নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড ওডোইন ডি-বক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক শটে নিশানা ভেদ করেন। তাতে ১-১ গোলের সমতা নিয়েই শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।

বিরতির পর ব্যবধান বাড়াতে উভয় দল মরিয়া হয়ে খেলে। বেশ কিছু সুযোগও আসে উভয় দলের সামনে। কিন্তু তা কাজে লাগিয়ে কেউই জাল কাঁপাতে পারেনি। তাতে ১-১ গোলের সমতা নিয়েই শেষ হয় নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা। এরপর ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানে ম্যাচের ৯৫ মিনিটে বসুন্ধরা কিংসের বদলি খেলোয়াড় মতিন মিয়া ডি-বক্সের মধ্য থেকে ঠান্ডামাথার শটে বল জালে জড়ান। বাকি সময়ে এই গোলটি আর শোধ দিতে পারেনি শেখ রাসেল। তাতেই শিরোপা নিশ্চিত হয় বসুন্ধরা কিংসের।

স্বাধীনতা কাপের এবারের আসরের গ্রুপ পর্বের খেলা অনুষ্ঠিত হয় ১ থেকে ৯ ডিসেম্বর। গ্রুপ পর্ব থেকে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ, সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব, চট্টগ্রাম আবাহনী, রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি, ঢাকা আবাহনী লিমিটেড, ব্রাদার্স ইউনিয়ন, বসুন্ধরা কিংস ও শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। ১১, ১২, ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় চারটি কোয়ার্টার ফাইনাল। সেখান থেকে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ব্রাদার্স ইউনিয়ন, ঢাকা আবাহনী, শেখ রাসেল ও বসুন্ধরা কিংস। ১৯ ও ২০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় দুটি সেমিফাইনাল। সেমিতে বসুন্ধরা কিংস ঢাকা আবাহনীকে সাডেন ডেথে ৭-৬ ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে উঠে। আর ব্রাদার্সকে ২-০ গোলে হারিয়ে পাঁচ বছর পর ফাইনালে এসেছিল শেখ রাসেল।

স্বাধীনতা কাপের ‘এ’ গ্রুপে ছিল সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব, আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ ও টিম বিজেএমসি। ‘বি’ গ্রুপে ছিল চারটি দল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব, চট্টগ্রাম আবাহনী, রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি ও নবাগত নোফেল স্পোর্টিং ক্লাব। ‘সি’ গ্রুপে ছিল ঢাকা আবাহনী লিমিটেড, ব্রাদার্স ইউনিয়ন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র। ‘ডি’ গ্রুপে ছিল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব, শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র ও বসুন্ধরা কিংস।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close